এ পারফেক্ট ওয়ার্ল্ড
আ পারফেক্ট ওয়ার্ল্ড | |
---|---|
![]() | |
পরিচালক | ক্লিন্ট ইস্টউড |
প্রযোজক | ক্লিন্ট ইস্টউড মার্ক জনসন ডেভিড ভ্যালদেজ |
রচয়িতা | জন লি হ্যানকক |
শ্রেষ্ঠাংশে | কেভিন কসনার ক্লিন্ট ইস্টউড লরা ডার্ন টি জে লদার ব্রাডলি হুইটফোর্ড |
পরিবেশক | ওয়ার্নার ব্রাদার্স |
মুক্তি | ২৪শে নভেম্বর, ১৯৯৩ |
দৈর্ঘ্য | ১৩৮ মিনিট |
ভাষা | ইংরেজি |
আ পারফেক্ট ওয়ার্ল্ড (ইংরেজি ভাষায়: A Perfect World)১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত ক্লিন্ট ইস্টউড পরিচালিত একটি চলচ্চিত্র। এর মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন কেভিন কসনার এবং ক্লিন্ট ইস্টউড। চলচ্চিত্রটির নামকরণ করা হয়েছে এই ছবিরই একটি কথোপকথন থেকে। পলাতক কয়েদিকে খুঁজে বের করার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশদের একজন বলে, "In a perfect world we'd all lock arms and thrash the bushes till he turned up"। এর জবাবে অপরাধ বিশেষজ্ঞ স্যালি গার্বার বলে, "In a perfect world things like this wouldn't happen in the first place"।
কাহিনী সূত্র[সম্পাদনা]
"রবার্ট বুচ হেইন্স" (কেভিন কসনার) ও "টেরি পিউ" জেল থেকে পালায়। বুচ কোন জঘন্য অপরাধী না, কিন্তু পিউয়ের অপরাধের সীমা-পরিসীমা নেই। তারা এক আবাসিক এলাকায় যা গাড়ি চালিয়ে। খাবার সংগ্রহের জন্য এক বাড়িতে ঢুকে পিউ। গিয়ে গৃহিনীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। বুচ গৃহিনীকে বাঁচায়। কিন্তু ততক্ষণে প্রতিবেশে জানাজানি হয়ে গেছে যে, দুই আসাম প্রবেশ করেছে। অগত্যা তারা গৃহিনীর ছোট ছেলেকে জিম্মি হিসেবে নিয়ে যায়। তিনজনে গাড়িতে করে যেতে থাকে। তাদের তাড়া করা শুরু করে টেক্সাসের রেঞ্জার রেড গার্নেটের নেতৃত্বে একটি পুলিশ দল।
বুচ পিউকে খুন করে, কারণ পিউয়ের হাতে ছোট্ট ছেলেটিও যৌন হয়রানির শিকার হতে যাচ্ছিল। তারপর শুরু হয় বুচ ও ছোট্ট ছেলে ফিলিপের যাত্রা। দুজনেই দুজনকে ভালবেসে ফেলে। গোঁড়া ইহুদি পরিবারে থাকায় ফিলিপের সাধারণ মার্কিন বাচ্চাদের মত আনন্দ করতে পারেনি এতোদিন। তার অনেক সাধ পূরণে সাহায্য করে বুচ। আলাস্কা যাওয়ার পথে এক বাড়িতে রাত কাটায় তারা। বাড়ির গৃহকর্তা তার ছোট্ট ছেলেকে খুব মারধোর করে। সইতে না পেরে বুচ তাকে মারতে উদ্যত হয়। ফিলিপ মনে করে সত্যই বুচ লোকটিকে মেরে ফেলবে। অগত্য সে বুচকে গুলি করে। পিস্তল কুয়ায়ে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। বুচ পেছন পেছন যায় আর বলে, সে তাদের খুন করতো না, কারণ সে জীবনে মাত্র দুটি খুন করছে। প্রথমটি তার মাকে অত্যাচার করার জন্য এক জনকে আর দ্বিতীয়টি এই ফিলিপকে বাঁচানোর জন্য। এভাবেই কাহিনী শেষের দিকে এগিয়ে যায়, যে কাউকে কাঁদতে বাধ্য করার পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে।
প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]
সিনেমাটি সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। রিভিউ সংগ্রাহক সাইট রটেন টম্যাটোস-এর এর রেটিং ৮৫% অর্থাৎ শতকরা ৮৫ জন সমালোচকই এর প্রশংসা করেছেন। শিকাগো সান-টাইম্সের রজার ইবার্ট বলেছেন, "a film any director alive might be proud to sign"। অনেকেই একে ইস্টউডের অন্যতম সেরা বডি ওয়ার্ক বলে আখ্যা দিয়েছেন। পলাতক কয়েদি ও ছোট্ট ছেলের মধ্যে সম্পর্কের দৃশ্যগুলো তার অন্যতম সেরা কাজ বলে বিবেচিত হয়ে থাকে।
গোঁড়া ইহুদি পরিবার সম্পর্কে কিছুটা পক্ষপাতগ্রস্ত হয়ে পড়ার জন্য অনেকেই এর সমালোচনা করেছেন। এখানে দেখা যায়, ফিলিপ জীবনে কটন ক্যান্ডি খায় নি, জন্মদিন পালন করতে পারেনি। বর্তমানে ধার্মিক ইহুদি পরিবারগুলোর অবস্থা পুরোপুরি এরকম নয় বলেই সমালোচনাগুলো হয়েছে।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- ১৯৯৩-এর চলচ্চিত্র
- ক্লিন্ট ইস্টউড পরিচালিত চলচ্চিত্র
- মার্কিন চলচ্চিত্র
- নব্য ওয়েস্টার্ন চলচ্চিত্র
- ওয়ার্নার ব্রসের চলচ্চিত্র
- বন্ধুত্ব সম্পর্কিত চলচ্চিত্র
- মার্কিন অপরাধ নাট্য চলচ্চিত্র
- ১৯৬৩-এর পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- ক্লিন্ট ইস্টউড প্রযোজিত চলচ্চিত্র
- টেক্সাসে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- সাউথ ক্যারোলাইনায় ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- ১৯৯০-এর দশকের ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- ১৯৯০-এর দশকের মার্কিন চলচ্চিত্র