ইব্রাহিম রুগোভা
ইব্রাহিম রুগোভা | |
---|---|
কসোভোর প্রথম রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ২৪শে মে ১৯৯২ – ২১শে জানুয়ারি ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | নাই |
উত্তরসূরী | ফাতমির সেজদিউ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ক্রিন্স, কসোভো | ২ ডিসেম্বর ১৯৪৪
মৃত্যু | ২১ জানুয়ারি ২০০৬ প্রিস্টিনা, কসোভো[Note ১] | (বয়স ৬১)
রাজনৈতিক দল | এলডিকে (১৯৮৯-২০০৬) |
দাম্পত্য সঙ্গী | ফানা রুগোভা |
সন্তান | মেনদিম রুগোভা উকে রুগোভা টিউতা রুগোভা |
স্বাক্ষর |
ইব্রাহিম রুগোভা[১] (ডিসেম্বর ২, ১৯৪৪ - জানুয়ারি ২১, ২০০৬) ছিলেন কসোভোর প্রথম রাষ্ট্রপতি, প্রথম সারির কসোভো-আলবেনীয় রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী ও লেখক। তিনি প্রথমে ১৯৯২ থেকে ২০০০ পর্যন্ত ও দ্বিতীয়বার ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কসোভোর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাকে বিশেষ করে কসোভো যুদ্ধের সময়, যুগোস্লাভিয়া শাসনের বিরুদ্ধে এবং মার্কিন ও ইউরোপীয় সমর্থনের জন্য তদবির করার জন্য একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধের সমর্থনে, স্বাধীনতার জন্য একটি জনপ্রিয় সংগ্রাম করতে দেখা গিয়েছিল। তিনি প্রাচীন স্বাধীন রাজ্য (যা পরবর্তীতে রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে চলে যায় ও বর্তমান কসোভোর অন্তর্ভুক্ত) দারদানিয়ার ঐতিহ্যের উপর জোড় দেন এবং তিনি পশ্চিমাদের সাথে কসোভোর নীতি উন্নিত করেন। কসোভো ইতিহাসে তার অনন্য ভূমিকার জন্য তাকে কসোভোর জাতির পিতা ও বলকানের গান্ধী উপাধি দেওয়া হয়। অন্যান্য পুরস্কারের মধ্যে তিনি শাখারভ পুরস্কারে ভূষিত হন এবং মৃত্যুর পর তাকে কসোভোর জাতীয় বীর উপাধি দেওয়া হয়।
রুগোভা যুগোশ্লাভিয়ার (বর্তমান কসোভো) একটি আলবেনীয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন; তিনি যখন শিশু তখন যুগশ্লাভের কমিউনিস্ট সরকার তার পিতা ও দাদার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। তিনি প্রিসটিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষালাভ করেন এবং আলবেনীয় সাহিত্য সমালোচনার উপর প্রবন্ধ রচনা করে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি আলবেনীয়দের পক্ষে একটি নাগরিক অধিকার আন্দোলনে যোগদান করেন এবং নিজের কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য যুগোশ্লাভিয়ার কমিউনিস্ট সরকারের সাথে যোগ দেন। ফলে, তিনি আলবেনিয়ান স্টাডিজ ইনস্টিটিউট এ মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ প্রকাশনা ও গবেষণা সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন; ১৯৮৮ সালে তিনি কসোভো লেখক ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৮৯ সালে রগোভা রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, তিনি কসোভো গনতান্ত্রিক লগি নামে নতুন গঠিত একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান নির্বাচিত হন যারা সাবেক যুগোস্লাভিয়ায় পাশ হওয়া কসোভো স্বায়ত্তশাসন খর্ব বিলের বিরোধিতা করেন। ১৯৯২ সালে রগোভা কসোভোর প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হন, তখনও এর স্বাধীনতা ঘোষণার কথা প্রকাশ করা হয়নি। এই দলটি গঠিত হয়েছিল যুগোস্লাভিয়া সরকারের মধ্যে থাকা কসোভোর সমর্থকদের দ্বারা। কসোভোর নতুন গঠিত সরকার বিভিন্ন বিদেশী দাতাগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়; এর মাধ্যমে তারা কসোভোর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রশাসনিক বিষয়ক অনেক উন্নয়ন করতে সমর্থ হয়।
পদটীকা
[সম্পাদনা]- ↑ Kosovo is the subject of a territorial dispute between the Republic of Serbia and the Republic of Kosovo. The latter declared independence on 17 February 2008, but Serbia continues to claim it as part of its own sovereign territory. Kosovo's independence has been recognized by 111 out of ১৯৩ United Nations member states.
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]উৎস
[সম্পাদনা]শোকসংবাদ:
- The Economist on Ibrahim Rugova, 26 January 2006[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- Ibrahim Rugova, The Guardian obituary
- Independence leader Rugova given hero's funeral, The Guardian
- Kosovo Albanians Mourn Pro-Independence Leader, The New York Times
- Ibrahim Rugova, Kosovo Albanian Leader, Is Dead, The New York Times
- (ইংরেজি) "Ibrahim Rugova – Profile", Vreme News Digest Agency No 257, 7 September 1996
- San Francisco Chronicle[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], 22 January 2006
- The Times, The Guardian, The Independent, Financial Times - 23 January 2006
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Official website of the President of Kosovo
- (আলবেনীয়) Book of Condolence ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ তারিখে
- (আলবেনীয়) Democratic League of Kosovo
- (আলবেনীয়) Assembly of Kosovo
- (স্পেনীয়) Extended bio by CIDOB Foundation
- Kosovo Albanians mourn lost leader
নতুন পদবী গণপ্রজাতন্ত্রী ঘোষণা
|
কসোভোর রাষ্ট্রপতি ১৯৯২-১৯৯৯ |
প্রজাতন্ত্র বিলুপ্ত জাতিসংঘ প্রশাসনের অধীন |
নতুন পদবী জাতিসংঘ প্রশাসনের সাহায্যে পুনরায় তৈরি
|
কসোভোর রাষ্ট্রপতি ২০০২-২০০৬ |
উত্তরসূরী ফাতমির সেজদিউ |