আস্কর আলী পণ্ডিত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আস্কর আলী পন্ডীত
জন্ম১৮৪৬
মৃত্যু১১ ই মার্চ (২৭ ফাল্গুন), ১৯২৭[১]
শোভনদন্ডী, পটিয়া, চট্টগ্রাম
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশা
  • গীতিকার
  • লোকশিল্পী
পরিচিতির কারণলেখক ও গীতিকার
উল্লেখযোগ্য কর্ম
জ্ঞান চৌতিসা, পঞ্চসতী প্যারজান
পিতা-মাতা
  • মোশাররফ আলী (পিতা)

আস্কর আলী পণ্ডিত (১৮৪৬–মার্চ ১১, ১৯২৭)[১] একজন বাঙালি লোককবি, প্রাচীন পুঁথি রচয়িতা, গীতিকার এবং লোকশিল্পী।[২] তার উল্লেখযোগ্য পুঁথির মধ্যে রয়েছে জ্ঞান চৌতিসাপঞ্চসতী প্যারজান

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

১৮৪৬ সালে (মতান্তরে ১৮৫৫) চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন।[১][৩][৪] পরবর্তীতে পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী গ্রামে বসবাস শুরু করেন।[১] তার পিতা মোশাররফ আলী, পিতামহ দোলন ফকির ও প্রপিতামহ বাছির মোহাম্মদ। তার এক ভাই আমিরজান এবং চার বোনেরা হলেন রহিমজান, ফুলজান, সাহেব জান ও মেহেরজান। নয় বছর বয়সে তার পিতা মারা যান। জ্ঞান চৌতিসা নামক তার এক লেখনীতে তিনি নিজ আত্মকথা বর্ণনা করেছেন এভাবে-

তথা হীন মুই দীন আস্কর আলী নাম
দুঃখের বসতি এই শোভনদন্ডী গ্রাম।
ধনজনহীন আর বুদ্ধি বিদ্যাহীন
তেকারণে নিজ কর্ম্মে নয় মনলিন।
জনক মোসরফ আলী গুণে সুরচির
তান পিতা নাম শ্রেষ্ঠ দোলন ফকির।

পণ্ডিত আস্কর আলী আধ্যাত্মিক সাধক ছিলেন। জ্ঞান চৌতিসা রচনায় তিনি লিখেছেন-

ধনজন হীন বিদ্যা শিখিতে না পারি।
কিঞ্চিত দিলেক প্রভু সমাদর করি।

[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

আস্কর আলী পণ্ডিতের তিন স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী রাহাতুন নেছা, দ্বিতীয় স্ত্রী মিছরি জান ও তৃতীয় স্ত্রী আতর জান। সন্তানেরা হলেন প্রথম স্ত্রীর লতিফা খাতুন প্রকাশ লেইস্যা খাতুন, দ্বিতীয় স্ত্রীর-আবদুল ছমদ ও বাচা মিয়া, তৃতীয় স্ত্রীর আবদুর রশিদ, ছমন খাতুন, বদলসহ মোট ৬ সন্তান।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

বাচা মিয়া

মরহুম মোঃ ইসমাঈল

ক)আজমাঈন যাওয়াদ তাসিন

খ) আইনান তাজরিয়ান

গ) তান্নুম তাজরিয়ান

ক) আমিরুল মোমেনিন তাজিম

মরহুম মোঃ ইসহাক চৌধুরী (১৯৫৫-২০০৯)

ক) তাহিনূর জান্নাত তাহিয়া

  • জান্নাতুল নাঈম
  • জান্নাতুল নাছরিন

ক)আফিফুল জাওয়াদ তারিফ


রচনা[সম্পাদনা]

আস্কর আলী পণ্ডিতের বর্গসাস্ত্র বা মাত্রি-ভাষার প্রথম সংস্করণের (১৩২১) প্রথম পৃষ্ঠা

আস্কর আলী পণ্ডিত অসংখ্য মরমী গানের রচয়িতা। কি দুঃখ দি গেলা মোরে এবং ডাইলেতে লড়ি চড়ি বইও তার লেখা গানের মধ্যে অন্যতম।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] জ্ঞানচৌতিসা, পঞ্চমতী, পেয়ারজান, নীলাপতি, চম্পাবতি, চাতক, আজল বকসু, সোনাইর বারমাসি, চান্দ্রমাস, তমিম জালাল প্রভৃতি বইগুলি তার উল্লেখযোগ্য রচনা।[৫]

  • বর্গশাস্ত্র,
  • নন্দবেহার,
  • নন্দক বিলাস
  • গীত বারমাস
  • সতী সঙ্গিনী
  • নন্দসাগর
  • হাদিস বাণী
  • নাটকঃকাজীর পাট।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

আস্কর আলী পণ্ডিত ১১ মার্চ, ১৯২৭ সালে মৃত্যু বরণ করেন।[১][৩][২]

সম্মাননা[সম্পাদনা]

আস্কর আলী পণ্ডিতের স্মৃতি রক্ষার্থে আস্কর আলী পণ্ডিত স্মৃতি সংসদ নামে একটি সংগঠন চালু রয়েছে।[৬]

সম্মাননা স্বর্ণ স্মারক- মুজিব শতবর্ষ-২০২২ পটিয়া ফাউন্ডেশন

অমর একুশে সম্মাননা ২০২৩ - পটিয়া পৌরসভা

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "তারুণ্য : শামসুল আরেফীন বিস্মৃত লোককবির গবেষক"। এ কে আজাদ। সমকাল। Archived from the original on ১৩ মে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৮ 
  2. "আস্কর আলী পণ্ডিতের মৃত্যুবার্ষিকী"দৈনিক প্রথম আলোঢাকা। মার্চ ২১, ২০১০। ২৬ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৬, ২০১৫ 
  3. "বিলুপ্ত-বিস্মৃত লোককবির খোঁজে শামসুল আরেফীন"। ময়নাল হোসেন চৌধুরী। kalerkantho। Archived from the original on ২৬ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০২০ 
  4. "লোকগবেষক ও লোকসঙ্গীত সংগ্রাহক শামসুল আরেফীন"দৈনিক ভোরের কাগজ। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০২৩ 
  5. পুঁথি-পরিচিতি,আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ। সম্পাদনা: ড.আহমদ শরীফ। বাংলা বিভাগ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫৮।
  6. "আসকর আলী পণ্ডিত স্মৃতি সংসদের সভা"দৈনিক আজাদীচট্টগ্রাম। ১৮ এপ্রিল ২০১২। Archived from the original on ২০১৩-০৮-০২। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৬, ২০১৫