বিষয়বস্তুতে চলুন

ইদ্রিস ইবনে কাতাদা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইদ্রিস ইবনে কাতাদা ইবনে ইদ্রিস আল-হাসানী ১২৫৪ থেকে ১২৭০ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৬ বছর ধরে মক্কার আমির ছিলেন। তার রাজত্বের বেশিরভাগ সময় তার প্রপৌত্র আবু নুমাই ইবনে আবি সাদ ইবনে আলীর সাথে অংশীদারিত্বে কাটিয়েছিলেন।

জীবনী

[সম্পাদনা]

১২৫৪ সালে তিনি আবু নুমাই ইবনে আবি সা'দের সাথে অংশীদারিত্বে তার ভাগ্নে গানিম ইবনে রাজিহকে মক্কা আমিরাত থেকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। এ যুদ্ধে মাত্র তিনজন নিহত হন। তারা ১২৫৫ সালের ৬ জানুয়ারির পর্যন্ত একসাথে শাসন করেন। পরে ইয়েমেনের আল-মুজাফফারের পক্ষে আমির আল-মুবারিজ ইবনে বিরতাস তাঁদের ক্ষমতাচ্যুত করেন। দুই মাস পর, ১২৫৫ সালের ৬ মার্চের চার রাত পরে, ইদরিস ও আবু নুমাই মক্কা পুনরুদ্ধার করেন। ইবন বিরতাস আত্মসমর্পণ করে মুক্তিপণ দিয়ে ইয়েমেনে ফিরে যান।

১২৫৬ সালে, ইদ্রিস তার ভাই রাজিহের সাথে দেখা করতে মক্কা ত্যাগ করার সময় আবু নুমাই তাকে সাময়িকভাবে ক্ষমতাচ্যুত করেন। রাজিহের সাথে ইদ্রিস মক্কায় ফিরে এলে তিন শরিফ মিলে সমঝোতা করেন।

ইদ্রিসকে আনু.১২৬৮ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। আবু নুমাই মিশরের আল-জাহির বায়বারসকে চিঠি লিখে জানান যে তিনি ইদরিসের মধ্যে ইয়েমেনের আল-মুজাফফার ইউসুফ ও তাঁর রাষ্ট্রের প্রতি ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা দেখেছেন। যার কারণে তিনি তার চাচা ইদ্রিসকে বহিষ্কার করেছেন। এরপর ইদ্রিস তার বাহিনী সংগ্রহ করে মক্কায় ফিরে আসেন। দুজনে সমঝোতা করেন, এবং ইদরিস সুলতানকে চিঠি লিখে তাঁর আনুগত্য প্রকাশ করেন।

১২৭০ সালে আবারও দুই শরীফের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সেখানে আবু নুমাইয়ের ছেলে নিহত হয়। নুমাইয়া ইয়ানবুতে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি নুমাইয়ার আমিরের কাছ থেকে সহায়তা চান।নুমাইয়া ইয়ানবুর আমিরেরে সহায়তায় সেনাবাহিনী গড়ে তোলার পর মক্কার দিকে রওনা হন এবং খুলিসে ইদ্রিসের সাথে যুদ্ধ করেন। সে ইদ্রিসকে আহত করে। তারপর নুমাইয়া ইদ্রিসকে ঘোড়া থেকে নামিয়ে শিরশ্ছেদ করে।

আল-মুইউরকির মতে, আবু নুমাই তাঁর পুত্র নিহত হওয়ার পর ১২৭০ সালের রবিউল আউয়ালে (অক্টোবর ১৮ থেকে নভেম্বর ১৬-এর মধ্যে) মক্কা থেকে বহিষ্কৃত হন এবং এর ৪০ দিন পর তিনি ইদরিসকে হত্যা করেন। এ হিসেবে ইদরিসের মৃত্যু রবিউস সানি বা জমাদিউল আউয়াল (নভেম্বর-ডিসেম্বরের মাঝামাঝি) মাসে হতে পারে বলে অনুমান করা হয়।

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]
  • de Zambaur, E. (১৯২৭)। Manuel de généalogie et de chronologie pour l'histoire de l'Islam (French ভাষায়)। Heinz Lafaire। পৃ. ২১।{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  • Daḥlān, Aḥmad ibn Zaynī (১৮৮৮)। Tārīkh al-duwal al-Islāmīyah bi-al-jadāwil al-marḍīyah تاريخ الدول الإسلامية بالجداول المرضية (Arabic ভাষায়)। al-Maṭba‘ah al-Bahīyah। পৃ. ১৪৪।{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  • al-Ghāzī, ‘Abd Allāh ibn Muḥammad (২০০৯)। Ifādat al-anām إفادة الأنام (Arabic ভাষায়) (1st সংস্করণ)। Maktabat al-Asadī। পৃ. ১৪৮–১৫২।{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  • Ibn Fahd, ‘Izz al-Dīn ‘Abd al-‘Azīz ibn ‘Umar ibn Muḥammad (১৯৮৬)। Ghāyat al-marām bi-akhbār salṭanat al-Balad al-Ḥarām غاية المرام بأخبار سلطنة البلد الحرام (Arabic ভাষায়) (1st সংস্করণ)। Jāmi‘at Umm al-Qurá, Markaz al-Baḥth al-‘Ilmī wa-Iḥyā’ al-Turāth al-Islāmī, Kullīyat al-Sharīʻah wa-al-Dirāsāt al-Islāmīyah। পৃ. ৬৪০–৬৪২।{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  • Ibn Fahd, ‘Izz al-Dīn ‘Abd al-‘Azīz ibn ‘Umar ibn Muḥammad (১৯৮৮)। Ghāyat al-marām bi-akhbār salṭanat al-Balad al-Ḥarām غاية المرام بأخبار سلطنة البلد الحرام (Arabic ভাষায়) (1st সংস্করণ)। Jāmi‘at Umm al-Qurá, Markaz al-Baḥth al-‘Ilmī wa-Iḥyā’ al-Turāth al-Islāmī, Kullīyat al-Sharīʻah wa-al-Dirāsāt al-Islāmīyah। পৃ. ৯–১৪।{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  • al-‘Aṣimī, ‘Abd al-Malik ibn Ḥusayn (১৯৯৮)। Samṭ al-nujūm al-‘awālī fī anbā’ al-awā’il wa-al-tawālī سمط النجوم العوالي في أنباء الأوائل والتوالي (Arabic ভাষায়)। Dār al-Kutub al-‘Ilmīyah। পৃ. ২৩৬–২৩৯।{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)
  • Daḥlan, Aḥmad Zaynī (২০০৭)। Khulāṣat al-kalām fī bayān umarā’ al-Balad al-Ḥarām خلاصة الكلام في بيان أمراء البلد الحرام (Arabic ভাষায়)। Dār Arḍ al-Ḥaramayn। পৃ. ৮৮–৮৯।{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)