ইউনিস ডিসুজা
ইউনিস ডিসুজা | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ১লা আগস্ট ১৯৪০ পুনে |
মৃত্যু | ২৯শে জুলাই ২০১৭ |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় |
ধরন | কবি |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | উইমেন ইন ডাচ পেইন্টিং |
ড. ইউনিস ডিসুজা (১৯৪০–২০১৭) একজন ভারতীয় কবি, সাহিত্য সমালোচক ও ঔপন্যাসিক ছিলেন। তিনি ইংরেজি ভাষায় সাহিত্যচর্চা করেছেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম হল উইমেন ইন ডাচ পেইন্টিং (১৯৯৮)। দেশে ও দেশের বাইরে তার লেখনী সমাদৃত হয়েছে। তিনি মুম্বাইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। এছাড়াও অভিনয় করেছেন মঞ্চে, নির্দেশক হিসেবে কাজ করেছেন মঞ্চনাটকে।
জীবনী[সম্পাদনা]
ইউনিস ডিসুজা জন্মেছিলেন ও বেড়ে উঠেছিলেন পুনের এক গোয়ানিজ ক্যাথলিক পরিবারে।[১] ১৯৪০ সালের আগস্ট মাসের ১ তারিখে ব্রিটিশ ভারতের পুনেতে জন্মগ্রহণ করেন ইউনিস ডিসুজা। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের মার্কুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।[২] তিনি মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তিনি মুম্বই সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ইংরেজি পড়াতেন। অবসর গ্রহণের পূর্বে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিত ইংরেজি বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় ছিলেন। তার ভাষ্য সম্মোহিত করে রাখত শিক্ষার্থীদের।[৩] তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের বিখ্যাত ইথাকা সাহিত্য উৎসবের সাথেও যুক্ত ছিলেন। ২০০০ সালে তিনি শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[৪]
তিনি মঞ্চের সাথেও যুক্ত ছিলেন। মঞ্চে নাট্যকলায় অভিনেত্রী ও পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ২০০১ সালে ডেঞ্জারলোক লেখার মাধ্যমে ইউনিস ডিসুজা ঔপন্যাসিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি ছোটদের জন্য চারটি বই লিখেছেন।
তিনি কবিতা লেখার জন্য সুপরিচিত ছিলেন। কবিতার বই ও উপন্যাস লেখা ছাড়াও তিনি বহু সংকলন ও সংগ্রহ সম্পাদনা করেছেন। তিনি ভারতের বিখ্যাত পত্রিকা মুম্বই মিরর এ সাপ্তাহিক কলাম লিখতেন। তার কবিতা অ্যান্থলজি অব কন্টেমপোরারি ইন্ডিয়ান পোয়েট্রিতেও সংকলিত হয়েছে।[৫]
আদিল জুসাওয়ালা, গিভ প্যাটেল, অরুণ কোলাতকারদের মত প্রগতিশীলদের কাতারে তার নাম উচ্চারিত হয়। তিনি জনসমাজে বাকি তিনজনের মত সুপরিচিত না হলেও ইংরেজি সাহিত্যে ও আধুনিক সমাজে তার অবদান অস্বীকার করা যায় না।
ইউনিস ডিসুজা বিয়ে করেন নি। মায়ের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মায়ের সেবা করেছেন তিনি। ইউনিস ডিসুজা তার বয়োজ্যেষ্ঠ আত্মীয়দের দেখভাল করতেন। ইউনিস ডিসুজা পশুপাখিদের প্রতিও যত্নবান ছিলেন। তার বাসায় বহু কুকুর লালনপালন করতেন তিনি। ২০১৭ সালের জুলাই মাসের ২৯ তারিখে ভাকোলায় নিজের বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম[সম্পাদনা]
কবিতার বই
- ফিক্স (১৯৭৯)
- উইমেন ইন ডাচ পেইন্টিং (১৯৮৮)
- ওয়েজ অব বিলংগিং (১৯৯০)
- সিলেক্টেড অ্যান্ড নিউ পোয়েমস (১৯৯৪)
- আ নেকলেস অব স্কালস (২০০৯)
- লার্ন ফ্রম অ্যালমন্ড লিফ (২০১৬)
উপন্যাস
সাক্ষাৎকার
- কনভারসনস উইদ ইন্ডিয়ান পয়েটস (২০০১) আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫৬৪৭৮২-২
সম্পাদনা
- নাইন ইন্ডিয়ান উইমেন পয়েটস: অ্যান অ্যান্থলজি (২০০১) আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫৬৫৮৪৭-৭
- ১০১ ফোকটেলস ফ্রম ইন্ডিয়া (২০০৪)
- পুরদাহ: অ্যান অ্যান্থলজি. (২০০৪) আইএসবিএন ০-১৯-৫৬৬৬৬১-৫
- উইমেন্স ভয়েজেস: সিলেকশনস ফ্রম নাইন্টিনথ অ্যান্ড আর্লি টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ইন্ডিয়ান রাইটিং ইন ইংলিশ (২০০৪) আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫৬৬৭৮৫-১ রিভিউ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-১০-১৪ তারিখে
- আর্লি ইন্ডিয়ান পয়েট্রি ইন ইংলিশ: অ্যান অ্যান্থলজি ১৮২৯-১৯৪৭ (২০০৫) আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫৬৭৭২৪-৯ রিভিউ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ তারিখে
- দ্য সাত্থিয়ানাধান ফ্যামিলি অ্যালবাম (২০০৫) রিভিউ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে
- দিজ মাই ওয়ার্ডস: দ্য পেঙ্গুইন বুক অব ইন্ডিয়ান পয়েট্রি(মেলানি সিলগার্দোর সাথে যৌথভাবে সম্পাদিত) (২০১২)
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "EUNICE DE SOUZA"। arlindo-correia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-০৪।
- ↑ "Archived copy"। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮।
- ↑ https://thewire.in/culture/poet-writer-eunice-de-souza-passes-away-obituary
- ↑ https://indianexpress.com/article/india/maharashtra-poet-critic-teacher-eunice-de-souza-passes-away-4773459/
- ↑ "Anthology of Contemporary Indian Poetry"। BigBridge.Org। ২৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৬।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২২ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৯।
- ↑ http://www.ndtv.com/ent/bookextracts.asp?id=29&slug=Dangerlok