আলাপ:নাটোর রেলওয়ে স্টেশন

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কাঠামো[সম্পাদনা]

এই রেলস্টেশনটি বর্তমানে জনবহুল ও আধুনিক রেলস্টেশন।এই রেলস্টেশনে প্রধান লাইন সহ মোট লাইন সংখ্যা ৫টি লাইন বিদ্যমান (তিনটি ডুয়েল গেজ ও দুইটি ব্রড গেজ লাইন)।এই স্টেশনে ৯টি আন্তঃনগর ও দুইটি লোকাল ট্রেন যাত্রা বিরতি দেয়।রেলস্টেশনের সম্মুখে যানবাহন পার্কিং এর জন্য উপযুক্ত জায়গা বিদ্যমান।স্টেশনে প্লার্টফর্ম মোট ৩টি।স্টেশনটিতে এক প্লার্টফর্ম হতে অন্য প্লার্টফর্মে যাতায়াতের জন্য ওভারব্রিজ রয়েছে। Afroza Akhter (আলাপ) ২০:৪০, ২৪ নভেম্বর ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৬২সালের পর পদ্মাঘাট থেকে সান্তাহার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে প্রথম দৃশ্যমান হয় মিটারগেজ লাইন। তখন থেকেই নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের উৎপত্তি।নাটোর প্রাচীন রানীভবানী এবং ব্রিটিশ ভারতের শহর হওয়ার কারনে রেলপথ লোক চাহিদার কারনে দ্রুত বিস্তার লাভ করে।১৯৪৭ সালের আগে নাটোরের মানুষ দূরবর্তী কোথাও যেতে টমটমগাড়ি (ঘোড়ার গাড়ি) তুলনায় রেল যাতায়াত অধিক পছন্দ করত।ব্রিটিশ আমলে নাটোর রেলওয়ে স্টেশন থেকে উৎপত্তি রেলপথ উত্তর এবং দক্ষিন-পশ্চিম দিকে বিস্তৃতি ছিল।পরবর্তীতে তা দক্ষিন দিকে আব্দুলপুর(লালপুর) জংশনের সহিত রেলপথ স্থাপিত হয় ।১৯১৫ সনে হার্ডিঞ্জ রেলওয়ে সেতু এবং কলকাতা-রাজশাহী- মালদহ এবং কলকাতা-শিলিগুড়ি ব্রডগেজ লাইন স্থাপন করলে নাটোর রেলস্টেশন পুনরায় নির্মান করা হয়।তৎকালিন সময়ে নাটোর থেকে কলকাতা, খুলনা, শিলিগুড়ি,মালদা এবং গোয়ালন্দগামী ট্রেন যাতায়াত করত।বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাটোর আসলে এই নাটোর রেলওয়ে স্টেশনেই নামতেন এবং রেলপথে যাতায়াত করতেন। পাকিস্তান আমলে নাটোর সুগারমিল এবং পরবর্তীতে আশির দশকে নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের সহিত আরো রেলপথ যুক্ত করে নাটোর রেলওয়ে জংশন নামে উন্নত করা হয়।নাটোর রেলপথে নাটোর সুগারমিলের(চিনিকল) আখ সরবরাহ হত।এবং সার গোড়াউনের জন্য সার সরবরাহ করা হতো।যার জন্য ছিল বিশেষ মালবাহী প্লার্টফর্ম ও মালবগী।তবে এখন এই রেলপথ পরিত্যাক্ত রেলপথ।নাটোর স্টেশনের দক্ষিনে যার পরিত্যাক্ত অংশ এখনো অবশিষ্ট দৃশ্যমান।ষাট দশকে পাক-ভারত যুদ্ধ সংগঠিত হলে পাকিস্তান সরকার কলকাতা-শিলিগুড়ি ট্রেন যাতায়াত বন্ধ করে দেয়।এতে ডবল রেলওয়ে লাইন অপ্রয়োজনীয় কারন দেখিয়ে আব্দুলপুর থেকে নাটোর হয়ে চিলাহাটি পর্যন্ত ব্রডগেজ সিঙ্গেল লাইনে রূপান্তর করা হয়।নাটোর রেলওয়ে স্টেশন নিয়ে একটি পুরোন ইতিহাস অনেকেই জানেন।এক সময় প্রকৃতির বা নিসর্গ কবি খ্যাত কবি জীবনানন্দ দাস কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যাচ্ছিলেন ট্রেনে চেপে।পাথিমধ্য ট্রেনটি নাটোর রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি দিলে এক অপরূপ নারীর দেখা পান। সেই নারীকে নিয়ে কবি রচনা করেনবনলতা সেন নামক কবিতা।অনেকের মতে নারীর নাম ছিল বনলতা সেন।আবার অনেকে মনে করেন নারীটিকে দেখে কবি মুগ্ধ হয়ে ছিলেন এবং তার কাল্পনিক নাম দেন কবি বনলতা সেন।এ নিয়ে অনেকের দ্বিমত রয়েছে।তবে ইহা সত্য যে, কবিকে কিন্তু দু-দন্ড শান্তি দিয়েছিলেন নাটোরের বনলতা সেন।২০০০ সালের পর বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু(যমুনা সেতু)চালু হলে নাটোর রেলস্টেশনে ডুয়েলগেজ লাইন স্থাপন করা হয়।নাটোর দিয়ে রাজধানী ঢাকার সাথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। কালক্রমে শত বছরের পুরোন নাটোর রেলওয়ে স্টেশন এখনো সচল এবং যাত্রীবান্ধব রেলস্টেশন। [[ব্যবহারকারী:Afroza ১৩:২৭, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯ (ইউটিসি)

আফরোজা আখতার

Afroza Akhter (আলাপ) ১৩:৫৭, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

যাত্রাবিরতি দেওয়া ট্রেনসমূহ[সম্পাদনা]

নাটোর রেলওয়ে স্টেশনে ৯টি আন্তঃনগর ও ২টি মেইল ট্রেন সহ মোট ১১টি ট্রেন প্রায় প্রত্যকদিন ২২বার যাত্রাবিরতি দেয়।

  1. ৯টি আন্তঃনগর ট্রেন।
  1. মেইল ট্রেন

Afroza Akhter (আলাপ) ১৩:৪৯, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

স্টেশনের কার্যক্রম[সম্পাদনা]

নাটোর রেলওয়ে স্টেশনটি বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কার্যক্রমের আওতাভুক্ত। Afroza Akhter (আলাপ) ১৩:৫৩, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]