উইসকনসিনের হিন্দু মন্দির
| উইসকনসিনের হিন্দু মন্দির (Hindu Temple of Wisconsin) | |
|---|---|
উইসকনসিনের হিন্দু মন্দির, ২০১০ | |
| ধর্ম | |
| অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
| ঈশ্বর | বিষ্ণু |
| অবস্থা | সক্রিয় |
| অবস্থান | |
| অবস্থান | ডব্লিউ২৪৩ এন৪০৬৩ পেওয়াউকি রোড, পেওয়াউকি |
| রাজ্য | উইসকনসিন |
| দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
| লুয়া ত্রুটি মডিউল:অবস্থান_মানচিত্ এর 480 নং লাইনে: নির্দিষ্ট অবস্থান মানচিত্রের সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায়নি। "মডিউল:অবস্থান মানচিত্র/উপাত্ত/USA Wisconsin" বা "টেমপ্লেট:অবস্থান মানচিত্র USA Wisconsin" দুটির একটিও বিদ্যমান নয়। | |
| স্থানাঙ্ক | ৪৩°০৫′২৮″ উত্তর ৮৮°১৩′৪২″ পশ্চিম / ৪৩.০৯১১১° উত্তর ৮৮.২২৮৩৩° পশ্চিম |
| স্থাপত্য | |
| সৃষ্টিকারী | সুহাস পওয়ার |
| প্রতিষ্ঠার তারিখ | ২০০২ |
| ভূমি খনন | ১৯৯৮ |
| সম্পূর্ণ হয় | ২০০০ |
| বিনির্দেশ | |
| সম্মুখভাগের দিক | পূর্ব |
| উচ্চতা (সর্বোচ্চ) | ৪০ ফুট |
| স্থানের এলাকা | ২২ একর |
| ওয়েবসাইট | |
| https://www.ourhtw.org/ https://www.jainwi.org/ | |
উইসকনসিনের হিন্দু মন্দির (ইংরেজি: Hindu Temple of Wisconsin; সংক্ষেপে: HTW) হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন রাজ্যের সর্বপ্রাচীন হিন্দু মন্দির। পেওয়াউকিতে অবস্থিত এই মন্দিরে বহু হিন্দু পরিবার পূজা দিতে আসে। এই রাজ্যের একমাত্র জৈন মন্দির উইসকনসিনের জৈন মন্দির (ইংরেজি: Jain Temple of Wisconsin) একই জমিতে অবস্থিত।
১৯৯০-এর দশকে এই রাজ্যে ভারতীয়দের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে প্রথম হিন্দু মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা গৃহীত হয়। মন্দির নির্মাণের জন্য বেছে নেওয়া হয় গ্রামের একটি জমিকে। কারণ, এই জমিটি ছিল কম দামের এবং সারা রাজ্যের মানুষের কাছে সুগম। প্রথম পর্যায়ের নির্মাণকার্য শুরু হয় ১৯৯৮ সালে বং শেষ হয় ২০০০ সালে; সেই বছরই মন্দিরে প্রথম পূজা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণকার্য সম্পূর্ণ হয় ২০০২ সালে; এই সময়ই বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয় মন্দিরে। ২০১৬ সালে মন্দির সম্প্রসারণের কাজ সম্পূর্ণ হয়। এই মন্দিরের সদস্যরা পেওয়াউকিতে দুটি হিন্দু সম্প্রদায়ের হন্য ছোটো ছোটো মন্দিরও নির্মাণ করেন।
সুহাস পওয়ারের নকশায় নির্মিত মন্দির-ভবনটি দোতলা। প্রতিটি তলের আয়তম ১২,০০০ বর্গ ফুট। এটিতে উত্তর ও দক্ষিণ ভারতীয় মন্দির স্থাপত্যের নকশা এবং রীতিনীতির মিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। মন্দিরটি মূলত হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর প্রতি উৎসর্গিত হলেও, এই মন্দিরের প্রধান কক্ষে সারা ভারতে জনপ্রিয় একাধিক হিন্দু দেবদেবীর বেদী নির্মিত হয়েছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]প্রেক্ষাপট
[সম্পাদনা]উইসকনসিনে হিন্দু মন্দির প্রতিষ্ঠার পূর্বে এই রাজ্যের হিন্দু পরিবারগুলি প্রায়শই ইলিনইযসদ অরোরা ও লেমন্টের মন্দিরে পূজা দিতে যেত অথবা নিজেদের বাড়িতে বা বাড়ির বেসমেন্টে ধর্মানুষ্ঠানের আয়োজন করত। ১৯৯৭ সালে এই রাজ্যে হিন্দু পরিবারের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যায়। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুবাদে মাত্র তিনশো পরিবার থেকে পূর্ববর্তী এক দশকের মধ্যেই ঘটে এই সংখ্যাবৃদ্ধি। হিন্দু জনসংখ্যা এইভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এই রাজ্যের হিন্দুরা একটি মন্দির নির্মাণ করতে সক্ষম হয়ে ওঠেন।[১][২]
১৯৯০-এর দশকের আগে মিলওয়াউকি মহানগর অঞ্চলে কোনও হিন্দু মন্দির নির্মাণের ভাবনাচিন্তা করা হয়নি।[৩] ১৯৯৫ সালের এপ্রিল মাসে ষাট জন হিন্দুর একটি গোষ্ঠী এই অঞ্চলে একটি মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করেন।[২] ১৯৯৬ সালে তাঁরা একটি কমিটি গঠন করেন এবং মন্দিরের নকশা প্রস্তুত করার জন্য সেই কমিটিতে শিল্পী ও একজন ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রহণ করেন। তাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিন্দু মন্দিরগুলি ঘুরে দেখেন এবং হিন্দু ধর্মানুশীলনের জন্য একটি উপাসনালয় নির্মাণের জন্য এক দক্ষিণ ভারতীয় স্থপতির পরামর্শ গ্রহণ করে।[৪] ভারতীয় স্থপতি মুতিয়াহ স্থপতি কপূর অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস নামক প্রতিষ্ঠানটির পাশাপাশি নির্মাণকার্যের নেতৃত্ব দেন।[৫]
প্রতিষ্ঠা
[সম্পাদনা]হিন্দু পরিবারগুলি সারা রাজ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় কমিটি মন্দির নির্মাণের এজন্য গ্রামের একটি জমি বেছে নেয়।[১] তাছাড়া মিলওয়াউকির তুলনায় পেওয়াউকিতে নির্মাণের খরচও কম পড়ে।[৬] ১৯৯৭ সালের নভেম্বর মাসে পেওয়াউকি নগর কর্তৃপক্ষ নির্মাণকার্যের অনুমতি প্রদান করে।[১] সেই অঞ্চলের স্থানীয় অধিবাসীরাও এই নির্মাণকার্যের বিরোধিতা করেননি।[১][৭] মন্দিরের সচিব সর্বেশ গেদ্দামের মতে, মন্দির নির্মাণের আগে এই এলাকাটি ছিল শূন্য প্রান্তর।[৮]
মন্দিরের নির্মাণকার্য শুরু হয় ১৯৯৮ সালে।[৫] ৯ অগস্ট তারিখে প্রথানুসারে মন্দিরের ভূমিপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৩৫০ লোক উপস্থিত ছিলেন।[৯] প্রথম পর্যায়ের নির্মাণকার্য সমাপ্ত হয় ২০০০ সালে এবং এতে খরচ হয় ৪.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রায় ৪০০টি পরিবারের দান এবং ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের মাধ্যমে মন্দিরের তহবিল গড়ে ওঠে।[১০]
প্রাথমিক পরিকল্পনায় একই ভবনে উইসকনসিনের হিন্দু ও জৈন মন্দির গড়ে তোলার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু জৈন পরিবারগুলি একটি পৃথক মন্দির গঠনের জন্য তহবিল গড়ে তোলেন। এটিই ছিল উইসকনসিনের প্রথম জৈন মন্দির এবং সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় কুড়ি জৈন মন্দিরের অন্যতম।[১১] এই মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় এই রাজ্যে প্রায় ৪০টি জৈন পরিবার বাস করত।[১০] এই রাজ্যে মন্দিরটির অবস্থান জৈন অভিবাসীদের এ রাজ্যে আসতে উৎসাহিত করে।[৬]
উইসকনসিনের হিন্দু মন্দিরে প্রথম পূজা অনুষ্ঠিত হয় ২০০০ সালের ৭ জুলাই। প্রায় ২০০ মানুষ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং পূজার জন্য অরোরার মন্দির থেকে একজন পুরোহিত আনা হয়েছিল। দুই দিন পরে একটি জৈন ধর্মানুষ্ঠান আয়োজিত হয়। সেই সময় সারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দু মন্দিরের সংখ্যা ছিল পঞ্চাশেরও কম এবং উইসকনসিনে একটিও হিন্দু মন্দির ছিল না।[১১] মন্দিরের প্রথম পরিষদ সভাপতি ছিলেন কুমার আইয়ার নামে ব্রুকফিল্ডের এক দন্তচিকিৎসক।[১]
২০০০ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মন্দিরে দুটি বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।[১০] ২০০১ সালের মার্চ মাসে মন্দির কর্তৃপক্ষ এক আন্তঃধর্ম আলোচনাচক্র আয়োজন করেন, যেখানে বক্তৃতা দেন ধর্মবিদ্যার অধ্যাপক অনন্তানন্দ রামবচন।[১২] ১১ সেপ্টেম্বরের জঙ্গিহানার পর মন্দির কর্তৃপক্ষ নিহতদের সম্মানে একটি সভা আহ্বান করেন, জাতিবৈষম্যমূলক আচরণের নিন্দা করা হয় এবং আমেরিকান রেড ক্রসের জন্য অর্থসংগ্রহ করা হয়। শেষোক্ত কর্মসূচিটিতে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রতিনিধি টম ব্যারেট।[১৩]
মন্দির নির্মাণে মোট খরচ পড়ে ৪.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণকার্য সম্পূর্ণ হওয়ার পর, ২০০২ সালের ২৮ জুন মন্দিরটি উদ্বোধন করা হয়। দুই দিন পরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা ও কুম্ভাভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। শতাধিক স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা অনুষ্ঠানগুলি পরিচালিত হয় এবং অনুষ্ঠানগুলি সম্পন্ন করতে বারো জন পুরোহিতকে আনা হয়।[২][১৪] ২০০৩ সালের ১৩ জুন দ্বিতীয় একটি প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে আরও কয়েকটি মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। মন্দিরের গোপুরম অংশটি পরে সম্পূর্ণ হয়েছিল।[৭]
পরবর্তী ইতিহাস
[সম্পাদনা]ভারিতে ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সুনামির পর মন্দির কর্তৃপক্ষ অ্যাসোশিয়েশন ফর ইন্ডিয়া’জ ডেভেলপমেন্ট ও এআইএম ফর সেবা সংস্থা দুটিতে দানের জন্য একটি তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেয়।[১৫] উইসকনসিনের অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠনের ন্যায় এই মন্দিরও হ্যারিকেন ক্যাটরিনায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য অর্থসাহায্য ও স্বেচ্ছাসেবক প্রেরণ করে।[১৬] মন্দিরের চূড়া নির্মাণ সম্পূর্ণ হয় ২০০৭ সালের ৯ জুলাই। সেই বছরের মধ্যে মন্দিরের সদস্যপদ বৃদ্ধি পেয়ে ২,০০০ পরিবার হয় এবং এঁদের মধ্যে ৩০০টি পরিবার প্রতি সপ্তাহে মন্দির পরিদর্শনে আসতে থাকেন।[১৭]
২০১২ সালে উইসকনসিনের ওক ক্রিকের শিখ গুরদ্বারায় জনতার উপর গুলিবর্ষণের পর, এই মন্দিরে একটি রাত্রিব্যাপী প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয়। ব্যারেট সহ শতাধিক ব্যক্তি এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।[১৮][১৯] উইসকনসিন হিন্দু মন্দিরের সভাপতি আনন্দ আদাবী ও অন্যান্য সদস্যেরা গুরদ্বারা পরিদর্শনেও গিয়েছিলেন।[২০] ২০১৬ সালের জুন মাসে ২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে মন্দির সম্প্রসারণ কার্য সম্পূর্ণ হয়। এই সম্প্রসারণের ফলে মন্দিরে ৮,০০০ বর্গ ফুট এলাকা এবং একটি ধ্বজাস্তম্ভ যুক্ত হয়। গভর্নর স্কট ওয়াকার এই পুনরুদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।[২১][২২] উইসকনসিনে কোভিড-১৯ অতিমারীর সময় মন্দিরে টীকাকরণ ক্লিনিক খোলা হয়।[৮]
উইসকনসিনের হিন্দু মন্দিরের দর্শনার্থীরা পেওয়াউকিতে দুটি ক্ষুদ্র হিন্দু মন্দিরও স্থাপন করেন। শিরডি সাই বাবা আন্দোলনের অনুগামীরা একটি অসাম্প্রদায়িক গির্জা কিনে নেন। পূর্বে সেই গির্জাটি ভেঙে ফেলার জন্য নির্ধারিত হয়েছিল। কিন্তু এই গির্জাটিকেই তাঁরা উইসকনসিন শিরডি সাই মন্দিরে রূপান্তরিত করেন। ২০১৮ সালে বিএপিএস আন্দোলনের অনুগামীরা উইসকনসিন হিন্দু মন্দির যে রাস্তায় অবস্থিত সেই রাস্তাতেই তোশকের একটি পরিত্যক্ত গুদামঘরকে বিএপিএস শ্রীস্বামীনারায়ণ মন্দিরে রূপান্তরিত করেন।[৬][৮]
২০২৩ সালের হিসেব অনুযায়ী, উইসকনসিনের হিন্দু মন্দিরে ২,৫০০ পরিবার পূজা দিতে আসেন। জৈন মন্দিরটিতে আসেন প্রায় ৬০টি পরিবার। এঁদের অনেকেও হিন্দু মন্দিরে পূজা দেন।[৬]
বিবরণ
[সম্পাদনা]
ডব্লিউ২৪৩ এন৪০৬৩ পেওয়াউকি রোডে (উইসকনসিন হাইওয়ে ১৬৪) উইসকনসিনের হিন্দু মন্দির ও উইসকনসিনের জৈন মন্দির গড়ে উঠেছে ২২ একর জমির উপর। উভয় মন্দিরের একটি সাধারণ পার্কিং লট বিদ্যমান।[৬][১১] এই ভূসম্পত্তির অধিকাংশটাই উইসকনসিন ডিপার্টমেন্ট অফ ন্যাচারাল রিসোর্সেস-সংরক্ষিত বনভূমি। এটি শেফার্ড অফ দ্য হিলস লুথেরান চার্চের পাশে এবং একটি জিহোভা’জ উইটনেস কিংডম হলের কাছে অবস্থিত।[১১] জৈন মন্দিরটিতে কয়েকটি শ্রেণিকক্ষ ও একটি গ্রন্থাগার রয়েছে।[১৭] এটিই উইসকনসিনের একমাত্র জৈন মন্দির।[৬]
নকশা
[সম্পাদনা]মন্দিরটির নকশা প্রস্তুত করেন নিউ বার্লিনের বাসিন্দা তথা ভারতীয় অভিবাসী সুহাস পওয়ার। মন্দিরটি তিনি ভারতের মন্দিরগুলির আদলে নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। প্রস্তরনির্মিত স্টাকো দেওয়াল এবং জানালার উপর সোনালি গম্বুজ মন্দিরটির বৈশিষ্ট্য। নকশায় তিনি একটি স্কাইলাইটও যোগ করেন, যা ভারতের প্রথাগত মন্দির-স্থাপত্যশৈলীর অন্তর্গত নয়।[১০] দোতলা মন্দির-ভবনটির উচ্চতা ৪০ ফুট এবং প্রতিটি তলের আয়তন ১২,০০০ বর্গ ফুট।[১৪] মন্দির চত্বরের ভূ-সংস্থানগত বৈশিষ্ট্যের কারণে মন্দিরের প্রধান প্রবেশপথটি দোতলায় পশ্চিম মুখে অবস্থান করছে। তবে প্রধান সভাঘরটি প্রথাগত হিন্দু মন্দিরগুলির ন্যায় পূর্বমুখী।[২৩] মন্দিরের ছাদে দুটি চূড়া রয়েছে: একটি দক্ষিণ ভারতীয় শৈলীর এবং একটি উত্তর ভারতীয় শিখর রীতির।[২৪]
দোতলায় মন্দিরের প্রধান সভাকক্ষ এবং মন্দিরের চতুর্পার্শ্বস্থ খোলা স্থানের অনুকরণে একটি লবি নির্মিত হয়। একতলায় একটি বিশ্রামাগার ও একটি রান্নাঘর অবস্থিত। প্রধান সভাঘরের ঠিক তলায় রয়েছে একটি কমিউনিটি হল। সেই কক্ষে একটি মঞ্চ সহ ৩৫০ জন দর্শকের বসার উপযুক্ত আসন রয়েছে।[১৪][২৫] দোতলার বিশ্রামাগারের উপর স্কাইলাইটের পাশে গীতোপদেশ নামে একটি ব্রোঞ্জের খোদাইকৃত ভাস্কর্য আছে, এটিতে ভগবদ্গীতা থেকে পাঁচটি ঘোড়াযুক্ত রথের উপর আসীন কৃষ্ণ ও অর্জুনের একটি দৃশ্য প্রদর্শিত হয়েছে। সুহাস পওয়ার, তাঁর কন্যা দীপা এবং ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন-মিলওয়াউকির প্রফেসর এমেরিটাস নরেন্দ্র পটেল এই ভাস্কর্যটির নকশা প্রস্তুত করেন।[১৪][২৬]
প্রধান কক্ষটির দৈর্ঘ্য ৯০ ফুট, প্রস্থ ৬০ ফুট।[১৪] এই কক্ষের উত্তরপূর্ব কোণে একটি হোম কুণ্ড এবং অগ্নি-নিরাপত্তা বিধি অনুযায়ী ধোঁয়া নির্গমনের নিম্নমুখী পাইপ রয়েছে।[২৪] এই কক্ষে ভারত থেনে আনীত বিভিন্ন দেবদেবীর এগারোটি বেদী রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম এই মন্দিরের প্রধান দেবতা বিষ্ণুর বিগ্রহটি।[২][১৪] মন্দির কর্তৃপক্ষ ভারতের প্রতিটি অঞ্চলে জনপ্রিয় দেবদেবীদের বিগ্রহ নির্বাচন করে এবং কক্ষের দক্ষিণভাগে দক্ষিণ ভারতে সর্বাধিক পূজিত দেবদেবীদের এবং উত্তরভাগে উত্তর ভারতে সর্বাধিক পূজিত দেবতাদের বিগ্রহ স্থাপন করে। বিষ্ণুর বিগ্রহটি স্থাপন করা হয় প্রবেশদ্বারের ঠিক সামনে।[১০] মূর্তিগুলি কক্ষের প্রান্তভাগে স্থাপন করা হয়। কোনও রকম স্তম্ভ দ্বারা এগুলি আড়াল করা হয়নি, যাতে দর্শনার্থীদের এইসব বিগ্রহ প্রদক্ষিণ করতে সুবিধা হয়।[২৭] দক্ষিণ ভারতের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার ভাই এই বেদীগুলির নকশা প্রস্তুত করেন।[২][১০]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দুধর্ম
- গ্রেটার শিকাগোর হিন্দু মন্দির, ইলিনইসের লেমন্টে অবস্থিত মন্দির
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 3 4 5 মার্টিনো, স্যাম (৯ নভেম্বর ১৯৯৭)। "ওয়াউকেশা কাউন্টি টেম্পল টু সার্ভ হিন্দুজ"। মিলওয়াউকি জার্নাল সেন্টিনেল। পৃ. ১। প্রোকুয়েস্ট 260654277।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|আইডি=এর 1 নং অবস্থানে templatestyles stripmarker রয়েছে (সাহায্য) - 1 2 3 4 5 জানসেন, কোরিসা (৩০ জুন ২০০২)। "হিন্দু রিচুয়ালস গিভ লাইফ টু টেম্পল"। মিলওয়াউকি জার্নাল সেন্টিনেল। পৃ. ১বি। প্রোকুয়েস্ট 261663200।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|আইডি=এর 1 নং অবস্থানে templatestyles stripmarker রয়েছে (সাহায্য) - ↑ চাপাগাঁই ২০১৩, পৃ. ৯৭।
- ↑ চাপাগাঁই ২০১৩, পৃ. ৯৭, ১০১।
- 1 2 হডনেট, সিনথিয়া এম. (৮ মে ১৯৯৮)। "হিন্দু টেম্পল স্টার্ট সেট ফর অগস্ট ওরশিপারস্ম নাও শাটলিং টু শিকাগো, ইগার টু বিল্ড ইন টাউন অফ পেওয়াউকি"। মিলওয়াউকি জার্নাল সেন্টিনেল। পৃ. ৩। প্রোকুয়েস্ট 260742390।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|আইডি=এর 1 নং অবস্থানে templatestyles stripmarker রয়েছে (সাহায্য) - 1 2 3 4 5 6 গ্রোহ, জেমস (১ সেপ্টেম্বর ২০২৩)। "মাই ব্লক: হাও পেওয়াউকি বিকেম দি আনলাইকলি সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান কালচার অ্যান্ড রিলিজিয়ন"। ডব্লিউটিএমজে-টিভি। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০২৪।
- 1 2 পাইস, আর্থার জে. (২৭ জুন ২০০৩)। "$৫এম হিন্দু টেম্পল অফ উইসকনসিন ইজ মাইলস্টোন ফর কমিউনিটি"। ইন্ডিয়া অ্যাব্রড। পৃ. সি১। প্রোকুয়েস্ট 362801881।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|আইডি=এর 1 নং অবস্থানে templatestyles stripmarker রয়েছে (সাহায্য) - 1 2 3 কারমার্কার, রিচা (৯ সেপ্টেম্বর ২০২২)। "হাও আ স্মল টাউন ইন উইসকনসিন বিকেম হোম টু ফোর ধার্মিক হাউসেস অফ ওয়ারশিপ"। রিলিজিয়ন নিউজ সার্ভিস। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০২৪।
- ↑ মার্টিনো, স্যাম (১১ আগস্ট ১৯৯৮)। "ফিউচার সাইট অফ হিন্দু টেম্পল ইজ ব্লেসেড কাস্টম ডিকটেটস গ্রাউন্ড মাস্ট বি ইনিশিয়েটেড বিফোর কনস্ট্রাকশন বিগিনস"। মিলওয়াউকি জার্নাল সেন্টিনেল। পৃ. ৩। প্রোকুয়েস্ট 260778389।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|আইডি=এর 1 নং অবস্থানে templatestyles stripmarker রয়েছে (সাহায্য) - 1 2 3 4 5 6 জানসেন, করিসা (৫ সেপ্টেম্বর ২০০০)। "ফার্স্ট স্টেজ অফ স্টেট'স ফার্স্ট হিন্দু টেম্পল ইজ কমপ্লিটেড"। মিলওয়াউকি জার্নাল সেন্টিনেল। পৃ. ০১৫বি। প্রোকুয়েস্ট 261200040।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|আইডি=এর 1 নং অবস্থানে templatestyles stripmarker রয়েছে (সাহায্য) - 1 2 3 4 প্যাপরক, জন-ব্রায়ান (১৪ জুলাই ২০০০)। "হিন্দু টেম্পল ইন পেওয়াউকি ইজ স্টেট'স ফার্স্ট"। দ্য ক্যাপিটাল টাইমস। পৃ. ১ই। প্রোকুয়েস্ট 395185300।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|আইডি=এর 1 নং অবস্থানে templatestyles stripmarker রয়েছে (সাহায্য) - ↑ হেইনেন, টম (১৭ মার্চ ২০০১)। "বিল্ডিং ডায়ালগ"। মিলওয়াউকি জার্নাল সেন্টিনেল। পৃ. ০৫বি। প্রোকুয়েস্ট 261288065।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|আইডি=এর 1 নং অবস্থানে templatestyles stripmarker রয়েছে (সাহায্য) - ↑ জোনস, মেগ (২৪ সেপ্টেম্বর ২০০১)। "হিন্দুজ আর্জ টলারেন্স অফ ডিফারেন্সেস"। মিলওয়াউকি জার্নাল সেন্টিনেল। পৃ. ০৪এ। প্রোকুয়েস্ট 261382039।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|আইডি=এর 1 নং অবস্থানে templatestyles stripmarker রয়েছে (সাহায্য) - 1 2 3 4 5 6 থারিয়াথ, আব্রাহাম (১৪ জুন ২০০২)। "$৪.৭ মিলিয়ন টেম্পল সেট টু ওপেন ইন উইসকনসিন"। ইন্ডিয়া অ্যাব্রড। পৃ. ৪৬। প্রোকুয়েস্ট 362799555।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|আইডি=এর 1 নং অবস্থানে templatestyles stripmarker রয়েছে (সাহায্য) - ↑ জাং, জিয়াও (৯ জানুয়ারি ২০০৫)। "হিন্দুজ র্যালি টু সুনামি ভিকটিমস; টেম্পল ইন উইসকনসিন ইজ লিডিং অ্যান এফোর্ট টু রেইজ মানি ফর পিপল ইন ইন্ডিয়া"। উইসকনসিন স্টেট জার্নাল। অ্যাসোশিয়েটেড প্রেস। পৃ. ডি৫। প্রোকুয়েস্ট 391369126।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|আইডি=এর 1 নং অবস্থানে templatestyles stripmarker রয়েছে (সাহায্য) - ↑ লালওয়ানি, শীলা বি.; নিউসন, কাওয়ানজা (৫ সেপ্টেম্বর ২০০৫)। "হ্যারিকেন ক্যাটরিনা; ওপেনিং হার্টস, ওয়ালেটস ফর ক্যাটরিনা'জ ভিকটিমস; রিলিজিয়াস গ্রুপস অফার মানি, সাপ্পলাইজ, প্রেয়ারস ফর দ্য ডিসপ্লেসড"। মিলওয়াউকি জার্নাল সেন্টিনেল। পৃ. বিওয়ান। প্রোকুয়েস্ট 263545557।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|আইডি=এর 1 নং অবস্থানে templatestyles stripmarker রয়েছে (সাহায্য) - 1 2 মিখালেটস, ক্যাথারিন (১৭ ডিসেম্বর ২০০৭)। "হিন্দু টেম্পল সিজ মেম্বারশিপ গ্রোথ"। স্টিভেনস পয়েন্ট জার্নাল। অ্যাসোশিয়েটেড প্রেস। পৃ. ৬। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ – নিউজপেপারস.কম এর মাধ্যমে।
- ↑ ল্যানস, ক্যাসান্ড্রা (১১ আগস্ট ২০১২)। "শিখ টেম্পল ট্র্যাজেডি ইউনিফাইজ ডাইভার্স কমিউনিটিজ"। মিলওয়াউকি ক্যুরিয়ার। প্রোকুয়েস্ট 1033229828।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|আইডি=এর 1 নং অবস্থানে templatestyles stripmarker রয়েছে (সাহায্য) - ↑ ফ্লাড, ক্রিস (১০ আগস্ট ২০১২)। "আন্ডারস্ট্যান্ডিং অ্যান্ড ইউনিটি অ্যাট হিন্দু সার্ভিস"। ওয়াউকেশা কাউন্টি ফ্রিম্যান। পৃ. ৩। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ – নিউজপেপারস.কম এর মাধ্যমে।
- ↑ কাল্ক ডার্বি, সামারা (৬ আগস্ট ২০১২)। "ম্যাডিসন শিখ লিডার সেজ দ্য কমিউনিটি উডন'ট বি ইন্টিমিডেটেড"। উইসকনসিন স্টেট জার্নাল। প্রোকুয়েস্ট 1031173898।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|আইডি=এর 1 নং অবস্থানে templatestyles stripmarker রয়েছে (সাহায্য) - ↑ বেলর, এমিলি (১৩ অক্টোবর ২০১৬)। "টেম্পল অফারস হিন্দু পপুলেশন আ প্লেস ফর গ্যাদারিংস"। দ্য ওয়াউকেশা ফ্রিম্যান। পৃ. এ৫। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ – নিউজপেপারস.কম এর মাধ্যমে।
- ↑ "'আ ড্রিম কাম ট্রু:' হিন্দু টেম্পল অফ উইসকনসিন সেলিব্রেটস মাচ নিডেড এক্সপ্যানশন"। ফক্স ৬ মিলওয়াউকি। ২৫ জুন ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০২৪।
- ↑ চাপাগাঁই ২০১৩, পৃ. ১০০।
- 1 2 চাপাগাঁই ২০১৩, পৃ. ১০৩।
- ↑ চাপাগাঁই ২০১৩, পৃ. ১০১–১০৩।
- ↑ হেইনেন, টম (১ সেপ্টেম্বর ২০০১)। "স্কাল্পচার ইলাস্ট্রেটস টিচিংস অফ পোয়েটিক হিন্দু স্ক্রিপচার"। মিলওয়াউকি জার্নাল সেন্টিনেল। পৃ. ০১বি। প্রোকুয়েস্ট 261353672।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|আইডি=এর 1 নং অবস্থানে templatestyles stripmarker রয়েছে (সাহায্য) - ↑ চাপাগাঁই ২০১৩, পৃ. ১০৮।
উল্লেখপঞ্জি
[সম্পাদনা]- চাপাগাঁই, নীলকমল (১৫ জানুয়ারি ২০১৩)। "হিন্দু টেম্পল অফ উইসকনসইন: রিডিজাইনিং টেম্পল আর্কিটেকচার আন্ড রিডিফাইনিং ট্র্যাডিশনস"। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ দ্য কনস্ট্রাকটেফ এনভায়রনমেন্ট। ২ (৪): ৯৩–১১২। ডিওআই:10.18848/2154-8587/cgp/v02i04/37357। আইএসএসএন 2154-8587। টেমপ্লেট:EBSCOhost।