ইস্সাক
ইশক इसक | |
---|---|
পরিচালক | মনীশ তিওয়ারি |
প্রযোজক | ধবল গদা শৈলেশ আর. সিং |
শ্রেষ্ঠাংশে | প্রতীক বব্বর আমিরা দস্তুর রবি কিষন মকরন্দ দেশপাণ্ডে নীনা গুপ্তা প্রশান্ত নারায়ণন সুধীর পাণ্ডে প্রশান্ত কুমার অমিত সিয়াল বিনীত কুমার ইউরি সুরি মালিনী অবস্থি |
সুরকার | গান: শচীন-জিগর সচীন গুপ্ত কৃষ্ণ নেপথ্য সংগীত: প্রশান্ত পিল্লাই |
চিত্রগ্রাহক | বিশাল সিনহা |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
মুক্তি |
|
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
ইস্যাক (হিন্দি: इस्साक; অনুবাদ: প্রেম) হল ২০১৩ সালের ২৬ জুলাই মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় হিন্দি রোম্যান্টিক চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেন মনীশ তিওয়ারি এবং প্রযোজনা করেন ধবল গদা ও শৈলেশ আর. সিং। ছবির কাহিনি ও চিত্রনাট্য রচনা করেন পদ্মজা ঠাকোর-তিওয়ারি, মনীশ তিওয়ারি ও পবন সোনি। ছবিটিতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন প্রতীক বব্বর, রাজেশ্বরী সচদেব, রবি কিষন ও মকরন্দ দেশপাণ্ডে। বক্সঅফিসইন্ডিয়া.কম-এর মতে, ছবিটি বক্স অফিসে ছিল একটি ডিসাস্টার।[১] ছবির উপজীব্য জমির উপর নিয়ন্ত্রণ দখলের জন্য বারাণসীর জমি মাফিয়া কাশ্যপ ও মিশ্র পরিবারের মধ্যে রক্তক্ষয়ী প্রতিযোগিতার গল্প।
কাহিনি-সারাংশ
[সম্পাদনা]এই ছবিটি উইলিয়াম শেকসপিয়রের রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট নাটকের ভারতীয় রূপান্তর। ছবির প্রেক্ষাপট বারাণসী ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল। অঞ্চলটি শহুরে অভিজাতদের নিয়ন্ত্রণে জমি মাফিয়াদের মধ্যে হিংসাত্মক ঘটনা এবং সমানভাবে হিংস্র নকশাল বাহিনীর পালটা হিংসাত্মক ঘটনার সাক্ষী। জমি মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণ করে বারাণসীর দুই প্রভাবশালী পরিবার – কাশ্যপ ও মিশ্র। তাদের মধ্যে ভয়ংকর প্রতিযোগিতা। কাশ্যপ পরিবারের কর্তা বিশ্বনারায়ণ কাশ্যপের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর এক অষ্টাদশী কন্যা আছে। তার নাম বাচ্চি। অন্যদিকে মিশ্র পরিবারের কর্তা মনোহর মিশ্রের ছেলে রাহুল এক সুদর্শন কিশোর। পারিবারিক প্রেক্ষাপটের পরিপ্রেক্ষিতে তারও আগ্রহ শুধু মেয়েমানুষ ও বন্দুক। দুই পরিবারের মধ্যে সংঘাত চরম আকার ধারণ করলে সব কিছু পালটে যায়। ভোগসুখে মত্ত রাহুল এবং ভাবপ্রবণ অথচ দৃঢ়চেতা বাচ্চি পরিণতর চিন্তা না করেই পরস্পরের প্রেমে পড়ে।
কলাকুশলী
[সম্পাদনা]- প্রতীক বব্বর – রাহুল মিশ্র (রোমিও)
- আমিরা দস্তুর – বাচ্চি কাশ্যপ (জুলিয়েট)
- রবি কিষন – তিতা সিং (টাইবল্ট)
- রাজেশ্বরী সচদেব – পারো কাশ্যপ, বাচ্চির সৎ-মা (লেডি ক্যাপুলেট)
- মকরন্দ দেশপাণ্ডে – বাবা (ফ্রেয়ার লরেন্স)
- নীনা গুপ্তা – আম্মা (ধাত্রী)
- প্রশান্ত নারায়ণন – নকশাল নেতা
- সুধীর পাণ্ডে – বিশ্বনারায়ণ কাশ্যপ, বাচ্চির বাবা (ক্যাপুলেট)
*সন্দীপ বসু – মনোহর মিশ্র, রাহুলের বাবা (মন্টেগু)
- প্রশান্ত গুপ্ত[২] - প্রীতম (প্যারিস)
- অমিত সিয়াল - মুরারি (মার্ক্যুশিও)
- বিনীত কুমার সিং – বিহাতা (বেনভোলিও)
- যোগেশ সুরি - প্রিন্স
- মালিনী অবস্থি - মনোরমা
- ইভিলিন শর্মা – রোজা (রোসালিন)
- ইউরি সুরি - মন্ত্রী
- অখিলেশ ঝা - মহেন্দর
- সৌরভ যাদব - পরশ
- মেহদি - নন্দকিশোর
- ইশতিয়াক খান - সাংবাদিক
- পারভেজ ফজল খান - সুর্তা
- প্রদীপ ঘোষ - মিশ্রিলাল
বাজারজাতকরণ
[সম্পাদনা]অমিতা কা অমিত নামে একটি টেলিভিশন ধারাবাহিকে ছবিটি প্রচার করা হয়।[৩][৪] মুম্বই শহরের প্রধান শপিং মলগুলিতে বেনারসি পানের মাধ্যমে প্রযোজকেরা ছবিটির প্রচার চালান।[৫]
সাউন্ডট্র্যাক
[সম্পাদনা]শচীন-জিগর ছবির গানগুলিতে সুরারোপ করেন এবং নেপথ্য সংগীত রচনা করেন প্রশান্ত পিল্লাই।
ইশক | ||||
---|---|---|---|---|
কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম | ||||
মুক্তির তারিখ | ২৬ জুলাই, ২০১৩ | |||
ঘরানা | চলচ্চিত্র সাউন্ডট্র্যাক | |||
সঙ্গীত প্রকাশনী | জি মিউজিক কোম্পানি | |||
প্রযোজক | শৈলেশ আর. সিং | |||
শচীন-জিগর কালক্রম | ||||
|
ট্র্যাকতালিকা
[সম্পাদনা]নং. | শিরোনাম | গীতিকার | সুরকার | শিল্পী(বৃন্দ) | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|---|---|
১. | "ইশক তেরা" | ময়ূর পুরী | শচীন-জিগর | মোহিত চৌহান | ৩:১৬ |
২. | "ইশক তেরা (দ্বৈতকণ্ঠে)" | ময়ূর পুরী | শচীন-জিগর | মোহিত চৌহান, বিভা সরাফ | ২:১২ |
৩. | "ঝিনি রে ঝিনি" | শচীন-জিগর | রাশিদ খান, প্রতিভা বাঘেল | ৭:২৫ | |
৪. | "ভোলে চলে" | রাহুল রাম, শচীন গুপ্ত | |||
৫. | "আগ কা দরিয়া" | অঙ্কিত তিওয়ারি | |||
৬. | "এন্নে উন্নে" | কীর্তি সাগতিয়া, মমতা শর্মা, তরুণ সাগর, পাপন | |||
৭. | "আগ কা দরিয়া (আনপ্লাগড)" | শচীন গুপ্ত | |||
৮. | "তরসে নয়না" | সুখবিন্দর সিং, মালিনী অবস্থি | ৫:১৯ |
সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]ছবিটি সম্পর্কে সমালোচকেরা মূলত নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াই ব্যক্ত করেন। ফার্স্টপোস্ট পত্রিকার পিয়াশ্রী দাশগুপ্ত মন্তব্য করেন, "অবাক হতে হয় [এটা ভেবে যে,] কী ছিল এক বিখ্যাত ট্র্যাজেডি রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট [আর] সেই ধ্রুপদি প্রেমকাহিনিটির কী অবস্থা করেছে ইশক।"[৬] দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার শুভ্রা গুপ্ত ছবিটিকে বিশেষত্ববিহীন এবং নিজ দোষে দুষ্ট বলে মন্তব্য করেন।[৭] দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া পত্রিকায় ছবিটিতে প্রতীক বব্বর ও আমিরা দস্তুরের খারাপ অভিনয়ের সমালোচনার পাশাপাশি একটি ধ্রুপদি প্রেমকাহিনির চিত্রায়নের জন্য প্রয়োজনীয় গভীরতার অভাবের কথাও উল্লেখ করা হয়। অসংলগ্ন আখ্যানবিবরণ, চরিত্রায়নে অযত্ন, হালকা (ক্ষেত্রবিশেষে বিব্রতকর) সংলাপ, একটি ("ইশক তেরা") ছাড়া সব ক’টি মামুলি গান, অপ্রয়োজনীয় বন্দুকচালনার বাহুল্য, সোনায় মোড়া বন্দুক ও বোমাবাজির বাড়াবাড়ির জন্য এই পত্রিকায় পরিচালকের অদক্ষতার সমালোচনাও করা হয়। বলা হয় যে, "অতীতে শেকসপিয়রের রচনা অবলম্বনে অনেক সুন্দর চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। কিন্তু এই ছবিটি আপনার সৃজনশীল, কাব্যিক বা সিনেম্যাটিক অনুভূতিগুলিতে বেদনাদায়কভাবে আহত করবে।"[৮] হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকার সরিৎ রায় বলেন যে, খুব অল্প ক্ষেত্রেই শেকসপিয়রের কাহিনির এমন খারাপ চলচ্চিত্রায়নের ঘটনা ঘটেছে। মকবুল, ওমকারা ও আঙ্গুর-এর মতো বলিউডি শেকসপিয়র চলচ্চিত্রায়নের পাশে এই ছবিটির নাম যুক্ত হওয়ার ঘটনাকেও তিনি দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন।[৯]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Issaq Box Office Verdict by Box Office India"। BoxOfficeIndia.com। Box Office India। ৬ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "Two films and much more in the kitty for actor Prashantt Guptha"। www.indiannewsandtimes.com। ৭ ডিসেম্বর ২০১৫। ১৯ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-১৬।
- ↑ "Pratiek Babbar, Amyra Dastur promote Issaq on Amita ka Amit"। India Today (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-১৬।
- ↑ "Prateik-Amyra play cupid for Amita and Amit"। The Times of India। ১২ জুলাই ২০১৫। ২০১৩-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-১৬।
- ↑ "Issaq makers promote film through paan"। Business Standard India। ২০১৩-০৭-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-১৬।
- ↑ Dasgupta, Dasgupta। "Issaq Review: How Shakespeare's Romeo and Juliet was murdered"। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ Gupta, Shubhra (জুলাই ২৬, ২০১৩)। "Movie review Issaq: Shakespeare would not be grateful for this representation"। The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "Issaq Movie Review"। The Times of India। এপ্রিল ২৬, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ Ray, Sarit (জুলাই ২৭, ২০১৩)। "Sarit Ray's review: Issaq"। Hindustan Times। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে ইস্সাক (ইংরেজি)
- বলিউড হাঙ্গামায় ইস্সাক (ইংরেজি)