ইরাক-বেলারুশ সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইরাক-বেলারুশ সম্পর্ক সম্পর্ক
মানচিত্র Belarus এবং Iraq অবস্থান নির্দেশ করছে

বেলারুশ

ইরাক

ইরাক-বেলারুশ সম্পর্ক, ইরাকবেলারুশ এর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ইরাকের রাজধানী বাগদাদ-এ বেলারুশের কোন দূতাবাস নেই। তবে আরবিল শহরে দেশটির একটি কনস্যুলেট রয়েছে। বেলারুশের রাজধানী মিন্‌স্ক এ ইরাকের একটি দূতাবাস রয়েছে। বেলারুশে নিযুক্ত ইরাকের সর্বশেষ রাষ্ট্রদূত ছিলেন হায়দার হাদী। তিনি ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সালে নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর, এখন পর্যন্ত ইরাকি সরকার সেই পদে আর কাউকে নিয়োগ দেয় নি। ফলে বেলারুশে অবস্থিত ইরাকি দূতাবাসে বর্তমানে কোন রাষ্ট্রদূত নেই।[১] উভয় দেশই জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) এর সদস্য।

সাদ্দামের ইরাক এবং বেলারুশ[সম্পাদনা]

বেলারুশের রাষ্ট্রপতি, অ্যালেকজান্ডার লুকাশেনকো, সাদ্দাম হোসেন এর একজন শক্ত সমর্থক ছিলেন। অভিযোগ পাওয়া যায় যে, সেসময় বেলারুশ এবং ইরাক এর মধ্যে সামরিক সমন্বয় ছিল। ইরাক যুদ্ধ এর পর, মিন্‌স্কে অবস্থিত ইরাকি দূতাবাস বন্ধ হয়ে যায়।[২] তবে পরবর্তীতে ২০১০ সালে এই দূতাবাস আবার চালু হয়।

২০০৩ পরবর্তী সম্পর্ক[সম্পাদনা]

ইরাক যুদ্ধের সময় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে, ২০১০ সালে ইরাকের নতুন সরকার এর সাথে বেলারুশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হয়। ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে ইরাকের বাণিজ্য মন্ত্রী বেলারুশ সফরে যান। সেখানে তিনি বেলারুশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভ্যালেন্টিন রাইবাকোভের সাথে বৈঠক করেন। তারা দুজন ইরাকে বেলারুশের বিভিন্ন কোম্পানির বিনিয়োগ বাড়ানোর উপর আলোচনা করেন। এর পাশাপাশি তারা এই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারেও বিস্তারিত আলোচনা করেন।[৩] ২০১৪ সালের আগস্ট মাসের শেষ দিকে বেলারুশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভ্লাদিমির মাকেই, ইরাকে একটি রাষ্ট্রীয় সফরে যান। তিনি ইরাকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যক্তিদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিস্তৃতি নিয়ে আলোচনা করেন। এর পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির ব্যাপারেও তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। ইরাকের পক্ষ থেকে বেলারুশের এই পদক্ষেপকে, তাদের উগ্রবাদের বিপক্ষে লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। [২] ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে মিনস্কে, বেলারুশের রাষ্ট্রপতি লুকাশেনকো এবং ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এক বৈঠকে মিলিত হন। তারা বাণিজ্যের বিস্তৃতি, সামরিক সমন্বয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করেন। সেখানে, ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, ইরাক বেলারুশের কাছ থেকে বিমান কিনতে আগ্রহী। বৈঠকের শেষে লুকাশেনকো বলেন, একটি স্থিতিশীল ইরাক গঠনে তিনি আগ্রহী।[৪][৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Embassy of Iraq in Minsk, Belarus ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ মে ২০১৫ তারিখে. Embassypages.com. সংগৃহীত ১৫ মে ২০১৫.
  2. Belarus talks with Neighbours and the EU, Ties with Iraq ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ মে ২০১৫ তারিখে. Belarus Digest. Igar Gubarevich. প্রকাশিত ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ও সংগৃহীত ১৬ মে ২০১৫
  3. Iraq, Belarus discuss mutual commercial relations ইরাকি নিউজ; ইব্রাহিম খলিল; প্রকাশিত ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ও সংগৃহীত ১৬ মে ২০১৫.
  4. Belarus offers to sell weapons to Iraq ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ জুন ২০১৬ তারিখে. প্রেস টিভি; প্রকাশিত ৯ এপ্রিল ২০১৫ ও সংগৃহীত ১৬ মে ২০১৫
  5. Belarus eager to enhance trade, economic, military cooperation with Iraq ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ জুন ২০১৬ তারিখে প্রকাশিত ৯ এপ্রিল ২০১৫ ও সংগৃহীত ১৬ মে ২০১৫