আল-রিসালাহ (ইবনে আবি যায়েদ)

আল-রিসালাহ আল-ফিকহিয়াহ

লেখক	আল-কায়রাওয়ানি
মূল শিরোনাম	الرسالة الفقهية
কাজের শিরোনাম	متن الرسالة
ভাষা	আরবি
বিষয়	আকিদা, ফিকহ, মালিকিবাদ
ধরন	গদ্য

আল-রিসালাহ আল-ফিকহিয়াহ (আরবি: الرسالة الفقهية) হলো উত্তর আফ্রিকায় ইসলাম শেখার জন্য ইবনে আবি জায়েদ আল-কায়রাওয়ানি (৯২২ - ৯৯৬) কর্তৃক লিখিত একটি আকিদাহ এবং মালিকি ফিকহ বই।

উপস্থাপনা

"আর-রিসালা" বইটি মালিকি ফিকহের একটি মুখতাসার, যা ইমাম আবু মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ইবনে আবি জায়েদ আল-কায়রাওয়ানি ওরফে "মালিক আল-সাগীর" লিখেছেন। তিনি মাগরেবে মালিকীদের শেখ ছিলেন। তিনি তার ছাত্র শেখ মাহরেজ বিন খালাফ আল-বাকরি (৯৫১ - ১০২২) এর পরামর্শে বইটি লেখেন।

এ প্রসঙ্গে ইমাম ইবনে আবি যায়েদ শেখ মাহরেজকে উদ্দেশ্য করে বলেন:

আরবি উদ্ধৃতি	বাংলা অনুবাদ
আরবি: فإنك سألتني أن أكتب لك جملة مختصرة من واجب أمور الديانة مما تنطق الألسنة وتعتقده القلوب وتعمله الجوارح، وما يتصل بالواجب من ذلك من السنن من مؤكدها ونوافلها ورغائبها وشيء من الآداب منها، وجمل من أصول الفقه وفنونه على مذهب الإمام مالك بن أنس وطريقته، مع ما سهل سبيل ما أشكل من ذلك من تفسير الراسخين وبيان المتفقهين	"তুমি আমাকে ধর্মীয় বিষয়াবলির দায়িত্ব সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বাক্য লেখার জন্য অনুরোধ করেছ—যা মানুষের জিহ্বা উচ্চারণ করে, অন্তর বিশ্বাস করে এবং সাধারণ মানুষ যা করে; এবং সেই দায়িত্ব সম্পর্কিত সুন্নতসমূহ, তাদের প্রমাণ, তাদের ত্রুটি, তাদের কামনা-বাসনা ও কিছু শিষ্টাচার; এবং ফিকহ্‌-এর মৌলনীতি ও তার শাখাবিষয়ক জ্ঞান, যা ইমাম মালিক ইবনে আনাসের মাযহাব ও তরীকাহ অনুসারে; সেইসঙ্গে তা থেকে উদ্ভূত ব্যাখ্যা যা রসিখীন (গভীর জ্ঞানসম্পন্ন) আলিমদের তাফসির এবং ফুকাহার ব্যাখ্যার মাধ্যমে সহজ হয়েছে।"

শেখ মেহরেজের পরামর্শের উদ্দেশ্য ছিল ইমাম ইবনে আবি যায়েদ তাঁর ভাষণে যা উল্লেখ করেছিলেন:

আরবি উদ্ধৃতি	বাংলা অনুবাদ
আরবি: فإنك سألتني أن أكتب لك جملة مختصرة من واجب أمور الديانة مما تنطق الألسنة وتعتقده القلوب وتعمله الجوارح، وما يتصل بالواجب من ذلك من السنن من مؤكدها ونوافلها ورغائبها وشيء من الآداب منها، وجمل من أصول الفقه وفنونه على مذهب الإمام مالك بن أنس وطريقته، مع ما سهل سبيل ما أشكل من ذلك من تفسير الراسخين وبيان المتفقهين	“আমি যখন চেয়েছিলাম এটি শিশুদের শেখাতে—যেমনভাবে কোরআনের অক্ষর শেখানো হয়—যাতে তাদের অন্তর (কুলুব) আল্লাহর দ্বীন ও শরিয়তের জ্ঞান লাভের পূর্বেই প্রস্তুত হয়, যা তাদের জন্য আল্লাহর বরকত কামনা করা হয় এবং যার পরিণামের জন্য তারা কৃতজ্ঞ হয়—তখন আমি তা তোমার অনুরোধে উত্তর দিয়েছিলাম, যেমনভাবে আমি তা নিজের জন্য প্রার্থনা করেছিলাম। আর এটি আল্লাহর দ্বীনকে জানা বা তার দিকে আহ্বান করার অংশ।”

উদ্দেশ্য

ইবনে আবি যায়েদের কথা থেকে স্পষ্ট যে, আল-রিসালাহ ইসলামী ও আইনশাস্ত্রীয় শিক্ষার জন্য একটি বই, অর্থাৎ, তালেবান ও মুরিদদের জন্য আধুনিক অভিব্যক্তি সহ একটি পাঠ্যপুস্তক।

আল-কাইরাওয়ানি নিজেই রিসালার উপসংহারে এটি নিশ্চিত করেছেন যখন তিনি বলেছেন:

আরবি উদ্ধৃতি	বাংলা অনুবাদ
আরবি: “قد أتينا على ما شرطنا أن نأتي به في كتابنا هذا مما ينتفع به إن شاء الله من رغب في تعليم ذلك من الصغار، ومن احتاج إليه من الكبار. وفيه ما يؤدي الجاهل إلى علم ما يعتقده من دينه ويعمل به من فرائضه، ويفهم كثيرا من أصول الرغائب والآداب“.	“আমরা এখন সেই বিষয়বস্তুতে পৌঁছেছি, যা আমরা এই বইয়ে সংযোজন করার শর্ত রেখেছিলাম—আল্লাহ চান তো—এটি উপকারে আসবে সেই তরুণদের, যারা এটি শিখতে চায়, এবং সেই বয়স্কদের, যাদের এটি প্রয়োজন। আর এতে এমন বিষয় রয়েছে, যা অজ্ঞকে তার ধর্ম সম্পর্কিত ধারণা জানার দিকে導 করে, যাতে সে তার কর্তব্যসমূহ পালন করতে পারে এবং কামনা-বাসনা ও নৈতিকতার বহু মূলনীতি বুঝতে পারে।”

বিষয়বস্তু

ইমাম আল-কাইরাওয়ানী তাঁর "দ্য রিসালাহ" বইটি দুটি ভাগে বিভক্ত করেছেন:

1. আকিদার বিষয়সমূহ : আল-কায়রাওয়ানি এখানে তিনি একশ আকিদা সংগ্রহ করেছেন।
2. ইবনে আবি যায়েদ কর্তৃক আকিদা সম্পর্কিত অধ্যায় ব্যতীত চুয়াল্লিশটি অধ্যায়ের উপর ফিকহের বিষয়গুলি সাজানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নামাজ, যাকাত, হজ্জ ও রোজার মতো ধর্মের স্তম্ভ এবং সম্পর্কিত বিধান সম্পর্কিত অধ্যায় এবং জিহাদ, ঈমান ও মানত, বিবাহ এবং এর পরবর্তী বিষয়, বিক্রয় ও উইল এবং অন্যান্য সম্পর্কিত অধ্যায়।