ইছামতী (উপন্যাস)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইছামতী উপন্যাসের প্রচ্ছদ

ইছামতী কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৫০) রচিত শেষ প্রকাশিত উপন্যাস। ১৯৫০ সালের ১৫ই জানুয়ারি এটি মিত্রালয় প্রকাশনা থেকে সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়। তাঁর মৃত্যুর পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই উপন্যাসের জন্য তাকে মরণোত্তর রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান করেন (১৯৫০-৫১)।

পটভূমি[সম্পাদনা]

ইছামতি নদীকে কেন্দ্র করে রচিত এই উপন্যাসে বিভূতিভূষণের জন্মস্থান বারাকপুর তথা নিশ্চিন্দিপুরের মোল্লাহাটি নীলকুঠির কথা বিধৃত হয়েছে। উনিশ শতকের নীলবিদ্রোহের পটভূমিতে সাধারণ মানুষের উত্থান-পতনের মর্মন্তুদ ইতিহাস ধরা পড়েছে এই রচনায়। এই মোল্লাহাটি নীলকুঠির অত্যাচারকে অবলম্বন করেই উনিশ শতকের মধ্যভাগে নীলদর্পণ (১৮৬০) নাটকটি রচনা করেন দীনবন্ধু মিত্র

চরিত্র[সম্পাদনা]

  • ভবানী বাড়ুয্যে – প্রধান চরিত্র।
  • তিলু – ভবানীর সেবাপরায়ণা স্ত্রী।
  • খোকা – ভবানী ও তিলুর শিশু পুত্র।
  • শিপ্টন সাহেব – অত্যাচারী নীলসাহেব।
  • ভজামুচি – নীলকুঠির সহিস।
  • রামকানাই কবিরাজ – গ্রামের বৃদ্ধ কবিরাজ।

Anglo Indian life in rural bengal গ্রন্থের রচয়িতা Colswardi grant এই উপন্যাসের একটি চরিত্র।

পরবর্তী বাংলা সাহিত্যে প্রভাব[সম্পাদনা]

প্রমথনাথ বিশীর 'কেরী সাহেবের মুন্সী', বিমল মিত্রের 'সাহেব বিবি গোলাম', রমাপদ চৌধুরীর 'লালবাঈ' প্রভৃতি ইতিহাস-নির্ভর উপন্যাস রচনাক্ষেত্রে এই উপন্যাসটি দিশারীর কাজ করেছে।

দিনলিপিতে উপন্যাস রচনার উল্লেখ[সম্পাদনা]

১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে বারাকপুরে অবস্থানকালে 'হে অরণ্য কথা কও' দিনলিপিতে বিভূতিভূষণ লিখেছেন,

[১]

উপন্যাস রচনার প্রস্তুতি হিসাবে বিভূতিভূষণের বিভিন্ন সময়ে লিখিত বিভিন্ন ডায়েরীতে মোল্লাহাটি ভ্রমণ ও নীলকুঠি পরিদর্শনের কথা পাওয়া যায়,

[২]

জীবনের গভীর উপলব্ধি[সম্পাদনা]

উপন্যাসের শেষাংশে কাহিনীর প্রধান চরিত্রের মুখ থেকে লেখক জীবনের গভীর সত্য ব্যক্ত করান,

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বিভূতি-রচনাবলী, সপ্তম খন্ড, 'হে অরণ্য কথা কও' পৃ ৪৭৫
  2. বিভূতি-রচনাবলী, সপ্তম খন্ড, 'হে অরণ্য কথা কও' পৃ ৪৬৮
  1. বিভূতি উপন্যাস সমগ্র (২য় খন্ড), উপন্যাস সমগ্র, পৃষ্ঠা ১১৭০