ইংল্যান্ডের ভূগোল
![]() ভূ-উপগ্রহ হতে ধারকৃত ইংল্যান্ড ও সংলগ্ন এলাকার চিত্র। | |
![]() | |
মহাদেশ | ইউরোপ |
---|---|
অঞ্চল | গ্রেট ব্রিটেন |
স্থানাঙ্ক | ৬°০০′ দক্ষিণ ৩৫°০০′ পূর্ব / ৬.০০০° দক্ষিণ ৩৫.০০০° পূর্ব |
আয়তন | ৩০তম |
• মোট | ১,৩০,২৭৯ কিমি২ (৫০,৩০১ মা২) |
• স্থলভাগ | ৯৩.৫১% |
• জলভাগ | ৬.৪৯% |
উপকূলরেখা | ৩,২০০ কিমি (২,০০০ মা) |
সীমানা |
|
সর্বোচ্চ বিন্দু | স্কেফিল পিক ৯৭৮ মিটার (৩,২০৯ ফুট) |
সর্বনিম্ন বিন্দু | হোল্ম ফেন −২.৭৫ মিটার (−৯.০ ফুট) |
দীর্ঘতম নদী | সেভার্ন নদী (ওয়েলস সহ) ৩৫৪ কিমি (২২০ মা) ( কেবল ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে : টেমস নদী ৩৪৬ কিমি (২১৫ মা) ) |
বৃহত্তম হ্রদ | উইন্ডারমেয়ার হ্রদ ১৪.৭৩ কিমি২ (৫.৬৯ মা২) |
জলবায়ু | সামুদ্রিক "ব্রিটিশ" জলবায়ু কিছু এলাকায় উপবৃত্তীয় জলবায়ু |
ভূখণ্ড | পার্বত্য, পাহাড়ী, বনভূমি, নিম্নভূমি, নগর |
প্রাকৃতিক সম্পদ | রৌহ, জিংক, পটাশ, সিলিকা বালু, মাছ, কাঠ, বন্যপ্রাণী, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, জলবিদ্যুত, বায়ুকল, পারদ, টিন, কপার, চীনামাটি, চাষভূমি ও কয়লা |
প্রাকৃতিক বিপত্তিসমূহ | ইউরোপীয় বায়ুঝড়, বন্যা, সামান্য টর্নেডো |
পরিবেশগত সমস্যা | জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্র উচ্চতা বৃদ্ধি, নবায়নযোগ্য শক্তি, পানি দূষণ |
এক্সক্লুসিভ অর্থনৈতিক অঞ্চল | ২,৪১,৮৮৮ কিমি২ (৯৩,৩৯৩ মা২) |
তথ্যসূত্র | |
[১] |
ইংল্যান্ড গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপের মধ্য ও দক্ষিণে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি অংশ নিয়ে গঠিত এবং এছাড়াও এতে আরও কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো আইল অফ উইট। ইংল্যান্ডের উত্তরে স্কটল্যান্ড এবং পশ্চিমে ওয়েলস। এটি ব্রিটেনের মূল ভূখণ্ডের অন্য যে কোনো অংশের চেয়ে মহাদেশীয় ইউরোপের সবচেয়ে কাছাকাছি; ফ্রান্স থেকে কেবল ৩৩ কিমি (২১ মা) ইংলিশ চ্যানেল দ্বারা এটি মূল ইউরোপীয় ভূখণ্ড হতে বিভক্ত।[২] ফোকস্টোনের নিকটবর্তী ৫০ কিমি (৩১ মা)[৩] দীর্ঘ চ্যানেল টানেল ইংল্যান্ডকে ইউরোপের মূল ভূখণ্ডের সাথে সরাসরি সংযুক্ত করে। ইংল্যান্ড - ফ্রান্স সীমান্তটি টানেল বরাবর অর্ধেক।[৪]
মানবিক ভূগোল
[সম্পাদনা]ভূমি ব্যবহার
[সম্পাদনা]ইংল্যান্ডের মোট আয়তন ১,৩২,৯৩৮ কিমি২ (৫১,৩২৮ মা২)।[১] শস্য ও পতিত জমি মোট ভূমির ৩০%, তৃণভূমি এবং মোটামুটি চারণভূমি ৩৬%, অন্যান্য কৃষিজমি ৫%, কাঠের জন্য ব্যবহৃত ও বনভূমি ৮% এবং নগর হিসাবে ২১% ভূমি ব্যবহৃত হয়।[৫]
সীমান্তবর্তী দেশ
[সম্পাদনা]ইংল্যান্ডের দুটি স্থল সীমানা রয়েছে: শেভিওট পাহাড় বরাবর স্কটল্যান্ডের সাথে ৯৬ কিমি (৬০ মা) সীমানা এবং অফা'স ডাইকের পথ অনুসরণ করে গঠিত ওয়েলসের সাথে ২৫৭ কিমি (১৬০ মা) দীর্ঘ সীমানা। এছাড়াও, পশ্চিমে আইরিশ সাগর ইংল্যান্ডকে আয়ারল্যান্ড এবং আইল অফ ম্যান থেকে; পূর্ব দিকে উত্তর সাগর ইংল্যান্ডকে ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং বেলজিয়াম থেকে এবং দক্ষিণে ইংলিশ চ্যানেল ইংল্যান্ডকে ফ্রান্স এবং চ্যানেল দ্বীপপুঞ্জ থেকে পৃথক করেছে।
প্রধান শহর ও নগর
[সম্পাদনা]লন্ডন ইংল্যান্ডের বৃহত্তম নগর এলাকা এবং বিশ্বের বৃহত্তম এবং ব্যস্ততম শহরগুলির মধ্যে একটি। অন্যান্য শহরগুলি, প্রধানত মধ্য এবং উত্তর ইংল্যান্ডে অবস্থিত, যথেষ্ট ভালো আকারের এবং প্রভাবশালী। ইংল্যান্ডের বৃহত্তম শহর বা নগর এলাকার তালিকা বিতর্কের জন্য উন্মুক্ত কারণ, যদিও শহরের স্বাভাবিক অর্থ "একটি ধারাবাহিকভাবে নির্মিত নগর এলাকা", এটি সংজ্ঞায়িত করা কঠিন হতে পারে, কারণ ইংল্যান্ডের প্রশাসনিক এলাকাগুলি প্রায়শই নগর উন্নয়নের সীমার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয় না এবং অনেক শহর এবং নগর শতাব্দী ধরে জটিল নগর সমষ্টিতে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের শহরের সরকারী সংজ্ঞার জন্য, যুক্তরাজ্যে শহরের অবস্থা দেখুন।
ONS নগর এলাকার জনসংখ্যা অনুসারে, অবিচ্ছিন্নভাবে নির্মিত এলাকার জন্য, এগুলি হল ১৫টি বৃহত্তম নগর (২০০১ সালের আদমশুমারি থেকে জনসংখ্যার পরিসংখ্যান):
মর্যাদাক্রম | নগর এলাকা [৬] | জনসংখ্যা
(২০০১ সালের আদমশুমারি) |
এলাকা |
প্রধান এলাকা |
---|---|---|---|---|
১ | বৃহত্তর লন্ডন নগর এলাকা | ৮,২৭৮,২৫১ | ৬৭ | ক্রয়ডন, বার্নেট, ইলিং, ব্রমলি |
২ | ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস আরবান এরিয়া | ২,২৮৪,০৯৩ | ২২ | বার্মিংহাম, উলভারহ্যাম্পটন, ডাডলি, ওয়ালসাল |
৩ | গ্রেটার ম্যানচেস্টার আরবান এরিয়া | ২,২৪০,২৩০ | ৫৭ | ম্যানচেস্টার, সালফোর্ড, বোল্টন, স্টকপোর্ট, ওল্ডহ্যাম |
৪ | পশ্চিম ইয়র্কশায়ার নগর এলাকা | ১,৪৯৯,৪৬৫ | ২৬ | লিডস, ব্র্যাডফোর্ড, হাডার্সফিল্ড, ওয়েকফিল্ড |
৫ | টাইনসাইড | ৮৭৯,৯৯৬ | ২৫ | নিউক্যাসল আপন টাইন, নর্থ শিল্ডস, সাউথ শিল্ডস, গেটসহেড, জ্যারো |
৬ | লিভারপুল নগর এলাকা | ৮১৬,২১৬ | ৮ | লিভারপুল, সেন্ট হেলেন্স, বুটল, হুইটন-উইথ-রবি |
৭ | নটিংহ্যাম নগর এলাকা | ৬৬৬,৩৫৮ | ১৫ | নটিংহ্যাম, বিস্টন এবং স্ট্যাপলফোর্ড, কার্লটন, লং ইটন |
৮ | শেফিল্ড নগর এলাকা | ৬৪০,৭২০ | ৭ | শেফিল্ড, রদারহ্যাম, চ্যাপেলটাউন, মসবোরো / হাইলেন |
৯ | ব্রিস্টল নগর এলাকা | ৫৫১,০৬৬ | ৭ | ব্রিস্টল, কিংসউড, ম্যাঙ্গোটসফিল্ড, স্টোক গিফোর্ড |
১০ | ব্রাইটন/ওয়ার্থিং/লিটলহ্যাম্পটন | ৪৬১,১৮১ | ১০ | ব্রাইটন, ওয়ার্থিং, হোভ, লিটলহ্যাম্পটন, শোরহ্যাম, ল্যান্সিং |
১১ | পোর্টসমাউথ নগর এলাকা | ৪৪২,২৫২ | ৭ | পোর্টসমাউথ, গসপোর্ট, ওয়াটারলুভিল, ফারেহ্যাম |
১২ | লেস্টার নগর এলাকা | ৪৪১,২১৩ | ১২ | লিসেস্টার, উইগস্টন, ওডবি, বিরস্টল |
১৩ | বোর্নমাউথ নগর এলাকা | ৩৮৩,৭১৩ | ৫ | বোর্নমাউথ, পুল, ক্রাইস্টচার্চ, নিউ মিল্টন |
১৪ | রিডিং/ওকিংহাম নগর এলাকা | ৩৬৯,৮০৪ | ৫ | রিডিং, ব্র্যাকনেল, ওকিংহ্যাম, ক্রোথর্ন |
১৫ | টিসাইড | ৩৬৫,৩২৩ | ৭ | মিডলসব্রো, স্টকটন-অন-টিস, রেডকার, বিলিংহ্যাম |
ইংল্যান্ডের বৃহত্তম শহরগুলি নিম্নরূপ (বর্ণানুক্রমিকভাবে):
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "The Countries of the UK"। Office for National Statistics। ৮ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ Dornbusch, U (অক্টোবর ২০০২)। "CoastView – What happens offshore?"। University of Sussex। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "The Channel Tunnel"। ১৭ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "TravelBritain – Kent"। ৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ National Statistics (২০০৪)। UK 2005 (The Official Yearbook of the United Kingdom of Great Britain and Northern Ireland)। London: The Stationery Office। পৃষ্ঠা 279। আইএসবিএন 0-11-621738-3।
- ↑ Pointer, Graham (২০০৫)। "The UK's major urban areas" (পিডিএফ)। Focus on People and Migration। Office for National Statistics। ৪ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৬-০৬।
- ↑ wikipedia