বিষয়বস্তুতে চলুন

আরশাদ খান লঘারি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আরশাদ লঘারি
محمد ارشد خان لغاری
পাকিস্তানের শিল্প ও উৎপাদন প্রতিমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৪ আগস্ট ২০১৭  ৩১ মে ২০১৮
রাষ্ট্রপতিমামনুন হুসাইন
প্রধানমন্ত্রীশাহিদ খাকান আব্বাসি
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য
কাজের মেয়াদ
২০০৮  ৩১ মে ২০১৮
নির্বাচনী এলাকাএনএ-১৯৭ (রহিম ইয়ার খান-৬)
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মমুহাম্মদ আরশাদ খান লাঘারি
(1960-01-01) ১ জানুয়ারি ১৯৬০ (বয়স ৬৫)
রহিম ইয়ার খান, পাঞ্জাব, পাকিস্তান
জাতীয়তাব্রিটিশ
পাকিস্তানি
সম্পর্কআজহার লঘারি (ভাই)

মুহাম্মদ আরশাদ খান লাঘারি (উর্দু: محمد ارشد خان لغاری; জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯৬০) একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত শাহিদ খাকান আব্বাসির মন্ত্রিসভায় শিল্প ও উৎপাদন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

আরশাদ খান লঘারি ১৯৬০ সালের ১ জানুয়ারি রহিম ইয়ার খান’এ জন্মগ্রহণ করেন।[][]

রাজনৈতিক জীবন

[সম্পাদনা]

২০০২ সালের পাকিস্তানি সাধারণ নির্বাচনে তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কিউ) (পিএমএল-কিউ) এর প্রার্থী হিসেবে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।[] তিনি পিপি-২৯৭ (রহিম ইয়ার খান-১৩) আসন থেকে নির্বাচনে দাঁড়ান এবং ২১,৮৬৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। তার কাছে হেরে যান আজিজ আসলাম শেখ।[]

২০০৮ সালের পাকিস্তানি সাধারণ নির্বাচনে তিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) (পিএমএল-এন) এর প্রার্থী হিসেবে এনএ-১৯৭ (রহিম ইয়ার খান-৬) আসন থেকে জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হন।[][][] তিনি ৮২,৫৬৫ ভোট পান এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) প্রার্থী রাইস মুনির আহমদকে পরাজিত করেন। একই নির্বাচনে তিনি সিন্ধ ইউনাইটেড পার্টি (এসইউপি) এর প্রার্থী হিসেবে পিপি-২৯৫ (রহিম ইয়ার খান-১১) আসন থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কিন্তু মাত্র ৮৯ ভোট পেয়ে মখদুম আহমেদ মাহমুদ এর কাছে পরাজিত হন। একই নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও পিপি-২৯৭ (রহিম ইয়ার খান-১৩) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ৪২৫ ভোট পান এবং পিপিপি প্রার্থী রাইস ইব্রাহিম খলিল আহমদ-এর কাছে হেরে যান।[]

২০১৩ সালের পাকিস্তানি সাধারণ নির্বাচনে তিনি পুনরায় পিএমএল-এন এর প্রার্থী হিসেবে এনএ-১৯৭ (রহিম ইয়ার খান-৬) আসন থেকে জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হন।[][১০][১১][১২] তিনি ৮০,৯৪৪ ভোট পেয়ে পিপিপি প্রার্থী মখদুম সৈয়দ মুর্তাজা মাহমুদকে পরাজিত করেন।[১৩]

২০১৭ সালের আগস্টে শাহিদ খাকান আব্বাসি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন।[১৪][১৫] তাকে শিল্প ও উৎপাদন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী করা হয়।[১৬][১৭] ২০১৮ সালের ৩১ মে জাতীয় পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তার মন্ত্রিত্বও শেষ হয়।[১৮]

২০১৮ সালের পাকিস্তানি সাধারণ নির্বাচনে তিনি পিএমএল-এন এর প্রার্থী হিসেবে এনএ-১৮০ (রহিম ইয়ার খান-৬) আসন থেকে জাতীয় পরিষদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু তিনি ৫৫,০৮৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। এই নির্বাচনে তাকে পরাজিত করেন পিপিপি প্রার্থী মখদুম সৈয়দ মুর্তাজা মাহমুদ।[১৯]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Detail Information"। ১৯ এপ্রিল ২০১৪। ১৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৭{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: মূল ইউআরএলের অবস্থা অজানা (লিঙ্ক)
  2. Abrar, Mian। "FIA's report puts dual national candidates of political parties in a tough spot | Pakistan Today"
  3. "ROs remain busy in Sadiqabad"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ আগস্ট ২০০২। ৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৭
  4. "2002 election result" (পিডিএফ)। ECP। ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৮
  5. "Nawabs of Bahawalpur to play vital role in next general elections"The Nation। ৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৭
  6. "Big cracks appear in N over tickets"The Nation। ৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৭
  7. "ECP's swiftness leaves many wondering"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮। ৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৭
  8. "2008 election result" (পিডিএফ)। ECP। ৫ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৮
  9. "PM allows gas connections to areas of influential politicians"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। ৩০ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৭
  10. "Shahbaz condoles with Makhdoom Khusro Bakhtiar - The Express Tribune"The Express Tribune। ৩ নভেম্বর ২০১৫। ৬ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৭
  11. "New federating units: PML-N pretends to consider new province - The Express Tribune"The Express Tribune। ৩ আগস্ট ২০১১। ৬ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৭
  12. "138 MNAs either paid no income tax, or FBR has no such data"www.thenews.com.pk (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৭
  13. "2013 election result" (পিডিএফ)। ECP। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৮
  14. "A 43-member new cabinet sworn in"Associated Press Of Pakistan। ৪ আগস্ট ২০১৭। ৪ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৭
  15. "PM Khaqan Abbasi's 43-member cabinet takes oath today"। Pakistan Today। ৪ আগস্ট ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৭
  16. "Portfolios of federal, state ministers"www.thenews.com.pk (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৭
  17. "Bloated cabinet: Influential ministers with powerless underlings - The Express Tribune"The Express Tribune। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  18. "Notification" (পিডিএফ)। Cabinet division। ১ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৮
  19. "NA-180 Results - Election 2018 Results - - Candidates List - Constituency Details - Geo.tv"www.geo.tv (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০২৩