ইসরা ঘরায়েবের মৃত্যু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইসরা ঘরায়েবের মৃত্যু
তারিখ২২ আগস্ট ২০১৯; ৪ বছর আগে (2019-08-22)
অবস্থানবেথলেহেম
হতাহত

ইসরা ঘরায়েবের মৃত্যু্র ঘটনা হচ্ছে ফিলিস্তিন অঞ্চলের একটি বহুল আলোচিত "পারিবারিক সম্মান" রক্ষার্থে সংঘটিত হওয়া হত্যা বা অনার কিলিং। ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট তারিখে ফিলিস্তিন অঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর "বাইত লাহম" বা বেথলেহেমে ইসরা ঘরায়েবের মৃত্যু ঘটে।[১] জানা যায় ২১ বছর বয়সী ইসরা ঘরায়েবকে তার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা "সম্মান রক্ষার্থে হত্যা বা অনার কিলিংয়ের উদ্দেশ্যে মারধর করা হয়। তাদের দাবি করেছিল, তিনি তার বাগদত্তার সাথে বাগদানের একদিন আগেই একটি সেলফি পোস্ট করেছিলেন এবং এর ফলে তাদের পরিবারের "সুনাম ক্ষুণ্ণ" হয়েছে।[২][৩] তবে তার পরিবার এই সম্মান রক্ষার্থে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে, এর পরিবর্তে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু বরণ করেছেন।

মৃত্যু এবং তদন্ত[সম্পাদনা]

ইসরা ঘরায়েব ২২ আগস্ট ২০১৯ তারিখে বেইট শৌরে তার বাড়িতে মারধোরের ফলে আহত হয়ে পরিবর্তীতে মৃত্যু বরণ করেন। তার মৃত্যু ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভের কারণ এই অভিযোগ যে, এটি একটি সম্মানরক্ষার্থে হত্যা।[৩] ঘরায়েবের পরিবারের দাবি, তার মৃত্যুর কারণ ছিল হার্ট অ্যাটাক[৪] ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে এই মৃত্যুর ঘটনায় তিনজন লোক হেফাজতে ছিল এবং তারা চূড়ান্ত ফরেনসিক প্রতিবেদনের অপেক্ষায় ছিল।[৫] ২০১৯ সালের ১২ ই সেপ্টেম্বর তদন্তে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে বারবার মারধরের কারণে তার শ্বাসযন্ত্রে সৃষ্ট জটিলতার কারণে ঘরায়েব মারা যান। এই হত্যাকাণ্ডের ফলে ইসরা ঘরায়েবের পরিবারের তিনজন সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।[৬]

জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের মানুষ বেথলেহেমের ২১ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি তরুণী ইসরা ঘরায়েবের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #WeAreAllIsraa হ্যাশট্যাগ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করে। তিনি "অনার কিলিং"-এ প্রহৃত ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যান।[১][২]

প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

ইসরা ঘরায়েবের মৃত্যুর ঘটনা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করে। সাধারণ জনতা এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে ফিলিস্তিনিরা বেথলেহেম এবং রামাল্লা শহরে বিক্ষোভের ব্যবস্থা করে।[৭][৮]

ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংগঠন আদালাহ জাস্টিস প্রজেক্ট বলেছে যে তারা এই "জঘন্য হত্যাকাণ্ডে" "ক্ষুব্ধ এবং দুঃখিত"।[২]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

 

  1. "Death of Palestinian young make-up artist Israa Ghrayeb raises questions over "honor murder""। আগস্ট ৩১, ২০১৯। সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "qudsnetwork" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  2. Alghoul, Diana। "#WeAreIsraa: Outrage as Palestinian woman 'tortured to death' in honour killing"alaraby 
  3. "Protest erupt after 'honour killing' of 21-year-old woman"The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৯-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৫ 
  4. Abu Shukhaidem, Haya A.Y. (১ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "Palestinian teen's suspected 'honour killing' provokes outrage in West Bank"Middle East Eye। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  5. "Public Prosecution: Investigations into the Case of Israa Ghrayeb Are Ongoing (VIDEO)"। The Palestinian Chronicle। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  6. "Palestinian District Attorney: Israa Ghrayeb died as a consequence of being beaten"। Arab 48। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  7. Palestinian teen's suspected 'honour killing' provokes outrage in West Bank, 1 September 2019, Middle East Eye
  8. Israa Ghrayeb: Palestinian woman's death prompts soul-searching, 16 September 2019, BBC