আলিয়া মাদ্রাসার ইতিহাস (বই)
লেখক | মাওলানা আব্দুস সাত্তার |
---|---|
মূল শিরোনাম | তারিখে মাদরাসা-ই-আলিয়া |
অনুবাদক | মোস্তফা হারুন |
প্রচ্ছদ শিল্পী | মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | মুদ্রিত গ্রন্থ (শক্তমলাট) |
পটভূমি | মাদ্রাসার শিক্ষার ইতিহাস |
প্রকাশিত | ১৯৫৮ |
প্রকাশক | গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগ, ঢাকা আলিয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ২১১ |
আইএসবিএন | ৯৮৪০৬০৯১০৬ |
আলিয়া মাদ্রাসার ইতিহাস (উর্দু ভাষা: তারিখে মাদরাসা-ই-আলিয়া) মাদ্রাসা শিক্ষার বিবর্তন, প্রতিবন্ধকতা ও ইতিহাস নিয়ে লেখা আরবি ভাষার একটি প্রামান্য বই।[১][২] তবে বইটিতে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা, কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা ও আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কিত আলোচনা বিশেষভাবে স্থান পেয়েছে। বইটি আরবি ভাষায় লিখেছেন আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুস সাত্তার, পরবর্তীতে বইটির বাংলাতে অনুবাদ করেছেন মোস্তফা হারুন।[৩] বইটির ভূমিকা লিখেছেন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার ৩৮ তম অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইয়াকুব শরীফ। বইটি ১৯৫৮ সালে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগ প্রথম প্রকাশিত। এটির দ্বিতীয় সংস্করন ১৯৮০ সালে এবং সর্বশেষ ৩য় সংস্করণ ২০১৫ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত হয়।[১]
বিষয়বস্তু
[সম্পাদনা]আলিয়া মাদ্রাসার ইতিহাস বইয়ে বাংলাদেশের চার ধরনের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে সংক্ষেপে বিবরণ দিয়ে বইটি শুরু করা হয়েছে। আলিয়া মাদ্রাসাকে বইটিতে টু ইন ওয়ান (ইসলামি শিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়) বলা হয়েছে। আলিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে এই বইয়ে ওয়ারেন হেস্টিংসের একটি বক্তব্য রয়েছে।
“ | মুসলমানদের রাজত্ব পতনের পর তাদের পারিবারিক কাঠামো রীতিমত ভেঙ্গে পড়েছে। বর্তমানে আর্থিক সঙ্গতি নেই বলে তাদের সন্তান-সন্ততিদেরকে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে উচ্চতর সরকারি পদে বহাল করতে পারে না। তাদের এই অবনতি দূর করার জন্য গভর্নর বাহাদুর আলিয়া মাদরাসার গোড়াপত্তন করেন। | ” |
— ওয়ারেন হেস্টিংস, বইটির দ্বিতীয় সংস্করণের ৩৯ পৃষ্ঠা |
মুহাম্মদ ইয়াকুব শরীফ বইয়ের ভূমিকায় লিখেছেন, আলিয়া মাদ্রাসার প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিলো তৎকালীন সময়ে ভারত পরিচালনার জন্য ব্রিটিশ সরকারের আমলা তৈরি করা। বস্তুত এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো মুসলিম জাতির সংস্কৃতি, আদর্শ ও ধর্ম রক্ষা পায়। কিন্তু ইংরেজরা এই প্রতিষ্ঠানকে কোনদিনই স্বাধীনভাবে চলতে দেয়নি, বরং প্রতিষ্ঠানটিকে নিজেদের ক্রীড়নক হিসাবে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে। ফলে এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মুসলিমদের আশাও পুরোপুরি পাওয়া যায়নি, ব্রিটিশরাও তাদের মনোবাসনা পূর্ণ করতে পারেনি।[৪] ফেনী আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ নুর মুহাম্মদ আজমী তার বইতেও হাদীছের তত্ত্ব ও ইতিহাস বইতেও আলিয়া মাদ্রাসার ইতিহাস সম্পর্কে এমন কথাই উল্লেখ করেছেন।[৪]
আলিয়া মাদ্রাসায় ১৭৮০ সাল থেকে ১৮৫০ সাল পর্যন্ত হেড মাওলানা কর্তৃক পরিচালিত হতো, এরপরে ১৮৫০ সাল থেকে ১৯২৭ সাল পর্যন্ত ২৬ জন খ্রিস্টান অধ্যক্ষ দ্বারা মাদ্রাসা পরিচালিত হয়েছে। ১৮৫৩ সালে কলকাতায় অ্যাংলো-পার্সিয়ান বিভাগ খোলা হয়। এবং দেশ ভাগের পরে ১৯৪৭ সালে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার একাংশকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। বাংলাদেশের আলিয়া মাদ্রাসাকে আধুনিকরন করার জন্য ২০০৬ সালে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এসকল আলোচনা বইতে প্রমানিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে।[৫]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "আলিয়া মাদ্রাসার ইতিহাস - আবদুস সাত্তার"। www.rokomari.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২০।
- ↑ নূরে আলম, মুহাম্মদ (০২ ডিসেম্বর ২০১৮)। "ঢাকা আলিয়া মাদরাসা : ইতিহাস ও ঐতিহ্য"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ WaytoJannah, লিখেছেন (২০১৮-১০-০৭)। "বই : আলিয়া মাদরাসার ইতিহাস"। Way To Jannah (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২২।
- ↑ ক খ আজমী, নূর মোহাম্মাদ (মার্চ ২০০৮)। হাদিসের তত্ত্ব ও ইতিহাস। ঢাকা: এমদাদিয়া পুস্তকালয় (২য় মুদ্রন)। পৃষ্ঠা ২৯২–২৯৩।
- ↑ সিদ্দিকী, কে এস। "আলিয়া মাদ্রাসা : শিক্ষাবিস্তারে তাঁর অবিস্মরণীয় ভূমিকা"। DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২২।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- পাঠাগার ওয়েবসাইটে আলিয়া মাদ্রাসার ইতিহাস বই