ইথেন
| |||
| |||
নামসমূহ | |||
---|---|---|---|
ইউপ্যাক নাম
ইথেন[১]
| |||
শনাক্তকারী | |||
ত্রিমাত্রিক মডেল (জেমল)
|
|||
বেইলস্টেইন রেফারেন্স | 1730716 | ||
সিএইচইবিআই | |||
সিএইচইএমবিএল | |||
কেমস্পাইডার | |||
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড | ১০০.০০০.৭৪১ | ||
ইসি-নম্বর | |||
এমইএসএইচ | ইথেন | ||
পাবকেম CID
|
|||
আরটিইসিএস নম্বর |
| ||
ইউএনআইআই | |||
ইউএন নম্বর | 1035 | ||
কম্পটক্স ড্যাশবোর্ড (EPA)
|
|||
| |||
| |||
বৈশিষ্ট্য | |||
C2H6 | |||
আণবিক ভর | ৩০.০৭ g·mol−১ | ||
বর্ণ | বর্ণহীন গ্যাস | ||
গন্ধ | গন্ধহীন | ||
ঘনত্ব | |||
গলনাঙ্ক | −১৮২.৮ °সে; −২৯৬.৯ °ফা; ৯০.৪ K | ||
স্ফুটনাঙ্ক | −৮৮.৫ °সে; −১২৭.৪ °ফা; ১৮৪.৬ K | ||
৫৬.৮ mg L−1[৩] | |||
বাষ্প চাপ | ৩.৮৪৫৩ MPa (at ২১.১ °C) | ||
কেএইচ | ১৯ nmol Pa−১ kg−১ | ||
অম্লতা (pKa) | ৫০ | ||
Basicity (pKb) | -৩৬ | ||
তাপ রসায়নবিদ্যা | |||
তাপ ধারকত্ব, C | ৫২.৪৯ J K−1 mol−১ | ||
গঠনে প্রমান এনথ্যাল্পির পরিবর্তন ΔfH |
−৮৪ kJ mol−১ | ||
দহনে প্রমান এনথ্যাল্পির পরিবর্তন ΔcH |
−১৫৬১.0–−১৫৬০.৪ kJ mol−১ | ||
ঝুঁকি প্রবণতা | |||
জিএইচএস চিত্রলিপি | ![]() | ||
জিএইচএস সাংকেতিক শব্দ | বিপজ্জনক | ||
জিএইচএস বিপত্তি বিবৃতি | H220 | ||
জিএইচএস সতর্কতামূলক বিবৃতি | P210, P410+403 | ||
এনএফপিএ ৭০৪ | ![]() | ||
ফ্ল্যাশ পয়েন্ট | −১৩৫ °সে (−২১১ °ফা; ১৩৮ K) | ||
বিস্ফোরক সীমা | ২.৯–১৩% | ||
সম্পর্কিত যৌগ | |||
সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ছাড়া, পদার্থসমূহের সকল তথ্য-উপাত্তসমূহ তাদের প্রমাণ অবস্থা (২৫ °সে (৭৭ °ফা), ১০০ kPa) অনুসারে দেওয়া হয়েছে। | |||
![]() ![]() ![]() | |||
তথ্যছক তথ্যসূত্র | |||
ইথেন (/ˈɛθeɪn/ অথবা /ˈiːθeɪn/) হচ্ছে একটি রাসায়নিক উপাদান যার রাসায়নিক সংকেত হচ্ছে C2H6 । আদর্শ তাপমাত্রা ও চাপে ইথেন বর্ণ, গন্ধহীন গ্যাসীয় পদার্থ। ইথেন প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে সংশ্লেষন করা হয়। তৈল সংশোধনাগারে বাইপ্রোডাক্ত বা দ্বিতীয় পণ্য হিসেবে ইথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। এটা প্রধানত ইথিলিন প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয়। একটি অ্যালকেন শ্রেণীর অ্যালিফ্যাটিক হাইড্রোকার্বন।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
পটাশিয়াম এসিটেট দ্রবণের উপর তড়িৎ বিক্রিয়া পরিচালনা করে মাইকেল ফ্যারাডে ১৮৩৪ সালে সর্বপ্রথম ইথেন সংশ্লেষন করেন। তিনি উৎপন্ন হাইড্রোকার্বন পদার্থকে মিথেন ভেবে ভুল করেন এবং এটা নিয়ে আর কোন গবেষণা করেন নাই। [৪]
১৮৪৭-১৮৪৯ সালের দিকে হারম্যান কোব এবং এডওয়ার্ড ফ্রাংল্যান্ড পটাশিয়াম ধাতুর সাথে প্রোপিওনাইট্রাইল (ইথাইল সায়ানাইড) বিয়োজন করে ইথেন প্রস্তুত করেন। [৫] তারাও এটাকে মিথাইল র্যাডিক্যাল ভেবে ভুল করেন। ১৮৬৪ সালে কার্ল স্কোর্ল্যামার এই ভুল সংশোধন করেন। তিনি প্রমাণ করেন এই সকল বিক্রিয়া ইথেনের জন্যই সংঘটিট হচ্ছে।.[৬]
অজৈব রসায়নের IUPAC নামকরণ পদ্ধতি অনুসারে ইথেনের নামকরণ করা হয়েছে। ইথেন শব্দটি ইথ+এন দ্বারা গঠিত। ইথ দ্বারা অণুতে দুটি কার্বনের উপস্থিতি এবং এন দ্বারা তাদের মধ্যে একটি একক বন্ধন বোঝানো হয়েছে।
রসায়ন[সম্পাদনা]
রসায়নাগারে কোব ইলেকট্রোলাইসিসের মাধ্যমে ইথেন প্রস্তুত করা হয়। এই পদ্ধতিতে এসিটেট লবনের জলীয় দ্রবণে তড়িৎবিশ্লেষণ চালনা করা হয়। এনোডে এসিটেট অক্সিডাইজড হয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথাইল মুক্তমূলক উৎপাদন করে এবং এই উচ্চ শক্তি সম্পন্ন মিথাইল মুক্তমূলক পরস্পর যুক্ত হয়ে ইথেন তৈরী করে: −
আরেকটি পদ্ধতিতে এসেটিক এনহাইড্রাইড কে পার অক্সাইড দ্বারা বিয়োজিত করে ইথেন প্রস্তুত করা হয়]]
বিয়োজন[সম্পাদনা]
ইথেনের পূর্ণাঙ্গ দহনের ফলে ১৫৫৯.৭ kJ/mol বা ৫১.৯ kJ/g তাপ এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন হয়।
এই বিক্রিয়া ধাপে ধাপে সংঘটিত হয়ঃ
অসম্পূর্ণ দহনের ফলে এসিটাল্ডিহাইড, মিথেন, মিথানল এবং ইথানল উৎপন্ন হয়।
উৎপাদন[সম্পাদনা]
মিথেনের পরে ইথেন হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম উপাদান। ১৯৬০ এর দিকে ইথেন কে আলাদাভাবে সংশ্লেষন করা হত না। মিথেনের সাথে জ্বালানী হিসেবে একত্রে ব্যবহার করা হত। বর্তমানে ইথেনের চাহিদা ব্যপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সকল গ্যাস ক্ষেত্রেই ইথেনকে আলাদা করা হয়। পেট্রোলিয়াম শোধনাগারেও ইথেনকে আলাদা করা হয়।
ব্যবহার[সম্পাদনা]
রাসায়নিক কারখানাগুলোতে ইথিন (ইথিলিন) উৎপাদনে ইথেন ব্যবহার করা হয়।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি[সম্পাদনা]
কক্ষ তাপমাত্রায় ইথেন দহনযোগ্য গ্যাস। এটাকে ৩%-১২.৫% বাতাসের সাথে মিশালে বিষ্ফোরকে পরিণত হয়।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "Ethane – Compound Summary"। PubChem Compound। USA: National Center for Biotechnology Information। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ Lide, D. R., সম্পাদক (২০০৫)। CRC Handbook of Chemistry and Physics (86th সংস্করণ)। Boca Raton (FL): CRC Press। পৃষ্ঠা 3.22। আইএসবিএন 0-8493-0486-5।
- ↑ Lide, D. R., সম্পাদক (২০০৫)। CRC Handbook of Chemistry and Physics (86th সংস্করণ)। Boca Raton (FL): CRC Press। পৃষ্ঠা 8.88। আইএসবিএন 0-8493-0486-5।
- ↑ Faraday, Michael (১৮৩৪)। "Experimental researches in electricity: Seventh series"। Philosophical Transactions। 124: 77–122। ডিওআই:10.1098/rstl.1834.0008।
- ↑ Frankland, Edward (১৮৫০)। "On the isolation of the organic radicals"। Journal of the Chemical Society। 2 (3): 263–296। ডিওআই:10.1039/QJ8500200263।
- ↑ Schorlemmer, Carl (১৮৬৪)। Annalen der Chemie। 132: 234।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
উদ্ধৃতি ত্রুটি: <references>
-এ সংজ্ঞায়িত "Mumma" নামসহ <ref>
ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।
<references>
-এ সংজ্ঞায়িত "Kolbe" নামসহ <ref>
ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।আরো পড়ুন[সম্পাদনা]
- Kolbe, Hermann (১৮৫০)। "Researches on the electrolysis of organic compounds"। Journal of the Chemical Society। 2 (2): 157–184। ডিওআই:10.1039/QJ8500200157।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
