ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ရန်ကုန်အပြည်ပြည်ဆိုင်ရာလေဆိပ် | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | সরকারি | ||||||||||
পরিচালক | ইয়াঙ্গুন এ্যারোড্রম কো., লি. | ||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | ইয়াঙ্গুন | ||||||||||
অবস্থান | মিংল্রাডন ১১০২১, ইয়াঙ্গুন ইয়াঙ্গুন বিভাগ, মায়ানমার | ||||||||||
যে হাবের জন্য | |||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ১০৮ ফু / ৩৩ মিটার | ||||||||||
স্থানাঙ্ক | ১৬°৫৪′২৬″ উত্তর ৯৬°০৭′৫৯″ পূর্ব / ১৬.৯০৭২২° উত্তর ৯৬.১৩৩০৬° পূর্ব | ||||||||||
ওয়েবসাইট | www.yangonairport.aero | ||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||
| |||||||||||
পরিসংখ্যান (2016) | |||||||||||
মায়ানমার সরকার | |||||||||||
|
ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (বর্মী: ရန်ကုန်အပြည်ပြည်ဆိုင်ရာလေဆိပ်; এমএলসিটিএস: Yan Gon a pyi pyi hsai ya hlay hsate [jàɴɡòʊɴ əpjìpjì sʰàɪɴjà lèzeɪʔ]) (আইএটিএ: RGN, আইসিএও: VYYY) হলো মায়ানমারের প্রথম এবং সবচেয়ে ব্যস্ত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরটি কেন্দ্রীয় ইয়াঙ্গুন থেকে ১৫ কিলোমিটার (৯.৩ মাইল) উত্তর দিকের শহর মিংল্রাডনে অবস্থিত। মায়ানমারের দশটি বিমান পরিবহন সংস্থার সবগুলি এবং প্রায় ৩০টি আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। অবস্থানগত কারণে এই বিমানবন্দরটি মিংল্রাডন বিমানবন্দর নামেও সাধারণ্যের নিকট পরিচিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কালীন এই বিমানক্ষেত্রটি আরএএফ মিংল্রাডন নামে পরিচিত ছিলো এবং বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধবিমান পরিচালনার ক্ষেত্রে এটি একটি বিমান ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহৃত হতো; যেমনঃ আরএএফ ৬০ নং স্কোয়াড্রন ১৯৪১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৪২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্রিস্টল ব্লেনহেম ১-এর উড্ডয়ন, আরএএফ ৬৭ নং স্কোয়াড্রন ১৯৪১ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৪২ সালের মার্চ পর্যন্ত ব্রীফস্টার এফ২এ বাফেলো এবং হকার হারিকেন ২-এর উড্ডয়ন, আরএএফ ১৩৫ নং স্কোয়াড্রন ১৯৪২ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে হকার হারিকেন ২-এর উড্ডয়ন, আরএএফ ৬৮১ নং স্কোয়াড্রন ১৯৪৫ সালের জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুপারমেরিন স্পিটফায়ার-এর উড্ডয়ন এবং ৩য় স্কোয়াড্রন, চীনা বিমানবাহিনীর ১ম আমেরিকান স্বেচ্ছাসেবী দল (ফ্লাইং টাইগার্স) কারটিস পি-৪০-এর উড্ডয়ন কার্য এখান হতে পরিচালিত হয়েছিলো। টাইগার মথ এবং ওয়েস্টল্যান্ড লিসন্ডার্স-এর সহায়তায় এখানে বার্মার স্বেচ্ছাসেবক বিমান বাহিনীর একটি যোগাযোগকারী বিমান পরিবহন পরিচালিত হতো এবং ১২ বার্মা রাইফেলসের সদস্যরা এই বিমানবন্দরে বিমান বিধ্বংসী ব্যবস্থাপনা সহায়তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল।
১৯৪৭ সালে কলকাতা মহানগর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাবেক বিমানক্ষেত্র আরএএফ মিংল্রাডনে এই বিমানবন্দরটি নির্মাণ করা হয়। একদা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সেরা বিবেচিত হওয়া এবং এই অঞ্চলের প্রধান বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া এই বিমানবন্দরটি সংস্কারবিহীনভাবে ফেলে রাখা হয় এবং এমনটি দীর্ঘ কয়েক দশক যাবৎ অব্যাহত থাকে, ইত্যবসরে কিছু নতুন প্রধান সংযোগস্থল, যেমনঃ সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর, ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর এবং জাকার্তার সুকর্ণ-হাত্তা নির্মিত হয় এবং ইয়াঙ্গুনে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সেসব বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত হয়ে পড়ে।
২০১৬ সালের শুরুতে এই বিমানবন্দরটিকে প্রতি বছর ৬ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে হান্থাওয়াড্ডী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে একটি সম্পূর্ণ নতুন এবং বৃহত্তর আকারের বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যেটি বৃহদায়তন এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে এবং ইয়াঙ্গুন থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিমিডিয়া কমন্সে ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
- ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
- ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর - ফেসবুক-এ।
- VYYY সম্পর্কিত বিমানবন্দর তথ্যাদি - ওয়ার্ল্ড এ্যারো ডাটা