আহমেদ আতাউল হাকিম
আহমেদ আতাউল হাকিম হলেন বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। তিনি বাংলাদেশের ১০ম তম নিয়ন্ত্রক ও মহা হিসাব নিরীক্ষক ছিলেন।[১] তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।[২]
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]হাকিম মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে ১৯৬৫ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন।[৩][৪] তিনি ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে যথাক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩][৪] ১৯৮৭ সালে তিনি বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩][৪]
পেশাজীবন
[সম্পাদনা]হাকিম ১৯৭৯ সালের মার্চ মাসে নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন।[৫]
তিনি বাংলাদেশের প্রথম প্রধান হিসাব নিয়ন্ত্রক ছিলেন।[৫] ১৯৯১ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে উপসচিব ছিলেন।[৫] ১৯৯৭ সালে তিনি নিরীক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান।[৫] তিনি পাঁচ বছর আর্থিক ব্যবস্থাপনা একাডেমির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫]
হাকিম ২০০৪ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের উপ-নিয়ন্ত্রক ও মহা হিসাব নিরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫]
২০০৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাকিম বাংলাদেশের ১০ম তম নিয়ন্ত্রক ও মহা হিসাব নিরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫] তিনি আসিফ আলীর স্থলাভিষিক্ত হন এবং প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।[৬] ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব সুপ্রিম অডিট ইনস্টিটিউশন্স-এর গভর্নিং বোর্ডের সদস্য ছিলেন।[৪] ২০০৯ সালের এপ্রিলে তিনি শেখ হাসিনার কাছে নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।[৭]
২০১২ সালের জানুয়ারিতে হাকিমকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনর কমিশনারদের জন্য অনুসন্ধান কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৮] ২০১২ সালের ডিসেম্বরে তিনি শেখ হাসিনার কাছে নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।[৯] তিনি ৪৮.১১ বিলিয়ন টাকার অনিয়ম নিয়ে ৬০৫টি আপত্তি উত্থাপন করেছিলেন।[৯] পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত।[৯] ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি নিয়ন্ত্রক ও মহা হিসাব নিরীক্ষক দপ্তরের ডিজিটাল অডিট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করেন।[১০] ২০১৩ সালের এপ্রিলে মাসুদ আহমেদ তার স্থলাভিষিক্ত হন।[১১]
২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত হাকিম ব্র্যাকের ওমবাডসম্যান ছিলেন।[৩][৪] ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে যোগ দেন।[৪][১২] তিনি ঢাকার নটর ডেম কলেজে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবেও কাজ করেছেন।[৪] তিনি অফিসার্স ক্লাব, ঢাকার সদস্য।[১৩] তিনি দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ এর সদস্য।[১৪]
২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর হাকিম বাংলাদেশের আরডিআরএস সাধারণ বোর্ডে যোগ দেন।[১৫]
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাকিম মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আর্থিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদনকে আংশিক ভুল বলে মত দেন, যেখানে বাংলাদেশের অডিট বিভাগকে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।[১৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Ataul Hakeem meets PM"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "BRAC University, Dhaka Bank sign agreement"। The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- 1 2 3 4 "Ahmed Hakeem"। LinkedIn। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- 1 2 3 4 5 6 7 "New Joining - Controller of Examinations"। www.bracu.ac.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- 1 2 3 4 5 6 7 "CAG | Former CAG"। cag.org.bd। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "Hakeem takes oath as CAG"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "PM receives annual audit report"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ এপ্রিল ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ Majumdar, Badiul Alam (৩১ জানুয়ারি ২০১২)। "Challenges for Search Committee"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- 1 2 3 Rahman, Md Fazlur (২৪ ডিসেম্বর ২০১২)। "Tk 4,811cr stuck in irregularities"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "New era begins as govt auditing goes digital"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "CAG | Former cags"। cag.org.bd। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "Administration"। www.bracu.ac.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "Officers' Club Dhaka"। www.ocd.org.bd। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "ICAB Publication"। www.icab.org.bd। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "General Body"। RDRS Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
- ↑ "The state of CAG: 'US report is not entirely true'"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩।