আলাপ:বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর পরিচিতি

বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট একটি সদ্য প্রতিষ্ঠিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান। গম ও ভুট্টার উৎপাদন বৃদ্ধি এবং তদস্ংশিষ্ট বিষয়ের উপর গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করার মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে “বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৭” মহান জাতীয় সংসদে পাশের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর প্রধান কার্যালয় দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার নশিপুরে অবস্থিত। একজন মহাপরিচালক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে প্রধান কার্যালয় থেকে দেবীগঞ্জ, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, যশোর, জামালপুর, জয়দেবপুর, হাটহাজারী, ইত্যাদিকেন্দ্র/উপকেন্দ্রে গম ও ভুট্টার গবেষণা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

রূপকল্প (Vision): খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে গম ও ভুট্টার জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন। অভিলক্ষ্য (Mission): গম ও ভুট্টার উচ্চ ফলনশীল জাত এবং উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি উদ্ভাবন, পোকা মাকড় ও রোগবালাই দমন ব্যবস্থাপনাসহ কৃষি যন্ত্রপাতি, শস্য সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণা করা এবং উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তি সমূহহ স্তান্তর করা।

বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপনের প্রেক্ষাপট • স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে ত্বরান্বিত গম গবেষণা কর্মসূচীর মাধ্যমে দেশে গম গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয় যা সফলভাবে ১৯৭৫ সালে সমাপ্ত হয়। • ১৯৮৪ সালে দিনাজপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে গম গবেষণা কেন্দ্র স্থাপিত হয়। • বিগত ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮খ্রি. তারিখে তৎকালীণ ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনাজপুরে এক জনসভায় গম গবেষণা কেন্দ্র-কে পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট-এ উন্নীতকরণের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। • প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জুলাই ১৯৯৯ থেকে জুন ২০০৭ খ্রি. মেয়াদে “গম গবেষণা কেন্দ্রকে গম গবেষণা ইনস্টিটিউট-এ উন্নীতকরণের লক্ষ্যে ব্রিজিং প্রকল্প” বাস্তবায়িত হয়। ২০০৬ সালে গম ফসলের সাথে ভুট্টাকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। • বিগত ০৮ জুন ২০১৪খ্রি. তারিখে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তুতকৃত “বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন-২০১৬ এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয় এবং ৩১ অক্টোবর ২০১৬খ্রি. তারিখে মন্ত্রীসভায় আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। • গত ১৩ নভেম্বর ২০১৭খ্রি. তারিখে “বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৭” মহান জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে এবং ২২ নভেম্বর ২০১৭খ্রি. গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে উক্ত আইন বলবৎ হয়েছে।

ইনস্টিটিউট-এর কার্যাবলী: • গম ও ভুট্টার উন্নয়ন ও উৎপাদন সংক্রান্ত বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন; ইনস্টিটিউটের কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন; • গম ও ভুট্টার উন্নয়ন ও উৎপাদন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মৌলিক ও ফলিত বিষয়ে মৌলিক ও ফলিত গবেষণা পরিচালনা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন; • গবেষণার জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত গবেষণাগার, খামার ও অবকাঠামো স্থাপন; • জার্মপ্লাজম সংগ্রহ ও সংরক্ষণের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি; • গম ও ভুট্টা উৎপাদনদক্ষতার সাথে সম্পন্ন করার নিমিত্তে কৃষকদের প্রয়োজনীয় তথ্যসরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ প্রদান; • গম ও ভুট্টা উৎপাদনের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরুপণ এবং এতদ্সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন; • ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত প্রযুক্তি এবং উদ্ভিদ জাতের মেধাস্বত্ব নিশ্চিতকরণ; • প্রজনন ও মানসম্মত উচ্চ ফলনশীল গম ও ভুট্টা বীজ উৎপাদন, প্রদর্শনী ও সম্প্রসারণের জন্য বিতরণ; • গম ও ভুট্টা সংক্রান্ত পুস্তিকা, মনোগ্রাম, বুলেটিন ও গবেষণা সংক্রান্ত ও অন্যান্য তথ্য প্রকাশ; • স্নাতকোত্তর গবেষণার সুবিধা প্রদান; • জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠনসমূহের সহযোগিতায় গবেষণা কর্মসূচি গ্রহণ; • গম ও ভুট্টার গবেষণা এবং সাম্প্রতিক উন্নয়নের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করার ও উক্ত বিষয়ক সমস্যার উপর দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহনে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালার আয়োজন; • প্রকল্প গ্রহণ; • সরকার কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশনা সাপেক্ষে, উহার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন এবং প্রয়োজনীয় অন্য যে কোন কার্য সম্পাদন।