ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ
ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ | |
|---|---|
| সংক্ষেপে | আইডিএল |
| প্রতিষ্ঠাতা | ছিদ্দিক আহমদ, আবদুর রহিম |
| প্রতিষ্ঠা | ২৪ জুন ১৯৭৬ |
| ভাঙ্গন | ১৯৮৪ |
| পরবর্তী | ইসলামী ঐক্য আন্দোলন |
| রাজনৈতিক অবস্থান | ডানপন্থী |
| ধর্ম | ইসলাম |
| বাংলাদেশের রাজনীতি রাজনৈতিক দল নির্বাচন | |
ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ ছিল বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক সংগঠন, যা বিভিন্ন ইসলামপন্থী দলকে এক প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করেছিল। এই জোটটি ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গঠিত হয়। ওই নির্বাচনে তারা জাতীয় সংসদ-এ ৬টি আসন জয় করতে সক্ষম হয়।[১] এটি ছিল বাংলাদেশের ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করার প্রথম বড় প্রচেষ্টা। তবে, গঠনের পরপরই জোটের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা ও নেতৃত্ব নিয়ে সদস্য দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। এই কারণে, জোটটি একতা ধরে রাখতে পারেনি এবং শেষ পর্যন্ত ভেঙে যায়।[২][৩][৪]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]গণভোটের মাধ্যমে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গৃহীত পদক্ষেপগুলো অনুমোদিত হওয়ায় ইসলামি রাজনৈতিক দল গঠনে বাধা উঠে যায়। পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আমির ছিলেন মাওলানা আব্দুর রহিম। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর আবদুর রহিম জামায়াত নামে কোনও সংগঠন করতে ইচ্ছুক ছিলেন না।[৫] তখন তিনি এবং ছিদ্দিক আহমদ ১৯৭৬ সালের ২৪ আগস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টি, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফতে রব্বানী পার্টি এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ (আইডিএল) নামে একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম গড়ে তোলেন।[৬]
প্রথম কমিটিতে ছিদ্দিক আহমদ সভাপতি এবং আবদুর রহিম সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান। পরের বছর অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে আবদুর রহিমকে সভাপতি মনোনীত করা হয়।[৭]
দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ
[সম্পাদনা]১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ২০৭টি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৩৯টি এবং মুসলিম লীগ ১৪টি আসনে বিজয়ী হয়। ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ থেকে ৬ জন সদস্য সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "List of 2nd Parliament Members" (পিডিএফ)। Bangladesh Parliament। ৩১ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ Belal, Sk Tawfique Haque,Syeda Lasna Kabir,Mohammad Esa Ibn (৮ জুলাই ২০২৫)। "Will Islamic forces form an electoral unity, what will happen if they do?"। দৈনিক প্রথম আলো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: লেখকগণের তালিকা (লিঙ্ক) - ↑ "১৯৭৯ সালে আই.ডি.এল (ইসলামী ডেমোক্রেটিক লীগ)-এর মাধ্যমে নির্বাচিত এমপি ছিলেন যারা"। Bangladesh Jamaat-e-islami। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০২৫।
- ↑ এফ.এম মোস্তাফিজুর রহমান (২০১২)। "জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর (সম্পাদকগণ)। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১। ওসিএলসি 883871743। ওএল 30677644M।
- ↑ "৮০ বছর বয়সে জামায়াতের সফলতা কী?"। বাংলা ট্রিবিউন। ১৪ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০২০।
- ↑ "নিখোঁজ ৮০ রাজনৈতিক দল"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০২০।
- ↑ "ইসলামী রাজনীতিতে মওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম"। দৈনিক ইনকিলাব। ১ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "১৯৭৯ সালে আই.ডি.এল (ইসলামী ডেমোক্রেটিক লীগ)-এর মাধ্যমে নির্বাচিত এমপি ছিলেন যারা"। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ১ জানুয়ারি ১৯৭৯। ১২ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২০।