আলবেনিয়া-জাপান সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আলবেনিয়া-জাপান
মানচিত্র Albania এবং Japan অবস্থান নির্দেশ করছে

আলবেনিয়া

জাপান
কূটনৈতিক মিশন
আলবেনিয়া দূতাবাস, টোকিওজাপান দূতাবাস, রোম
দূত
-কাজুইয়োশি উমেমোতো[১]

আলবেনিয়া-জাপান সম্পর্ক, আলবেনিয়া এবং জাপান এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নির্দেশ করে। ১৯২০ এর দশকে এই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।

জাপানের রাজধানী টোকিওতে আলবেনিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।[২] কিন্তু আলবেনিয়াতে জাপানের কোন দূতাবাস নেই। ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থিত জাপানের দূতাবাসের নিকট, আলবেনিয়া সম্পর্কিত সকল কূটনৈতিক দায়িত্ব এবং অন্যান্য কার্যক্রমের দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে এবং এই দূতাবাসের মাধ্যমেই জাপান আলবেনিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করে। তবে বর্তমানে আলবেনিয়ায়, জাপানের একটি অনারারি কনস্যুলেট রয়েছে। আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানায় এই অনারারি কনস্যুলেটটি অবস্থিত।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবনে, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী সালি বেরিশা (বামে) এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী, ইয়াসুও ফাকুদা, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮

১৯২২ সালের এপ্রিল মাসে এই দুই দেশের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এর পূর্বে দেশটি অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। অবশ্য আলবেনিয়া ১৯১২ সালেই তাঁদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

১৯৩০ সালের ২০ জুন এই দুই দেশের মাঝে প্রথম কোন বাণিজ্যিক চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এরপরে ১৯৩৫ সালে, আলবেনিয়া জাপানের ওসাকাতে একটি অনারারি কনস্যুলেট চালু করে। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময় এই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং পরবর্তীতে তা ছিন্ন হয়ে যায়। ১৯৮১ সালের মার্চ মাসে এই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৫ সালে আলবেনিয়া, জাপানে নিদের দূতাবাস চালু করে। অপরদিকে, ২০১৬ সালে জাপান সরকার আলবেনিয়ার তিরানাতে একটি অনারারি কনস্যুলেট চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং এরপর ২০১৭ সালে সেটি চালু করে।[২][৪][৫]

অর্থনৈতিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

প্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে জাপানকেই আলবেনিয়া নিজেদের সবচেয় গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে। এই দুই দেশ বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সাক্ষর করেছে। এই চুক্তিগুলো মূলত ভবিষ্যতে আলবেনিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে করা হয়।

আলবেনিয়া এবং জাপানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ হল ৪০৫ মিলিয়ন (৪০.৫ কোটি) জাপানি ইয়েন। এর মধ্যে আলবেনিয়ায় জাপানের রপ্তানি আয় হল ২৫২ মিলিয়ন (২৫.২ কোটি) জাপানি ইয়েন এবং জাপানে আলবেনিয়ার রপ্তানি আয় হল ১৫৩ মিলিয়ন (১৫.৩ কোটি) জাপানি ইয়েন।

জাপানি সহায়তা[সম্পাদনা]

২০১৪ সালে জাপান আলবেনিয়াকে ২৫.২৭৮ বিলিয়ন (২৫২৭.৮ কোটি) ইয়েন সহায়তা প্রদান করে। এর মধ্যে ৪.৯৮ বিলিয়ন (৪৯৮ কোটি) ইয়েন জাপান দেয় অনুদান হিসেবে। ১৮.০৯২ বিলিয়ন (১৮০৯.২ কোটি) ইয়েন দেয় অনুদান হিসেবে। আর বাকি ২.২০৬ বিলিয়ন (২২০.৬ কোটি) ইয়েন জাপান দেয় দুই দেশের মধ্যকার কারিগরি সহায়তা বিষয়ক কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য।

অন্যান্য চুক্তি[সম্পাদনা]

এই দুই দেশ এখন পর্যন্ত মোট ১৫ টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সাক্ষর করেছে যার অধিকাংশই আলবেনিয়ার অর্থনীতির উন্নয়নের কথা চিন্তা করে করা হয়েছে। তবে ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই দুই দেশ কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী ব্যক্তিদের বিনা ভিসায় প্রবেশের বিষয়ে একটি চুক্তি সাক্ষর করে। এই চুক্তিটি ২০০৭ সালের ১০ ডিসেম্বর কার্যকরী হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Ambasciata del Giappone in Italia"। It.emb-japan.go.jp। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-২২ 
  2. Fri, 12/10/2010 - 16:02। "Bilateral Relations | Embassy of the Republic of Albania in Japan"। Ambasadat.gov.al। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-২২ 
  3. "ambasciata del giappone"। It.emb-japan.go.jp। ২০১১-১১-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-২২ 
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৭ 
  5. "ambasciata del giappone"। It.emb-japan.go.jp। ২০১৬-০৬-২৭। ২০১৬-০৯-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-২২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]