আলাপ:বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশে  টেক্সটাইলশিল্পের ঐতিহ্য ফুটে ওঠে এমন যে কয়টি ভাস্কর্য রয়েছে, ‘চরকা’ তার মধ্যে অন্যতম। ২০১৪ সালে স্থাপিত এ ভাস্কর্যটি টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রধান ফটকের প্রবেশদ্বারে অবস্থিত। ভাস্কর্য-শিল্পী সৈয়দ সাইফুল কবীরের নিপুণ দক্ষতায় এখানে উঠে এসেছে বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য তাঁতশিল্পে ব্যবহূত ‘চরকা’।

আগেকার দিনে হস্তচালিত তাঁতবস্ত্র তৈরি করার জন্য চরকা বা সুতাকাটার টাকু ব্যবহার করা হতো। আজকাল প্রযুক্তিগত উত্কর্ষ সাধনের ফলে পর্যাপ্ত সুতা মেশিনে তৈরি হচ্ছে, পরিণতিতে চরকা বিলুপ্তপ্রায়। এখনো বয়নকারীরা এটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যবহারোপযোগী চলতি মানের গামছা, গেঞ্জি, লুঙ্গি এবং শাড়ি প্রস্তুতে ব্যবহার করেন।

আজ থেকে প্রায় এক শতাব্দী আগে হস্তচালিত তাঁতশিল্পের স্বর্ণযুগে বাংলার প্রায় প্রত্যেক ঘরে বুনন মেশিন বা চরকা ছিল। স্বদেশী আন্দোলনের সময়ে যখন বিদেশি পণ্য বর্জন করার জন্য জাতীয় কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছিল তখন ব্রিটিশদের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় অচল হয়ে পড়ে। সেই সময় তাঁতবস্ত্রের উন্নয়ন ঘটার একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের শেষদিকে তাঁতশিল্পের পুনর্বিকাশ ঘটে। thumb