আর্থার উইলসন
স্যার আর্থার উইলসন | |
---|---|
জন্ম | ১৮৩৭ |
মৃত্যু | ২৮ ডিসেম্বর ১৯১৫ | (বয়স ৭৭–৭৮)
পেশা | বিচারক, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ |
স্যার আর্থার উইলসন (ইংরেজি: Sir Arther Wilson), কেসিআইই (১৮৩৭ - ২৮ ডিসেম্বর ১৯১৫) ছিলেন একজন ইংরেজ আইনজীবী এবং বিচারক। ইংল্যান্ডের আদালতে ব্যারিস্টার হিসাবে কাজ করার পর, তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে প্রিভি কাউন্সিলের বিচার বিভাগীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও ছিলেন। [১]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]আর্থার উইলসনকে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের লন্ডনের 'ইনার টেম্পল' বারে আহ্বান করা হয় এবং ব্যারিস্টার হন। ইংরেজ হাইকোর্টের এক বিচারপতি লর্ড জাস্টিস ম্যাথিউ-এর মতে, ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে উইলসন যদি না কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বাংলার হাইকোর্ট অফ জুডিকেচার অ্যাট ফোর্ট উইলিয়ামে নিযুক্ত না হতেন, তিনি ব্রিটেনের বেঞ্চে স্থান পেতেন। [২][৩]
১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে ১৯ মার্চ উইলসন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাব কার্যভার নেন এবং ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।<ref name="List">
ভারতের প্রথম মিউনিসিপ্যাল কমিশনার এবং কালেক্টর ও বোম্বে প্রেসিডেন্সির সেন্ট্রাল ডিভিশনের কমিশনার আর্থার ক্রফোর্ড বিরুদ্ধে ১৮৮৮-৮৯ খ্রিস্টাব্দে পুণেতে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের জন্য যে কমিশন গঠিত হয়েছিল তার নেতৃত্বে ছিলেন উইলসন। তদন্তের দীর্ঘ শুনানি ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশের জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। জনসাধারণের সঙ্গে তদন্ত কমিশনের ষাটটি বৈঠকের পরে, কমিশন ক্রফোর্ডকে ঘুষ নেওয়ার গুরুতর অভিযোগের জন্য দোষী না সাব্যস্ত করে অর্থ ঋণ নেওয়ার কারণে অভিযুক্ত করে। [৩]
১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে, উইলসন কলকাতা হাইকোর্টে পদত্যাগ করেন [৪] এবং ব্রিটেনে ফিরে যান এবং সেখানে ভারতীয় অফিসে আইনী উপদেষ্টা এবং সলিসিটর নিযুক্ত হন এবং ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে নাইট কমান্ডার অফ দি অর্ডার অফ দ্য ইন্ডিয়ান এম্পায়ার (কেসিআইই) হিসাবে ভূষিত হন। [৫]
১৯০২ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে, উইলসন প্রিভি কাউন্সিলের সদস্য হন [৬] এবং এপ্রিল মাসে তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত প্রিভি কাউন্সিলের বিচার বিভাগীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হন [৭] ইতিমধ্যে কিন্তু উইলসন শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লেও, তার বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তি অক্ষুন্ন থাকায় দীর্ঘ নয় বৎসর সভায় বিচার বিভাগীয় কমিটিতে অংশ নিতেন। [৩]১৯১১ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহণ করেন। [৮]
আর্থার উইলসন ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দের ২৮ ডিসেম্বর ওকিং- এ মারা যান। [৩]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]উইলসনের তিন সন্তানের দুই পুত্র ও এক কন্যা ছিল। দুই পুত্রই ছিল সেনাবাহিনীতে। তাদের একজন ভারতে নদী পারাপারের সময় ডুবে মারা যান এবং অন্যজন দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রচারের কাজে গিয়ে মারা যান। [৩]
- ↑ "List of Vice Chancellors of the University of Calcutta"। University of Calcutta। ৬ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ The Edinburgh Gazette, no. 8919, p. 597, 6 August 1878.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ The Times, 29 December 1915.
- ↑ The London Gazette, no.26287, p. 2829, 13 May 1892.
- ↑ The London Gazette, no. 26925, p. 1, 1 January 1898.
- ↑ The London Gazette, no. 27414, p. 1615, 17 March 1902.
- ↑ "নং. 27429"। দ্যা লন্ডন গেজেট (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ এপ্রিল ১৯০২।
- ↑ The Times, 22 June 1911.