আল মাকমুর মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৬°১১′২৮″ দক্ষিণ ১০৬°৫০′৩৪″ পূর্ব / ৬.১৯১২° দক্ষিণ ১০৬.৮৪২৮° পূর্ব / -6.1912; 106.8428
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আল-মাকমুর মসজিদ
আল-মাকমুর মসজিদের বহির্দৃশ্য
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিসুন্নি ইসলাম
অবস্থান
অবস্থানচিকিনি, জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া
স্থানাঙ্ক৬°১১′২৮″ দক্ষিণ ১০৬°৫০′৩৪″ পূর্ব / ৬.১৯১২° দক্ষিণ ১০৬.৮৪২৮° পূর্ব / -6.1912; 106.8428
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ

আল মাকমুর মসজিদ মধ্য জাকার্তার চিকিনি এলাকার জালান রাদেন সালেহ রায়াতে অবস্থিত এবং ঐ এলাকার সবচেয়ে পুরাতন মসজিদগুলোর একটি। পূর্বে এটি জিকিনি মসজিদ নামে পরিচিত ছিল।[১][২][৩]

প্রাথমিক ইতিহাস[সম্পাদনা]

মসজিদটি ঊনবিংশ শতাব্দির বিখ্যাত রোমানীয় চিত্রাকার প্রয়াত রাদেন সালেহ এর নিজস্ব জমিতে অবস্থিত। কথিত আছে যে, ১৮৫০ সালে রাদেন সালেহ নিজেই স্থানীয় মুসলমানদেরকে তার নিজের ভূমিতে সালাত আদায় করার জন্য মসজিদ নির্মাণ করতে অনুমতি দেন। ১৮৯৭ সালে, প্রয়াত চিত্রাকারের পত্নী জমিটি আলাতাস পরিবারকে, বিশিষ্ট পেরানাকান আরব ঔপনেবিশক বংশ এবং সরকারী আমলা, বিক্রি করে দেন।

আইনগত লিম্বো[সম্পাদনা]

প্রায় ত্রিশ বছর পরে, সৈয়দ ইসমাইল বিন সৈয়দ আব্দুল্লাহ বিন আলউ আলাতাস জমিটির কিছু অংশ নেদারল্যান্ডের রাণী কনিঙ্গিন এমা স্টিচিং এর নিকট বিক্রি করে দেন, পরবর্তীতে ঐ জমিতে চিকিনি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর নির্মাণ করা হয়। সৈয়দ এবং মসজিদ কর্তপক্ষের মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে পুরাতন মসজিদটিতে স্বাভাবিক আসা যাওয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। এই সময়ে, মসজিদটি পুরাতন কাঠামোকে সালাত আদায়কারীদের সুবিধার জন্য চিলিওং নদীর তীরে সরিয়ে নেওয়া হয় যাতে তারা নদীতে অজুও করতে পারে।

আদালতে সৈয়দ ইসমাইলের বিজয়ের পর, ১৯২৩ সালে যে জমির উপর মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল তা রাণী কনিঙ্গিন এমা স্টিচিং এর নিকট বিক্রি করে দেওয়া হয়। এক বছর পর, হাসপাতাল বোর্ড অফিসিয়াল রীতিমাফিক মসজিদ কর্তৃপক্ষকে মসজিদটিকে তার সমসাময়িক স্থান থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার অণুরোধ জানান।

দখল[সম্পাদনা]

রাদেন সালেহ মুসলমান সম্প্রদায়কে উইলের মাধ্যমে জমিটির মালিকানা দেয়ায় বা ওয়াকফ্ করে দেওয়ার মসজিদ কর্তৃপক্ষ তাদের সে অণুরোধ প্রত্যাখ্যান করে।

মসজিদটি অস্তিত্বকে নিশ্চিত করতে, ইন সিতু নামক একটি কমিটি গঠিত হয়। কমিটি মসজিদটির পুরাতন কাঠামোকে একটি স্থায়ী নির্দিষ্ট কাঠামোতে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মসজিদ কমিটির সদস্যের মধ্যে ছিলেন আগুস সেলিম, মাস মনসুর এবং চক্রোয়ামিনোতো।

১৯৩২ এবং ১৯৩৪ সালের মধ্যে, মসজিদটি পুনরায় অধিকতর সংস্কার এবং মসজিদ এলাকা প্রসারনের কাজ সম্পাদিত হয়। এই প্রসারণ ও সংস্কারের কাজে সারেকাত ইসলাম আথিকভাবে সহযোগিতা প্রদান করেন। এই ধরনের সহযোগিতা মসজিদটিকে তার মূল জায়গা থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করে, যদিও মসিজদ ভবটির নামকরণ আইনগত পরিবর্তন করতে প্রায় কয়েক দশক সময় লেগে যায়। অবশেষে ১৯৯১ সালে চিকিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিরতরে জমিটিকে মসজিদ কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করে যা তারা ১৮৫০ সাল থেকে দখল করে রেখেছিল।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Heuken, S.J., Adolf (২০০৩)। Mesjid-mesjid tua di Jakarta। Jakarta: Yayasan Cipta Loka Caraka। পৃষ্ঠা 93–95। আইএসবিএন 9799722926 
  2. Direktorat Jenderal Kebudayaan Republik Indonesia। "Masjil Al-Makmur (Masjid Cikini) – Jakarta Pusat"Kebudayaan Indonesia। ১০ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ১১, ২০১৫ 
  3. Dinas Komunikasi, Informatika dan Kehumasan Pemprov DKI Jakarta। "Al Makmur Raden Saleh, Masjid"Portal Resmi Pemerintah Provinsi DKI Jakarta। Pemerintah Provinsi DKI Jakarta। ২ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ১১, ২০১৫ 

বিবিওলোগ্রাফি[সম্পাদনা]

  • হেউকেন, এস.জে., এডল্ফ (২০০৩)। Mesjid-mesjid tua di Jakarta। Yayasan Cipta Loka Caraka। আইএসবিএন 9799722926