আশিকাগা হত্যা মামলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আশিকাগা হত্যা মামলা (足利事件, আশিকাগা জিকেন) জাপানের তোচিগি প্রশাসনিক অঞ্চলের অন্তর্গত আশিকাগা শহরে ঘটেছিল, ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী ১৯৯০ সালের ১২ই মে, ৪ বছর বয়সী বালিকা, মামি মাতসুদা পাচিনকো পার্লার (ভিডিও গেম খেলার পার্লার) থেকে নিখোঁজ হয়, এবং তাকে ওয়াটারেস নদীর কাছে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই মামলাটি উত্তর কান্টো ধারাবাহিক কিশোরী অপহরণ ও হত্যা মামলার অংশ।[১]

১৯৯১ সালে, তোশিকাজু সুগায়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং প্রাথমিক ডিএনএ প্রমাণের ভিত্তিতে হত্যার জন্য তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু, ২০০৭ সালে, সাংবাদিক কিয়োশি শিমিজু আবিষ্কার করেছিলেন যে ডিএনএ পরীক্ষা পদ্ধতিটি যথাযথ নয়। পূর্ববর্তী প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার জেতার পরে শিমিজুকে মামলাটি তদন্ত করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালে, যখন সুগায়ার ডিএনএ প্রমাণের পরিপ্রেক্ষিতে আবার পরীক্ষা করা হয়েছিল, এটি নিশ্চিতভাবে দেখা গিয়েছিল যে সুগায়া নির্দোষ। সতের বছর কারাভোগের পর ২০০৯ সালের মে মাসে তিনি মুক্তি পান। এর ওপরেও, অভিশংসকের দপ্তর রায় দেয় যে সংবিধানের সীমাবদ্ধতা সময় পার হয়ে যাবার পর থেকে অপরাধের অপরাধীকে আর বিচারের আওতায় আনা যাবে না। তবে দেখা গেল যে, সামগ্রিক উত্তর কান্টো মামলার শেষ মামলার ক্ষেত্রে সময় সীমাবদ্ধতা তখনও পার হয়নি, এবং প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান সহ একাধিক সরকারি কর্মকর্তা পুলিশকে প্ররোচিত করে ছিলেন এই মামলার সমাধান করার জন্য।[২]

ন্যায়বিচারে অকৃতকার্যতা প্রকাশ করার জন্য শিমিজুকে সম্পাদকের পছন্দ পত্রিকা সাংবাদিকতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ২০১০ এবং ২০১১ সালে, তিনি ডিএনএ প্রমাণ সহ শক্তিশালী প্রমাণের ভিত্তিতে বিবৃত করেছিলেন, যে অপরাধীকে পাওয়া গেছে। তিনি পুলিশকে এই তথ্য দিয়ে দেন, কিন্তু কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এই প্রত্যাখ্যানের জন্য কারণ দেখানো হল যে অভিযুক্ত অপরাধীর ডিএনএ আশিকাগা মামলায় পূর্বে পাওয়া অপরাধীর সাথে মিলছে না। শিমিজু দাবি করলেন যে সেই ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ডিএনএ পরীক্ষার পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ ছিল, এবং অপরাধীকে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিশংসকের দপ্তরকে এটি স্বীকার করতে হবে। অবশ্য, আইজুকা মামলাতেও একই পরীক্ষার পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেখানে অভিযুক্ত অপরাধীর ডিএনএ পরীক্ষা এবং পুনরায় বিচারের অনুরোধ সত্ত্বেও ২০০৮ সালে অভিযুক্ত অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল,এবং স্বীকার করা হয়েছিল যে পরীক্ষার পদ্ধতিগুলো ত্রুটিপূর্ণ হলে সেটি একটি ব্যাপক কেলেঙ্কারির সৃষ্টি করবে। [১]

বিচারের দিকে চালিত ঘটনা পরম্পরা[সম্পাদনা]

ধারাবাহিকভাবে হত্যা[সম্পাদনা]

১৯৭৯ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আশিকাগা শহরের আশেপাশে অল্পবয়সী মেয়েদের হত্যার ধারাবাহিক ঘটনা ঘটেছিল। তোশিকাজু সুগায়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং ১৯৯০ সালের মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

  • ৩রা আগস্ট, ১৯৭৯ সাল, ওয়াটারেস নদীর কাছে, একটি পাঁচ বছরের বালিকা অপহৃত হয় এবং একটি পিঠের ব্যাগের মধ্যে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
  • ১৭ই নভেম্বর, ১৯৮৪ সাল, পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণ করা হয় এবং আশিকাগা শহরের ওকুবো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব দিকে একটি মাঠে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
  • ১২ই মে ১৯৯০ সাল, চার বছরের এক শিশুকে অপহরণ করা হয় এবং ওয়াটারেস নদীতে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
  • ৭ই জুন, ১৯৯৬ সাল, চার বছর বয়সী একটি শিশুকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং তার মৃতদেহ কখনও পাওয়া যায়নি।
  • ১লা ডিসেম্বর, ২০০৫ সাল, একটি সাত বছরের মেয়েকে অপহরণ করা হয় এবং তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এছাড়াও, গুনমা প্রশাসনিক অঞ্চলে, প্রশাসনিক অঞ্চলের সাথে আশিকাগা শহরের সীমান্তে ওহতা শহরে দুটি কিশোরীর হত্যার ঘটনা ঘটেছিল,।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

Specific
  1. 『殺人犯はそこにいる: 隠蔽された北関東連続幼女誘拐殺人事件』 新潮社、2013年、আইএসবিএন ৯৭৮-৪১০৪৪০৫০২২
  2. http://kokkai.ndl.go.jp/SENTAKU/sangiin/177/0014/17703080014004a.html ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৩-০২-০৬ তারিখে 「この足利事件については、平成二年、栃木県足利市で当時四歳の女の子が殺害、遺棄されたという大変痛ましい事件であることは仰せのとおりであります。また、犯人でない方が、菅家さんが長期間にわたって刑に服すという冤罪事件でもあります。そういった意味で、今お話のあったように、近隣でも同じような事件が五件もあるということの御指摘もありますので、捜査そのものの一般的な在り方は一般的に一つのルールがあるかと思いますけれども、まさに冤罪事件であり、さらにその後も事件が、類似の事件が続いていることを考えますと、今後のこういう同一、同種類の事件を防ぐという意味からも、必要なことについてはしっかり対応することが警察等においても必要ではないかと、今のお話を聞きながらそのように感じたところであります。」