আলবেনিয়ায় পর্নোগ্রাফি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পর্নোগ্রাফি আইনের বৈশ্বিক মানচিত্র:
  সাধারণত বৈধ তবে কিছু চরম ব্যতিক্রম এবং শিশু পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ
  ব্যাপক বিধিনিষেধ অথবা দ্ব্যর্থহীন অবস্থার অধীনে কিছুক্ষেত্রে আংশিক বৈধ
  বেআইনি
  তথ্য পাওয়া যায়নি

আলবেনিয়ায় পর্নোগ্রাফি বৈধ তবে কিছু বিধিনিষেধযুক্ত। শুধুমাত্র ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য পর্নোগ্রাফিক উপাদান উৎপাদন, বিতরণ, বিজ্ঞাপন, আমদানি, বিক্রয় এবং প্রকাশের জন্য অবৈধ। এখানে শিশু পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ,[১] কিন্তু আলবেনিয়া শিশু পর্নোগ্রাফি প্রকাশনা, উৎপাদন, প্রবেশ, প্রচার এবং সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে যথাযথ আইন প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে।[২] আলবেনিয়ায় ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফি বৈধ।

বৈধতা[সম্পাদনা]

আলবেনিয়ার ফৌজদারি আইনের ১১৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যারা শিশু পর্নোগ্রাফি বিতরণ এবং/অথবা প্রকাশ করে তাদের দুই বছরের জন্য কারাগারে পাঠানো অথবা জরিমানা করা হতে পারে।[৩]

আলবেনিয়ার সরকার শিশুদের যৌন শোষণ থেকে রক্ষা করার জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।[৪]

জনতাত্ত্বিক[সম্পাদনা]

আলবেনিয়ার জনসংখ্যার প্রায় ৪০% ২৫ বছরের কম বয়সী এবং প্রায় ৭৫০,০০০ শিশুর বয়স ১৪ বছরের কম। সচেতনতা এবং শিক্ষার অভাব, সংখ্যালঘু বৈষম্য, ঘরোয়া সহিংসতা, বাল্যবিবাহ চর্চা এবং আলবেনিয়ায় নারীদের পিছিয়ে থাকা অবস্থানের কারণে শিশুরা বাণিজ্যিক যৌন শোষণের শিকার হয়। শিশু পাচার একটি উদ্বেগের বিষয়; শিশুরা, বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের পাচার করা হয়।[২]

অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়েরা সহজেই অনলাইনে পর্নোগ্রাফিতে প্রবেশ করতে পারে এবং পেরেন্টাল কন্ট্রোল অ্যাপসের ব্যবহার আলবেনিয়ায় সীমাবদ্ধ। প্রায় অর্ধেক শিশু প্রতিদিন পর্ণ দেখে, যেখানে ফেসবুক হচ্ছে শিশুদের পর্ণ দেখার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট।[৩]

মানব পাচার[সম্পাদনা]

আলবেনীয় নারী এবং শিশুদের নিকটবর্তী দেশ যেমন গ্রিস, ইতালি, ম্যাসেডোনিয়া এবং পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে যৌন শোষণ, পতিতাবৃত্তি এবং জোরপূর্বক শ্রমের জন্য পাচার করা হয়। শিশু পাচারের মাত্রা অজানা কারণ এই ধরনের অপরাধ প্রায়ই রিপোর্ট করা হয় না এবং দেশের অধিকাংশ পুলিশই দুর্নীতিগ্রস্ত।[৫]

প্রকাশনার ধরন[সম্পাদনা]

শিশু পর্নোগ্রাফিতে সাধারণত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রবেশ করা হয় এবং পর্নোগ্রাফিক উপাদান ব্লুটুথের মাধ্যমে বিতরণ হয়। এখানে ইন্টারনেট ব্যবহার ক্রমশ সাধারণ হয়ে উঠছে,[৫] কিন্তু আলবেনিয়া শিশুদের ইন্টারনেটের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে পিছিয়ে রয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষা ব্যবস্থায় এর সচেতনতার বিষয়াদি যুক্ত হয়েছে এবং স্কুলে ইন্টারনেটের নিরাপত্তা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করছে।[৬]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Criminal Code of the Republic of Albania"Article 117। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৩ 
  2. "Introduction" (পিডিএফ)Ecpat। ২০২০-০৮-১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৯ 
  3. "Albanian Children: Online, Unsupervised and at Risk"Balkan Insight। ২০১৬-০১-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৯ 
  4. "Albanian government commits to protecting children from online abuse and sexual exploitation through online child safety and awareness"unicef। ২০১৬-০২-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৯ 
  5. "Introduction" (পিডিএফ)Ecpat। ২০২০-০৮-১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৯ "Introduction" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ আগস্ট ২০২০ তারিখে (PDF). Ecpat. Retrieved 29 April 2020.
  6. "Albanian government commits to protecting children from online abuse and sexual exploitation through online child safety and awareness"unicef। ২০১৬-০২-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৯ "Albanian government commits to protecting children from online abuse and sexual exploitation through online child safety and awareness". unicef. 9 February 2016. Retrieved 29 April 2020.