আলাপ:গোরা (উপন্যাস)

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে


রিভিউ--

    #গৌরমোহন(গোরা) ও #বিনয় দুই বন্ধু।তারা দুইজনই #হিন্দুধর্ম অনুসারী(ব্রাহ্মণ)। গোরার বাবা #কৃষ্ণদয়াল প্রথমে #ব্রাহ্ম হলেও পরে হিন্দুধর্ম গ্রহন করে।অপরদিকে গোরার মা #আনন্দময়ী হিন্দুধর্ম অনুসারী হলেও তিনি জাতপাত, কুসংস্কার মানেন না।কিন্তু গোরা জাতপাত, কুসংস্কার মানলেও সে ছিলো উচ্চশিক্ষিত এবং প্রচন্ড ইংরেজ বিদ্বেষী । গোরাও বিনয় তারা দুজনে ছিল প্রচন্ড দেশপ্রেমী। এই উপন্যাসের সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ন ঘটনা হলো বিনয়ের সাথে #পরেশবাবুর সাথে দেখা যার ছিলো তিন কন্যা। এবং তিনি সুচরিতা ও সতীশ নামক আরো দুইটি ছেলে মেয়েকে দত্তক নিয়েছিলেন।বিনয় প্রথমে সুচরিতার প্রতি আকৃষ্ট হলেও পরে ধীরে ধীরে বুঝতে পারে সুচরিতা নয় সে পরেশবাবুর মেঝ কন্যা #ললিতার প্রেমেই পড়েছিলো। অপরদিকে  গোরা বিনয়কে ব্রাহ্ম ধর্ম গ্রহন করার থেকে বিরত করার জন্য পরেশ বাবুর ঘরে যেত।সেখানে #হারান বাবুর সাথে গোরার ধর্ম নিয়ে বিতর্ক হয়।হারানবাবু যে একজন ব্রাহ্ম ধর্মের অনুসারী এবং যার সহিত সুচরিতার #বিবাহ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হারানবাবুর সাথে সুচরিতার বিবাহ আর হয় না।অপরদিকে বহুবাধা উপেক্ষা করিয়া ললিতা ও বিনয় উভয়ে বিবাহ করে।তারা কেউই নিজের ধর্মবিশ্বাসকে বদল না করেই বিবাহ করে।
শেষপর্যন্ত কৃষ্ণদয়াল বাবুর থেকে গোরা জানতে পারে যে আসলে হিন্দু নয় তার মা বাবা #ইংরেজ।এবং সে পরেশবাবুর কাছে গিয়ে নতুনরূপে দীক্ষা লাভ করে এবং সুচরিতাকে গ্রহন করে।সে সম্পূর্ণরূপে ধর্ম বিরোধ ভুলে দেশপ্রেমে মনোযোগ দেয়।

এই উপন্যাসে গোরার সাহসিকতা,দেশপ্রেম,ধর্মের প্রতি আনুগত্য;বিনয়ের সকলের সাথে মিশতে পারার ক্ষমতা;সুচরিতা সবকিছু মেনে নেওয়ার ক্ষমতা;ললিতার দৃঢ়তা;পরেশ ও আনন্দময়ীর উদারতা ও সন্তানদের প্রতি স্নেহবোধ;হরিমোহিনীর কুঠিলতা সবই আপনাকে মুগ্ধ করবে।ধর্মের বিরোধ নয় বরং সকলে মিলেলে দেশের কল্যান সাধনে কাজ করতে হবে এটাই এই উপন্যাসের মূল বিষয়।এটিকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ট উপন্যাস ও বলা হয়।