ইন্ট্রাক্রেনিয়াল অ্যানিউরিজম
| ইন্ট্রাক্রেনিয়াল অ্যানিউরিজম | |
|---|---|
| প্রতিশব্দ | Cerebral aneurysm |
| ভার্টব্রাল ধমনি ও বেসিলার ধমনিতে সৃষ্ট অ্যানিউরিজম | |
| বিশেষত্ব | ইন্টারভেনশনাল নিউরোরেডিওলজি, স্নায়ুশল্যচিকিৎসা, স্নায়ুচিকিৎসাবিজ্ঞান |
ইন্ট্রাক্রেনিয়াল অ্যানিউরিজম (ইংরেজি: Intracranial aneurysm) বা মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজম হচ্ছে এক প্রকার সেরিব্রোভাসকুলার রোগ। এই রোগে মস্তিষ্কের ধমনি বা শিরায় দুর্বলতার সৃষ্টি হয় যার ফলশ্রুতিতে রক্তবাহিকার আক্রান্ত স্থান প্রসারিত হয়ে বেলুনের মতো আকার ধারণ করে।
মস্তিষ্কের পেছনের অংশের রক্তবাহিকায় (বেসিলার ধমনি, ভার্টিব্রাল ধমনি, এবং পোস্টেরিয়র কমিউনিকেটিং ধমনি) সৃষ্ট অ্যানিউরিজমের ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি। বেসিলার ধমনির অ্যানিউরিজমের পরিমাণ অন্তঃকরোটির অ্যানিউরিজমগুলোর মধ্যে ৩%-৫% তবে মস্তিষ্কের পেছনের অংশে থাকা রক্তবাহিকাগুলোর মধ্যে এ ধরনের অ্যানিউরিজম-ই সবচেয়ে প্রচলিত।
লক্ষণ ও উপসর্গ
[সম্পাদনা]একটি ছোট ও অপরিবর্তিত অ্যানিউরিজম খুব কম উপসর্গই প্রকাশ করতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রে ছোট অ্যানিউরিজম কোনো লক্ষণ সৃষ্টি করে না। বড়ো অ্যানিউরিজম ফেটে যাওয়ার আগে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রচণ্ড মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা, বমি হওয়া, এবং চেতনা হারানোর মতো উপসর্গ প্রত্যক্ষ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রেও কিছু কিছু সময় আক্রান্ত ব্যক্তি কোনো লক্ষণ নাও অনুভব করতে পারেন।[১]
ঝুঁকির কারণ
[সম্পাদনা]জীবনাধারণকালে আক্রান্ত কোনো রোগের ফলে বা বংশগত কোনো কারণেও ইন্ট্রাক্রেনিয়াল অ্যানিউরিজম হতে পারে। জীবনধারণকালীন যেসকল রোগগুলোর সাথে মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজমে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে তার মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যাসক্তি, এবং অতিস্থূলতা।[২][৩][৪] এছাড়াও কোকেইন সেবনের সাথেও অ্যানিউরিজমের বিকাশ হওয়ার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজমের অন্য ধরনের কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে মাথার জখম এবং সংক্রমণ।[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Brisman, JL; Song, JK (৩১ আগস্ট ২০০৬)। "Cerebral aneurysms.": ৯২৮–৩৯। ডিওআই:10.1056/nejmra052760। পিএমআইডি 16943405।
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি journal এর জন্য|journal=প্রয়োজন (সাহায্য) - 1 2 Goljan, Edward F. (২০০৬)। Rapid Review Pathology (2nd সংস্করণ)। St. Louis: Mosby। পৃ. ১৫৮। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৩২৩-০৪৪১৪-১।
- ↑ Alway, David; Cole, John Walden, সম্পাদকগণ (২০০৯)। Stroke Essentials for Primary Care: A Practical Guide। New York: Humana Press। পৃ. ৮৬–৮৮, ১৫৩। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৯৩৪১১৫-০১-৫।
- ↑ Brown, Walter L. Kemp, Dennis K. Burns, Travis G. (২০০৮)। Pathology the big picture। New York: McGraw-Hill Medical। পৃ. ১৪৮। আইএসবিএন ৯৭৮-০-০৭-১৫৯৩৭৯-৩।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: লেখকগণের তালিকা (লিঙ্ক)
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]| শ্রেণীবিন্যাস | |
|---|---|
| বহিঃস্থ তথ্যসংস্থান |