উইনি ম্যান্ডেলা
উইনি ম্যান্ডেলা, এমপি | |
---|---|
![]() | |
দক্ষিণ আফ্রিকা সংসদের সদস্য | |
কাজের মেয়াদ মে, ২০০৯ – প্রযোজ্য নয় | |
দক্ষিণ আফ্রিকার ফার্স্ট লেডি | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯৪ – ১৯৯৬ | |
পূর্বসূরী | মারিয়েক ডি ক্লার্ক |
উত্তরসূরী | গ্রাসা মাচেল |
শিল্পকলা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ-মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯৪ – ১৯৯৬ | |
পূর্বসূরী | নাই (পদ সৃষ্ট) |
উত্তরসূরী | পল্লো জর্দান (শিল্পকলা ও সংস্কৃতি), ডেরেক হ্যানকম (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | নমজামো উইনফ্রেদা জানিউই মাদিকিজেলা ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৩৬ বিজানা, পন্ডোল্যান্ড, ট্রান্সকেই, দক্ষিণ আফ্রিকা |
মৃত্যু | ২ এপ্রিল, ২০১৮ |
দাম্পত্য সঙ্গী | নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯৫৭-১৯৯৬; তালাকপ্রাপ্তা); ২ সন্তান |
সন্তান | জেনানি (জন্ম: ১৯৫৯) জিন্দজিওয়া (জন্ম: ১৯৬০) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্ববিদ্যালয় |
জীবিকা | সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ |
ধর্ম | মেথোডিজম |
উইনি ম্যান্ডেলা (ইংরেজি: Winnie Mandela; ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৩৬ - ২ এপ্রিল ২০১৮) দক্ষিণ আফ্রিকার সমাজকর্মী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। সরকারের বিভিন্ন পদে নিযুক্ত হয়েছেন এবং আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস মহিলা লীগের প্রধান। তিনি আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তার প্রকৃত নাম নমজামো উইনফ্রেদা জানিউই মাদিকিজেলা।
বৈবাহিক জীবন
[সম্পাদনা]দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে তিনি বিয়ে করেন। মে, ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ম্যান্ডেলা ও তিনি দুই বছর পূর্ব থেকেই পৃথকভাবে বসবাস করতে থাকেন। অতঃপর ১৯ মার্চ, ১৯৯৬ সালে আদালতের বাইরে অনির্ধারিত জায়গায় তাদের মধ্যেকার চূড়ান্ত বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে।[১] তিনি পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবী করেছিলেন। যার অর্ধেক ছিল তার দাবীকৃত সাবেক স্বামীর সম্পদ। কিন্তু আদালতে অর্থ সংক্রান্ত শুনানীতে দাবীর সপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপনে ব্যর্থ হন। [২]
রাজনীতি
[সম্পাদনা]২০০৯ সালের দক্ষিণ আফ্রিকার সাধারণ নির্বাচনে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস বা এএনসি'র নির্বাচনী তালিকায় উইনি ম্যান্ডেলা পঞ্চম স্থানে ছিলেন। এএনসি'র সভাপতি ও দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান রাষ্ট্রপতি জ্যাকব জুমা, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি কেগালেমা মোতলান্থে, দক্ষিণ আফ্রিকার উপ-রাষ্ট্রপতি বালেকা এমবেতে এবং অর্থমন্ত্রী ট্রেভর ম্যানুয়েলের পরই তার অবস্থান। দি অবজারভার পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। সেখানে তার অবস্থান শীর্ষস্থানীয় হিসেবে তুলে ধরা হয় এবং দলীয় নেতৃত্ব মনে করছে যে নির্বাচনে তিনি অমূল্য রতন হিসেবে চিহ্নিত। এছাড়াও তিনি দলের তৃণমূল পর্যায়ে বেশ জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ও গরিব-দুঃখীদের কাছে বেশ পছন্দনীয়।[৩]
মার্চ, ২০০৯ সালে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন জানায় যে, এএনসি'র মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ২০০৯ সালের দক্ষিণ আফ্রিকার সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ ছিল।[৪]
বিতর্ক
[সম্পাদনা]সমাজকল্যাণ ও রাজনীতিতে উইনি ম্যান্ডেলা বিতর্কিত হয়ে আছেন। তারপরও তিনি তার সমর্থকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। সমর্থকেরা তাকে জাতির মাতা নামে অভিহিত করে থাকেন। কিন্তু তার প্রতিপক্ষরা বেশকিছু মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত কারণে তাকে দোষারোপ করেছেন। বিশেষ করে ১৯৮৮ সালে ১৪ বছর বয়সী স্টমপি মোয়েকেতসি নামীয় আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস কর্মীকে অপহরণ ও খুনের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে আসছেন।[৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Daley, Suzanne (20 March 1996). "South African Judge Gives Nelson Mandela a Divorce". The New York Times.
- ↑ ""Nelson and Winnie Mandela divorce; Winnie fails to win $5 million settlement". Jet. 8 April 1996."। ১৬ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১২।
- ↑ Winnie set for shock comeback to ANC politics. Guardian. Retrieved 30 May 2011.
- ↑ "Winnie Mandela 'can run in poll'". BBC News. 23 March 2009. Retrieved 24 March 2009.
- ↑ "Winnie says evidence against her is 'ludicrous'". BBC News. 4 December 1997. Retrieved 25 August 2009.