আহমেদ পাশা হারসেকি
আহমেদ | |
---|---|
উসমানীয় সাম্রাজ্যের ১৯তম উজিরে আজম | |
কাজের মেয়াদ ১৪৯৭ – ১৪৯৮ | |
সার্বভৌম শাসক | দ্বিতীয় বায়েজীদ |
পূর্বসূরী | দাউদ পাশা |
উত্তরসূরী | দ্বিতীয় চান্দারলি ইব্রাহিম পাশা |
কাজের মেয়াদ ১৫০৩ – ১৫০৬ | |
সার্বভৌম শাসক | দ্বিতীয় বায়েজীদ |
পূর্বসূরী | খাদিম আলি পাশা |
উত্তরসূরী | খাদিম আলি পাশা |
কাজের মেয়াদ ১৫১১ – ১৫১১ | |
সার্বভৌম শাসক | দ্বিতীয় বায়েজীদ |
পূর্বসূরী | খাদিম আলি পাশা |
উত্তরসূরী | খোজা মোস্তফা পাশা |
কাজের মেয়াদ ১৫১২ – ২৮ নভেম্বর ১৫১৪ | |
সার্বভৌম শাসক | প্রথম সেলিম |
পূর্বসূরী | খোজা মোস্তফা পাশা |
উত্তরসূরী | আহমেদ পাশা বিন দুকাকিন |
কাজের মেয়াদ ৮ সেপ্টেম্বর ১৫১৫ – ২৬ এপ্রিল ১৫১৬ | |
সার্বভৌম শাসক | দ্বিতীয় সেলিম |
পূর্বসূরী | আহমেদ পাশা বিন দুকাকিন |
উত্তরসূরী | সিনান পাশা খাদিম |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | স্টেপান হার্সেগোভিচ ১৪৫৬ নোভি, বসনিয়া রাজ্য |
মৃত্যু | ২১ জুলাই ১৫১৭ লাল মরুভূমি, দুলকাদির এয়ালেত, উসমানীয় সাম্রাজ্য | (বয়স ৬০–৬১)
জাতীয়তা | উসমানীয় |
দাম্পত্য সঙ্গী | হুন্দি সুলতান |
সন্তান | সুলতানজাদা মুসা বে সুলতানজাদা মোস্তফা বে কামেরশাহ সুলতান হুমাশাহ সুলতান ইসামেশাহ হানিম সুলতান মাহদুমজাদা হানিম সুলতান |
মাতা | জেলেনা বালসিক |
পিতা | স্টজেপান ভুকচিচ কোসাচা |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | উসমানীয় সাম্রাজ্য |
শাখা | উসমানীয় নৌবাহিনী |
পদ | কাপুদান পাশা (প্রধান অ্যাডমিরাল) |
আহমেদ পাশা হারসেকি (১৪৫৬ – ২১ জুলাই ১৫১৭) ছিলেন একজন উসমানীয় সাম্রাজ্যের বসনীয় রাজনীতিবিদ এবং উসমানীয় সাম্রাজ্যের পাঁচবারের উজিরে আজম।
তিনি ছিলেন স্টজেপান ভুকচিচ কোসাচার কনিষ্ঠ পুত্র। ১৪৭৩ খ্রিস্টাব্দের শেষের দিকে এবং ১৪৭৪ খ্রিস্টাব্দের প্রথম দিকে তিনি নোভি (বর্তমানে হার্সেগ নোভি) থেকে ইস্তাম্বুলে চলে যান। সেখানে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]তিনি ১৪৫৬ সালে কোসাচা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হের্সেগ স্টজেপান ভুকচিচের তৃতীয় এবং সবচেয়ে ছোট পুত্র ছিলেন। তার বাবা তখনকার সময়ে সবচেয়ে শক্তিশালী বসনিয়ান অভিজাত সদস্য ছিলেন। তার সৎ ভাইবোনদের মধ্যে ছিলেন রানী ক্যাথরিন। ক্যাথরিন ছিলেন রাজা টমাসের স্ত্রী। আহমেদ পাশার পরিবার বসনীয় চার্চের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস বেশ অনিশ্চিত ছিল। তার সৎ বোন ক্যাথরিন বিবাহের পর রোমান ক্যাথলিক ধর্মে ধর্মান্তরিত হন এবং পরবর্তীতে তিনি গির্জার পবিত্র অনুসারী হয়ে ওঠেন।[১][২]
আহমেদ পাশা নিজেই ১৪৭৪ খ্রিস্টাব্দের শুরুর দিকে নোভি ত্যাগ করে ইস্তাম্বুলের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে স্টেপান হার্সেগোভিচ থেকে আহমেদ রাখেন।[৩]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]তিনি ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয় বায়েজীদের দরবারে এসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। যেটি তার কর্মজীবনের সূচনা ও প্রভাবশালী হয়ে ওঠার প্রাথমিক দিকটি তুলে ধরে। দ্বিতীয় বায়েজীদ এর কন্যা হুন্দি খাতুনকে বিয়ে করার মাধ্যমে তিনি সাম্রাজ্যের শাসন ও সামরিক কাঠামোর শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছান।[৪] আহমেদ পাশার কর্মজীবন প্রায় ৪০ বছরের দীর্ঘ ছিল।[৫] এই সময়ে তিনি পাঁচবার উজিরে আজম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১] তিনি শুধু উজিরে আজম ছিলেন না বরং উসমানীয় নৌবাহিনীর কাপুদান পাশাও ছিলেন। ১৫১৭ সালের ২১ জুলাই তার মৃত্যু প্রথম সেলিমের শাসনামলের শেষ দিকে ঘটে।[৫][৬]
পরিবার
[সম্পাদনা]তিনি ১৪৮৪ খ্রিস্টাব্দে সুলতান দ্বিতীয় বায়েজীদের কন্যা হুন্দি সুলতানকে বিয়ে করেন। হুন্দি সুলতানের মা ছিলেন বুলবুল খাতুন। তাদের দুইজন পুত্র এবং চারজন কন্যা ছিল:[৪]
- শাহজাদা মুসা বেগ
- শাহজাদা মুস্তাফা বেগ
- কামেরশাহ হানিম সুলতান
- হুমাশাহ হানিম সুলতান
- আয়নাশাহ হানিম সুলতান
- মাহমুদজাদা হানিম সুলতান
পূর্বপুরুষ
[সম্পাদনা]আহমেদ পাশা হারসেকি-এর পূর্বপুরুষ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Fine, John Van Antwerp (১৯৯৪)। The Late Medieval Balkans: A Critical Survey from the Late Twelfth Century to the Ottoman Conquest
। Michigan: The University of Michigan Press। পৃষ্ঠা 589। আইএসবিএন 0472100793।
- ↑ Pinson, Mark (১৯৯৬)। The Muslims of Bosnia-Herzegovina: their historic development from the Middle Ages to the dissolution of Yugoslavia। Harvard CMES। পৃষ্ঠা 33। আইএসবিএন 9780932885128।
- ↑ Vrankić, Petar (৫ অক্টোবর ২০১৭)। "Stjepan/Ahmedpaša Hercegović (1456.?-1517.) u svjetlu dubrovačkih, talijanskih i osmanskih izvora"। Hercegovina: Časopis za kulturno i povijesno naslijeđe (ক্রোয়েশীয় ভাষায়) (3): 33, 34, 35, 36। আইএসএসএন 2566-3429। ডিওআই:10.47960/2712-1844.2017.3.9। ২৮ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২৩।
- ↑ ক খ Uluçay 1985, পৃ. 50।
- ↑ ক খ Vrankić, Petar (৫ অক্টোবর ২০১৭)। "Stjepan/Ahmedpaša Hercegović (1456.?-1517.) u svjetlu dubrovačkih, talijanskih i osmanskih izvora"। Hercegovina: Časopis za kulturno i povijesno naslijeđe (ক্রোয়েশীয় ভাষায়) (3): 9–67, 35, 36। আইএসএসএন 2566-3429। ডিওআই:10.47960/2712-1844.2017.3.9। ২৮ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২৩।
- ↑ Pinson, Mark (১৯৯৬)। The Muslims of Bosnia-Herzegovina: their historic development from the Middle Ages to the dissolution of Yugoslavia। Harvard CMES। পৃষ্ঠা 34। আইএসবিএন 9780932885128।
- Bibliography
- Uluçay, M. Çağatay (১৯৮৫)। Padişahların kadınları ve kızları। Türk Tarih Kurumu।
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী দাউদ পাশা |
উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রধান উজিরে আজম ১৪৯৭–১৪৯৮ |
উত্তরসূরী দ্বিতীয় চান্দারলি ইব্রাহিম পাশা |
পূর্বসূরী খাদিম আলি পাশা |
উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রধান উজিরে আজম ১৫০৩–১৫০৬ |
উত্তরসূরী খাদিম আলি পাশা |
পূর্বসূরী খাদিম আলি পাশা |
উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রধান উজিরে আজম ১৫১১ |
উত্তরসূরী মুস্তাফা পাশা |
পূর্বসূরী মুস্তাফা পাশা |
উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রধান উজিরে আজম ১৫১২ – ২৮ নভেম্বর ১৫১৪ |
উত্তরসূরী আহমেদ পাশা |
পূর্বসূরী আহমেদ পাশা |
উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রধান উজিরে আজম ৮ সেপ্টেম্বর ১৫১৫ – ২৬ এপ্রিল ১৫১৬ |
উত্তরসূরী খাদিম সিনান পাশা |
- প্রথম সেলিমের উজিরে আজম
- কাপুদান পাশা
- উসমানীয় সামরিক ব্যক্তি
- ১৪৫৬-এ জন্ম
- ১৫১৭-এ মৃত্যু
- ১৫শ শতাব্দীর উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজম
- ১৬শ শতাব্দীর উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজম
- ১৪৯০-এর দশকে উসমানীয় সাম্রাজ্য
- ১৫০০-এর দশকে উসমানীয় সাম্রাজ্য
- ১৫১০-এর দশকে উসমানীয় সাম্রাজ্য
- কোসাচা অভিজাত পরিবার
- পাশা
- দামাত
- উসমানীয় সাম্রাজ্যের স্লাভ
- উসমানীয় সাম্রাজ্যের বসনীয় মুসলমান
- বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রাক্তন খ্রিস্টান
- খ্রিস্টধর্ম থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত
- উসমানীয় বসনীয় আভিজাত্য
- হার্জেগোভিচ অভিজাত পরিবার