ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি, হায়দ্রাবাদ
প্রাক্তন নাম | ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি |
---|---|
নীতিবাক্য | গবেষণা ও প্রবর্তনে উৎসাহদান, মানবিক মূল্যবোধের প্রতিপালন |
ধরন | প্রতিম বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ১৯৯৮ |
চেয়ারম্যান | রাজ রেড্ডি |
পরিচালক | পি জে নারায়ণন |
শিক্ষার্থী | ১,৫৫৩[১] |
স্নাতক | ১,১৪৬[১] |
স্নাতকোত্তর | ২২৮[১] |
১৭৯[১] | |
অবস্থান | , , ৫০০০৩২ , ১৭°২৬′৪৪″ উত্তর ৭৮°২০′৫৯″ পূর্ব / ১৭.৪৪৫৬° উত্তর ৭৮.৩৪৯৭° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
ভাষা | ইংরেজি |
পোশাকের রঙ | গাঢ় নীল |
সংক্ষিপ্ত নাম | ট্রিপল আই টিয়ানস, হায়দ্রাবাদ-ট্রিপল আই টিয়ানস |
মাসকট | জাগৃতি – বটবৃক্ষ |
ওয়েবসাইট | www |
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি, হায়দ্রাবাদ (IIIT-H) অথবা আন্তর্জাতিক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা, হায়দ্রাবাদ ভারতের তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদে অবস্থিত একটি স্বনামধন্য আন্তর্জাতীয় প্রকৌশল ও গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯৮ সালে ভারত সরকার এন.পি.পি.পি (নন প্রফিট প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ) মডেলে[২] ইনফরমেশন টেকনোলজি বা তথ্য প্রকৌশল বিদ্যার সঙ্গে কম্পিউটার সায়েন্স বা স্বয়ংক্রিয় গণিত বিজ্ঞান, ইলেক্ট্রনিক্স বা বৈদ্যুতিক বিদ্যা এবং কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ বিদ্যা ও অন্যান্য সংযুক্ত বিদ্যার পাঠক্রম চালু করেন[৩]।
গবেষণা ও উদ্ভাবনের পুরোধা বিশ্ববিদ্যালয়
[সম্পাদনা]১৯৯৮ সালে স্থাপিত এই বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত ভারতবর্ষে গবেষণা ও উদ্ভাবনে এর দক্ষতা ও আসাধারণ বিদ্যা উন্মেষে ও কোডিং কালচার বা সারসংগ্রহ বিকাশে তার অন্যতম শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে।[৪] ট্রিপল আইটি হায়দ্রাবাদ ১১০ কোটি টাকায় একটি ডেটা ড্রিভেন টেকনোলজি বা তথ্য পরিচালিত প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি টেকনোলজি ইনোভেশন হাব বা প্রযুক্তি বিকাশ কেন্দ্র তৈরি করতে চলেছে।[৫]
শিক্ষা সংক্রান্ত
[সম্পাদনা]ট্রিপল আইটি হায়দ্রাবাদের শিক্ষা-সূচীতে রয়েছে ব্যাপক পাঠ্য বা কোর্সের পরিকাঠামো। ক্ষেত্রগুলো হলো:
- কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনস অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি
- ইঞ্জিনিইয়ারিং অ্যান্ড আর্কিটেকচার
- বিজ্ঞান (সায়েন্সেস)
- আর্টস, হিউম্যানিটিস অ্যান্ড স্যোসাল সায়েন্সেস
এখানে আন্ডারগ্রাজুয়েট বা স্নাতকপূর্ব, পোষ্ট গ্রাজুয়েট বা স্নাতোকোত্তর এবং ডুয়াল বা যুগ্ম ডিগ্রী পাঠক্রম চলে। আন্ডার-গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কম্যউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স এবং ম্যাথেমেটিকস ও হিউম্যানিটিসএ ব্যাচেলার অফ টেকনোলজি (বি-টেক), বি-টেক(অনার্স) দেওয়া হয়। পোষ্ট গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে কম্পিউটার-এইডেড স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন সিকিউরিটিতে মাস্টার অফ সায়েন্স (এমএস) এবং কম্পিউটেশনাল লিঙ্গুইসটিক্সে মাস্টার অফ ফিলোসফি(এমফিল) দেওয়া হয়। ডুয়াল ডিগ্রি প্রোগ্রামে সম্মানিত করা হয় বিটেক ও রিসার্চ বা গবেষণালব্ধ এমএস হিসেবে[৬]। কম্পিউটার সায়েন্সে বি-টেকের পাশাপাশি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কম্যিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটেশনাল ন্যাচারাল সায়েন্স, বিল্ডিং সায়েন্স (সিভিল এর স্পেশালাইজড কোর্স), বায়ো-ইনফরম্যাটিক্স, কম্পিউটেশনাল লিঙ্গুইস্টিক্সে এম-এস এর যুগ্ম পাঠক্রমে এই কোর্সের নকশা তৈরি হয়েছে। ডক্টরাল প্রোগ্রামে আছে সম্পূর্ণ ও আংশিক সময়ের পিএইচডি ডিগ্রি, এবং স্পেশিয়াল ইনফরমেটিক্স, কগ্নিটিভ সায়েন্স এবং আগে উল্লিখিত সমস্ত বিষয়ে পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা দেওয়া হয়।
ঐচ্ছিক শিক্ষা সহায়ক কোর্স
[সম্পাদনা]পূর্বস্নাতক বা আন্ডার গ্রাজুয়েট ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা পরিকাঠামো অনেকটা নমনীয়। তারা নিজেরাই কোর্স ও প্রজেক্ট বা প্রকল্প বেছে নিতে পারে। সেই সঙ্গে তারা তৎকালীন গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পে অংশ নিতে পারে। ট্রিপল আইটি হায়দ্রাবাদ মাস্টার অফ সায়েন্স ইন ইনফরমেশন টেকনোলজি (MSIT)[৭] প্রোগ্রাম সম্পাদন করে যার সহযোগী হল ইউনাইটেড স্টেটস-এর কার্নেজি মেলান ইউনিভার্সিটি। এই প্রতিষ্ঠান মানবিক মূল্যবোধ ও পেশাদারিত্বের শপথ বা হিউম্যান ভ্যালু ও প্রফেশনাল এথিক্সের জন্য সুপরিচিত।
২০০৩ এ পি এইচ ডি ছাত্রছাত্রীদের রিসার্চ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম বা গবেষণা আদানপ্রদান বিষয়ক পাঠক্রম শুরু হয়েছে যার সহযোগী হল ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভেনিয়া, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলি এবং আরো অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।[৮]
ট্রিপল আইটি শিক্ষাঙ্গণ (ক্যাম্পাস)
[সম্পাদনা]হায়দ্রাবাদ শহরের ১৯ কিমি পশ্চিমে ট্রিপল আইটির আবস্থান। ১৯৯৮ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার প্রায় ৬৬ একর বা ২৬৭০০০ বর্গ মিটার জমি এই কাজে অর্পণ করে। মোট চারটি ভবনে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা ক্ষেত্র। এছাড়া এর সঙ্গে রয়েছে ভাষণ কক্ষ, শিক্ষণ কক্ষ, কম্পিউটার ও ইলেক্ট্রনিক্স গবেষণাগার, পরিচালন অফিস ও অধ্যাপকদের অফিস। নীলগিরি, বিন্ধ্য, হিমালয় পর্বতের নামে এই ভবনগুলোর নাম। ছাত্রাবাসের নাম বকুল-ভবন, পারিজাত নিবাস, পলাশ নিবাস, কদম্ব নিবাস। লাইব্রেরি, রিসার্চ সেন্টার, ইনক্যিউবেশন সেন্টার ছাড়াও আছে অ্যাম্ফিথিয়েটার যেখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কলেজের উৎসব হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রযুক্তিপ্রধান কোম্পানি ও নূতন উদ্যোগ ট্রিপল আইটির সাহায্য নিয়ে উন্মেষিত হয়।
ক্যাম্পাসে স্যুইমিং পুল, ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, বাস্কেটবল, ভলিবলের কোর্ট আছে। সংস্কার ক্যাম্পাস স্কুল নামে একটি স্কুলও এই ক্যাম্পাসে কাজ করে।[৯]
সব সময় ১০০ এম বি পি এস ক্ষমতার ইন্টারনেট, শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত গবেষণাগার, উপযুক্ত সুযোগ্য অধ্যাপকের নেতৃত্বে গবেষণার সুযোগ তো আছেই। কিছু ভবন ওয়াই ফাই দিয়ে সব সময় যুক্ত। সব নোটিশ ও তথ্যাদি, মেসের রেজিষ্ট্রেশন সমস্তই আভ্যন্তরীন পোর্টালের ও ইমেলের মাধ্যমে সংযুক্তিকরণের পরিকাঠামোয় মোড়া।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ "Faculty" (পিডিএফ)। www.iiit.ac.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "IIIT Hyderabad"। www.iiit.ac.in। ২০২০-০৮-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৪।
- ↑ "Research Centres | IIIT Hyderabad"। www.iiit.ac.in। ২০২০-০৮-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৪।
- ↑ "At a Glance | IIIT Hyderabad"। www.iiit.ac.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৪।
- ↑ "Technology Innovation Hub to be set by DST at IIIT-Hyderabad"। Jagranjosh.com। ২০২০-০৮-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৪।
- ↑ "Academic programmes | IIIT Hyderabad"। www.iiit.ac.in। ২০২০-১০-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৪।
- ↑ "MSIT Program - Admissions open for 2020-Apply Now"। www.msitprogram.net। ২০২০-০৮-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৪।
- ↑ "Research Exchange Programme | IIIT Hyderabad"। www.iiit.ac.in। ২০২০-০৮-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৪।
- ↑ "Campus - Sanskaar IIITH"। sites.google.com। ২০২০-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২৪।