উইকিপিডিয়া:উইকিপত্রিকা/পৌষ ১৪৩১/ভ্রমণ
উইকি তারকা সম্মেলন
গত বছর থেকে বোধহয় শুনছিলাম, উইকিসম্মেলন ধরনের কিছু একটা হওয়া নিশ্চিত হয়েছে। নিশ্চিত হওয়া থেকে প্রজ্ঞাপনে আসার সময়টা বেশ বড় ছিল। এই মে’র শেষদিকে আলোচনাসভায় বার্তা পাই স্বেচ্ছাসেবকে যোগ দেয়ার জন্য ফরম খোলা হয়েছে। সেসময়ে আমি খুব ব্যস্ত। এমনকি কোনো বিরতির দিন ছাড়াই কখনো কখনো সপ্তাহে ৭০ ঘন্টার উপরেও কাজ করতে হচ্ছিল। আমি নিশ্চিত ছিলাম না যে, আমার জন্য এতে যোগ দেয়া ঠিক হবে কিনা; কারণ কিছুদিন পরে আবার বিরতি নেয়ার পরিকল্পনা ছিল। কী যেন ভেবে ফরমটা পূরণ করে ফেলি, তা-ও দুইটা বিভাগে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার জন্য। যদিও শেষপর্যন্ত অনুষ্ঠান বিন্যাস উপদলে স্থান পাই। অনুষ্ঠান বিন্যাসের ব্যাপারে আমার ধারণা বেশ কম ছিল, কমপক্ষে এমন ধরনের আয়োজনের অনুষ্ঠানের বিন্যাস কে বা কারা কীভাবে করে জানা ছিল না। শেষপর্যন্ত শেখার চিন্তায়ই নিশ্চিত করে ফেললাম যে, কাজটা আমি করছি। এর মধ্যে বৃত্তির জন্য আবেদন করে নিয়েছিলাম, যেটা গ্রহণ করা হয়েছিল। আমরা প্রতি সপ্তাহে কাজ করছিলাম অনুষ্ঠান বিন্যাস নিয়ে।
আমি যোগদান করি ১৫ই নভেম্বর দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসটি ধরি। এখানেই প্রথমে একগুচ্ছ উইকিমিডিয়ানদের সাথে দেখা হয়। আমি বর্ণে লিখা নামের সাথে রক্তবর্ণের নামে মিল খুঁজছিলাম। অন্য সকলে বোধহয় আমার মতই নিরাশ হয়েছে। অন্যদের নিরাশ হবার কথাই, কাপুদান পাশা নামে লেখালেখি করি। অথচ না আছে রণতরী, না আছে কোনো মুকুট। পাশে বোধহয় কেউ কেউ একটা তরবারিও কল্পনা করে থাকবেন। যাইহোক, বাসটা আমাদের নিয়ে এলো গাজীপুরের মাওনা রোডে অবস্থিত ড্রিম স্কয়ার রিসোর্টে। রিসোর্টের প্রথম দর্শনে আমি বেশ প্রসন্ন হলাম। মাগরিবের নামাজের পরে কারুর সাথে অডিটোরিয়াম দেখতে চলে এলাম। সত্যি বলতে অডিটোরিয়ামটা আমার খুব একটা পছন্দ হয়নি। আকারে ছোট হবার কারণে নাকি ভিতরের কোনো গঠন আমাকে বিরক্ত করছিল, জানিনা। রাত্র পর্যন্ত প্রায় সব উইকিমিডিয়ানদের সাথেই পরিচয় হওয়া সমাপ্ত হয়ে গেল। গল্পে গল্পে আমরা রাতের খাবার পর্যন্ত পৌঁছে গেলাম। খাবার শেষে ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
প্রথম দিন সম্মেলন শুরু হবার কথা যখন, তখন যথাসম্ভব সেটা হয়নি। উপস্থাপনা শুরু করেছিলেন রকি মাসুম ভাই। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম কথা বলা শুরু করলেন নাহিদ সুলতান ভাই। তিনি নীতিমালাগুলি, যা অনুসরণ করা উচিত নয়- বুঝিয়ে বললেন। আর যেগুলি অনুসরণীয়; তার বিশ্বাস ছিল, আমরা সেগুলি বুঝি। এরপর আসলেন ফয়জুল লতিফ স্যার। তিনি উইকিপিডিয়া নিয়ে তার বেশ কয়েকটি অভিজ্ঞতাসহ বাংলা উইকিপিডিয়ার অভিযাত্রা ও সমস্যা শিরোনামে আলোচনা করলেন। আমি আসলে এই প্রবীণ শিক্ষকের সাথে আরও কয়েকবার কিছু শিখতে বসতে চাইবো। সবসময় নয়, কারণ তার সময়ের মূল্য আমি বুঝি। কেতাবি জ্ঞান ছাড়াও বেশ কিছু শিক্ষা তিনি আমাকে সহ অনেককে দিয়েছেন। কমনসেন্সের অর্থ আমরা সাধারণ জ্ঞান করি, উনি শেখালেন- কাণ্ডজ্ঞান নির্ভুল অনুবাদ হবে। আবার উইকিপিডিয়ায় দীর্ঘদিন কাজ করলেও উইকির পূর্ণরূপ জানার প্রয়োজনবোধ কখনো করিনি। একই রাতে তাঁর সাথে একই টেবিলে খাবার খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। তিনি কিছু ইতিহাসের ইতিকথা জানালেন। বইপত্র পড়ে কিছু জানার থেকে জ্ঞানী কারুর থেকে কিছু জানা অনেক বেশি মূল্যবান। আমি বাংলাদেশের ইতিহাসের ব্যাপারে কিছু ভুল ইতিহাস জানি, তিনি রাতের সেই খাবারের টেবিলের আলাপে বেশ কয়েকটা দিক তুলে ধরলেন। এরমধ্যে উনার থেকে প্রাপ্ত একটি শিক্ষা না জানালে কালকের খাবার আমার হজম হবেনা। আমাদের পিছনের একটি কমবয়স্কের বা বেশি বয়স্কের হাত থেকে কিছু একটা পড়ে বেশ আওয়াজ হল। চমকে আমি পিছনে তাকালাম। তিনি শেখালেন, আকস্মিক এসবের দিকে তাকাতে হয়না। আমি পরে বিষয়টি নিয়ে বেশ ভেবেছি, আসলেই তো! আমি ওখানে থাকলে কি নিজের জন্য এভাবে অন্যের তাকানোটা পছন্দ করতাম?
অনুষ্ঠানে ফিরি। এরমধ্যে বাংলা উইকিপিডিয়ার প্রশাসকদের একটা প্যানেল আলোচনা শুরু হল। তারা বোধহয় বেশ সময় ধরে নকল বুদ্ধি (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নিয়ে আলাপ টেনেছিলেন। এদিকে আমাদের হ্যাকাথন শুরু হয় অন্য কক্ষে। সেখানে সময় দিতে চলে যাই। আমি মাঝেমাঝে এসে কয়েকটি উপস্থাপনা শুনলেও খুব বেশি সময় নিয়ে শুনিনি বিধায় সেসব আমার খুব একটা মনে নেই। হ্যাকাথনের কক্ষে বেশ কয়েকটি কাজ হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে বলতে গেলে ইয়াহিয়া ভাই একটি স্ক্রিপ্ট তৈরি করেন। আমিও কিছু টুকিটাকি কাজ করি। এদিকে ইশতিয়াক আব্দুল্লাহ আর মেহেদী আবেদীন ভাইরা অনুবাদে কিছু সহায়তা করেন। আর রিফাতের সাথে কয়েকটা বিষয়ে আলাপ করি, সে আসতে না পারলেও হ্যাকাথনকে সফল করতে অনলাইনেই যোগাযোগ করে যথেষ্ট শ্রম দিয়েছিল।
দলবদ্ধ ছবি তুলতে তুলতে রাত হয়ে যায় প্রায়। হালকা শীতেই আমি কিছুটা অসুস্থ অনুভব করছিলাম। এরই মাঝে সিয়াম ভাইয়ের সাথে আলাপ জমানোর চেষ্টা করি। আমি কালপুরুষ ফন্টের ব্যাপারে কিছু অভিযোগ করলাম। তিনিও খুব ধৈর্য নিয়ে শুনে জানালেন, উন্নয়নের ইচ্ছা তার আছে; কিন্তু সময় করা যাচ্ছেনা। এসব আলাপের মধ্যেই আলাপ শেষ করার আওয়াজ বাড়তে লাগলো। আমরা হালকা নাশতার জন্য নিচে নেমে এলাম। রাতের খাবারের আগে একটা ফুটবল ম্যাচ খেলেছিলাম। যাতে আমরা হেরে যাই। আসলে আমি দীর্ঘদিন কোনো খেলাতেই নেই। এর মধ্যে এই কায়িক পরিশ্রম বেশ কঠিন ছিল। কিন্তু এটা আমার অসুস্থভাব সারাতে বেশ কাজে দেয়।
দ্বিতীয় দিন আমরা সবাই পরিচিত। দ্বিতীয় দিন আমাদের আয়োজন দুই কক্ষে ভাগ হয়ে যায়। আমার আগে উইকিমিডিয়া আন্দোলন নিয়ে প্যানেল আলোচনা হয়। আমি নারী ও সংখ্যালঘু নিয়ে আলাপ করি। যদিও আমার মাইকে কথা বলার অভ্যাস নেই। কী আজগুবি বলেছি জানিনা। আমার পরে দোলন প্রভাও কাছাকাছি বিষয়ে আলোচনা করেন। এরপর আসাম থেকে আগত অসমীয়া উইকিপিডিয়ার প্রণামিকা অধিকারী অসমীয়া উইকিগুলির মান-অমান নিয়ে আলাপ করলেন। এই সময়েই তিনি উইকিপত্রিকার বিষয়ে আলোচনা উঠান। আমি চিন্তা করেছিলাম অপর কক্ষে চলমান আলোচনাগুলি শোনবার। কিন্তু হ্যাকাথনের উপস্থাপনা তখনও প্রস্তুত হয়নি। তাই আমি বড় কক্ষে বসেই আলোচনা শুনতে শুনতে হ্যাকাথনের উপস্থাপনাটি তৈরি করছিলাম। তবে মাঝখানে গিয়ে ইয়াহিয়া ও শাকিল ভাইয়ের আলোচনা শোনা হয়েছিল খানিকটা। এরপর আমরা আজকে দুপুরেই ছবি তোলার জন্য মাঠে চলে গেলাম। খাবারের পর হ্যাকাথনের উপস্থাপনায় আমি ব্যস্ত হলাম। তারপর মামুন রশিদ স্যার নকল বুদ্ধি নিয়ে একটি বিস্তর বক্তব্য দিলেন। অনেকগুলি উৎস দেখালেন ও আকর্ষণীয় কিছু বিষয় আমাদেরকে জানালেন। তারপর শাবাব মুস্তাফা ভাইয়ের সমাপনী বক্তব্যে অনুষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়। বিকালে গালগল্পের পরে রাতে খেলার আয়োজন চলতে থাকে। ফুটবল দিয়ে আমরা একটা দল ভলিবল খেলতে নেমে গেলাম। আরেকটা দল ব্যাডমিন্টন খেলতে নেমে গেলেন। আমি প্রথমে অবশ্য ব্যাডমিন্টন নিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু ব্যাডমিন্টন বেশি সিরিয়াস হয়ে যাওয়ায় আর খেলা হয়নি। রাতের খাবারের পর ঘুমাতে গিয়েও ঘুম আসলো না। আমি নেমে এলাম শাকিল ভাইদের রুমে। সেখান থেকে ফিরতে ফিরতে আমার রুমমেট মেহেদী আবেদীন ভাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সেজন্য তালা খোলার জন্য আমাকে যেতে হত হাউসকিপিংয়ে। সেখানে যেতে গিয়ে মাঠের এক কোণে পুরাতন উইকিপিডিয়ানদের মিলনমেলা দেখে বসে পড়লাম। শাবাব ভাই, তানভির ভাই, নাহিদ ভাই, ইয়াহিয়া ভাইসহ অনেকে বিভিন্ন ধরনের গালগল্প শোনালেন। অতীত অভিজ্ঞতা, উইকিপিডিয়ার বিভিন্ন দিক আর উইকিমিডিয়ার বিভিন্ন টুলস ও গোপনীয়তা নিয়ে বেশ আলাপ হয়েছিল। সেইদিন ঘুমাতে ঘুমাতে ফজরের পর হয়ে গিয়েছিল।
কিছু বিষয় আমার খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে সবসময় যাদের সাথে অনলাইনে ঝগড়া করি, তাদের সাথে সামনাসামনি ঝগড়া করাটা অন্যরকম ব্যাপার ছিল। এছাড়া ফয়জুল লতিফ স্যারের বিষয় তো উপরে বলেছি, এছাড়াও অনেকের থেকে অনেক নতুন কিছু শিখতে পেরেছি। উইকিসম্মেলনের খাবার-দাবারের মান নিয়ে আমার প্রথমে কোনো অভিযোগ ছিল না। তবে শেষ রাতের খাবার নিয়ে অভিযোগ আছে। এটা যদিও রিসোর্টের দায়, কিন্তু সম্মেলনের আয়োজকরা বিষয়টা আরেকটু খেয়াল করতে পারতেন। আমার প্রথম দেখায় অন্যদের মত রিসোর্টটা খুব জাঁকজমক মনে হলেও এসব বিষয়ে রিসোর্টটা খুব ভালো লাগেনি। বিশেষ করে ওয়াইফাইয়ের অতিরিক্ত সমস্যা আমাকে, অন্যদেরকে ও হ্যাকাথনকে ব্যাঘাত করেছে। এছাড়া অডিটোরিয়ামটা বেশ ছোট ছিল। আইভরি রুম নামের ছোট রুমটা পরিপাটি থাকলেও তাতে যথেষ্ট সংযোগ ছিল না। যদ্দরুণ ল্যাপটপ চার্জ দিতে গিয়ে পছন্দের জায়গায় বসে হ্যাকাথনের কাজগুলি সম্পন্ন করতে পারিনি। যদিও নামাজের ঘরটা বেশ ভালো ও মনোরম ছিল। রুমের ভিতরে প্রথমদিন আমি কিবলা খুঁজে নামাজ পড়েছিলাম। পরের দিন শুয়ে পড়ার পর দেখলাম সিলিংয়ে কেবলার সংকেত দেয়া আছে। এছাড়া সন্ধ্যা বেলার চিকিরমিকির আওয়াজে মুখরিত রিসোর্টটা আমাকে বেশ আবেশে রেখেছিল।
আজকে আয়োজনের একমাস পরে এসেও অনেক কিছু আমি মনে করতে পারছি। এমনিতে দুইদিন পরেই সব ভুলে যাওয়া আমার পুরাতন বাজে স্বভাব। কিন্তু এই উইকিসম্মেলনটা আমাকে এখনো ঘোরের মধ্যে রেখেছে। দুয়েকদিন আগে স্বপ্নেও দেখছিলাম যে, আমি দ্বিতীয়দিনের হ্যাকাথনের প্রেজেন্টেশনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। ঘুম থেকে উঠে নিজেকে ঘরে আবিষ্কার করে নিজেকে বিশ্বাস করতে বেশ সময় নিয়েছিল।
বিশেষ করে শেখ সাদী ভাইকে খাবার নিয়ে মিথ্যামিথ্যি ঝগড়া করা, শাবাব ভাইয়ের অভিজ্ঞতার গল্প শোনা, নাহিদ সুলতান ভাইয়ের বন্ধুর ন্যায় আচরণ, তানভির ভাইয়ের জার্মানির গল্প শোনা, শাকিল ভাই আর ইয়াহিয়া ভাইয়ের সাথে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার নামে এদিক-সেদিকের আড্ডা দেয়া, নাহিদ হোসাইন ভাইকে বারবার শুধুশুধু ছবি তুলতে বলা, জাহিন ভাইকে জেনেশুনে বকা দিয়ে ভুলে বকা দিয়েছি বলে ক্ষমা চাওয়া, সাজিদ করিম ভাইকে তিনি নীরবতা পছন্দ করেন কিনা- সেটা বারবার জিজ্ঞাসা করা, মহীন রীয়াদ ভাইদের সাথে ফুটবল খেলা, রিয়াজ ভাইকে ফুটবল খেলায় হারতে সাহায্য করা, ইশতিয়াক আব্দুল্লাহর কথাগুলি ক্রমান্বয়ে শুনতে থাকা, ইকবাল ভাই আর সুফি ভাইয়ের সাথে ধর্মীয় বিষয়ে বিতর্ক করা, সাকিব ভাইকে ধর্মীয় বিষয়ে গুরুগম্ভীর উপদেশ দেয়া, ফিরোজ ভাইয়ের সাথে বারবার নামাজের সময়ে দেখা হওয়া-কথা হওয়া-মাসয়ালা নিয়ে বিতর্ক হওয়া, অর্ণব ঘোষ ভাইয়ের সাথে পুরাতন বিতর্ক নিয়ে আলাপ জুড়ে দেয়া, মঈনুল ভাই থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ শোনা, দেলোয়ার আকরাম ভাইয়ের সব বক্তব্যে প্রথমে বিরোধিতা করে নেয়া, হিমাল সুবাদী ভাই থেকে নেপালি শেখার চেষ্টা করা, ঐশিক ভাইয়ের সাথে রাজনৈতিক অপালাপ করা, মারুফ ভাইকে হ্যাকার হিসেবে উপস্থাপন করা.... এগুলিসহ তিনদিনের বিভিন্ন স্মৃতি আমার মাথায় সময়ে সময়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।
এই উইকিসম্মেলনটা আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যোগ করেছে। শুধুমাত্র উইকিপিডিয়া সম্পর্কে জানা নয়, বরং জীবনের নানা দিক নিয়ে নতুন করে ভাবতে শিখেছি। সবার সাথে মিলেমিশে কাজ করা, নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় করা, নতুন নতুন জিনিস শেখা- এই সবকিছু আমার জন্য অনেক বড় উপহার ছিল। এজন্য আমি এর নাম দিয়েছি, উইকি তারকা সম্মেলন!
আলোচনা করুন