আশরাফ আলী (ক্রিকেটার)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আশরাফ আলী
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামআশরাফ আলী
জন্ম২২ এপ্রিল, ১৯৫৮
লাহোর, পাঞ্জাব, পাকিস্তান
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
সম্পর্কসাদত আলী (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৯৩)
১৪ মার্চ ১৯৮২ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ টেস্ট১৬ ডিসেম্বর ১৯৮৭ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৩২)
৫ ডিসেম্বর ১৯৮০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ ওডিআই১৩ অক্টোবর ১৯৮৫ বনাম শ্রীলঙ্কা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ১৬
রানের সংখ্যা ২২৯ ৬৯
ব্যাটিং গড় ৪৫.৭৯ ১৭.২৫
১০০/৫০ -/২ -/-
সর্বোচ্চ রান ৬৫ ১৯*
বল করেছে - -
উইকেট - -
বোলিং গড় - -
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৭/৫ ১৭/৩
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

আশরাফ আলী (উর্দু: اشرف علی‎‎; জন্ম: ২২ এপ্রিল, ১৯৫৮) পাঞ্জাবের লাহোর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ও সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৭ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে ইনকাম ট্যাক্স, লাহোর, পাকিস্তান রেলওয়েজ, পাকিস্তান ইউনিভার্সিটিজ ও ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপন করতেন তিনি।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৭৪-৭৫ মৌসুম থেকে ১৯৯৩-৯৪ মৌসুম পর্যন্ত আশরাফ আলী’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিংয়ের অধিকারী ছিলেন। অস্বাভাবিক বিপুল শরীর নিয়ে উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হয়েছিলেন। ১৯৮০-৮১ মৌসুমে ১০৫৩ রান তুলেন। পাশাপাশি ৩৭টি ডিসমিসাল ঘটিয়ে জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন ও জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি।

তার ভাই সাদত আলী প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে লাহোর জিমখানার পক্ষে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বাধিক রান করার জাতীয় রেকর্ড গড়েন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আটটিমাত্র টেস্ট ও ষোলটি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন আশরাফ আলী। ১৪ মার্চ, ১৯৮২ তারিখে ফয়সালাবাদে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৭ তারিখে করাচীতে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৮১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে তার। তবে, ওয়াসিম বারি’র প্রত্যাবর্তনে প্রায়শঃই তাকে মাঠের বাইরে অবস্থান করতে হতো। এমনকি ওয়াসিম বারি অবসর গ্রহণ করলে সেলিম ইউসুফের পর তাকে অবস্থান করতে হয়। এ পর্যায়ে ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে সফররত ইংল্যান্ড ও ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে স্বল্পকালের জন্যে অংশ নেন।

একদিনের আন্তর্জাতিকে অগৌরবজনক রেকর্ডের সাথে স্বীয় নামকে জড়িয়ে রেখেছেন। ২০টি বাই রান দিয়েছেন তিনি।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Records | One-Day Internationals | Wicketkeeping records | Most byes conceded in an innings | ESPN Cricinfo"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-২৪ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]