আলাপ:পাতলা খিচুড়ি

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

লেটকা খিচুড়ি[সম্পাদনা]

বাংলাদেশসহ পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম একটি পরিচিত খাবারের নাম লেটকা খিচুড়ি।কম খরচে একত্রে অনেক মানুষকে আপ্যায়ন করার ধান্দায় থাকলে লেটকা খিচুড়ির বিকল্প নেই। সাধারণত দেখা যায় কেউ মারা গেলে চল্লিশ দিন পর যে লিল্লাহ খাওয়ানো হয় সেখানে ধেদারছে লেটকা খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। মাজার-পুজারীদের ওরসের অন্যতম খাবার এই পরিচিত লেটকা খিচুড়ি। কিছু কিছু উল্লেখযোগ্য দিনগুলোতে (যেমন শব-ই বরাত) মসজিদে লেটলা খিচুড়ির আয়োজন করা হয়। মাত্র কয়েকটি উপকরণ দিয়ে লেটকা খিচুড়ি তৈরি করা কিছুক্ষনের ব্যাপার মাত্র।

লেটকা খিচুড়ি দেখতে কিছুটা ডালের মত তরল। চাল,ডাল,শব্জি,মশলা,তেল এবং পানি একত্রে মিশ্রণ করে চুলায় বসিয়ে দিয়ে ৩০-৪৫ মিনিট অপেক্ষা করলেই প্রস্তুত হয়ে যাবে গ্রাম/শহুরে বাংলার সুপরিচিত লেটকা খিচুড়ি ।

দেশের উচ্চশ্রেণি অর্থাৎ এলিট ক্লাসে বিলং করা পরিবারগুলোতে লেটকা খিচুড়ি খাওয়ার প্রবণতা কম। মাংস ,চাল দিয়ে দিয়ে ভুনা খিচুড়ি খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায় তাদের মাঝে। যদিও আমরা জানি ঝোল জাতীয় খাবারে পুষ্টিগুণ বেশি তুলনামূলক শুকনা খাবারের থেকে কিন্তু মধ্যবিত্ত ,নিম্নমধ্যবিত্তদের প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়েই লেটকা খিচুড়ি খেতে হয়। অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার সাথে লেটকা খিচুড়ি ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত।


সুমাইয়া বিনতে আফসার (আলাপ) ১৩:১২, ২৬ এপ্রিল ২০২৩ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]