ইসলামি পরিভাষাকোষ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(আরবীতে ইসলামী পরিভাষাকোষ থেকে পুনর্নির্দেশিত)

নিম্নোক্ত তালিকায় ইসলামীআরব সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য শব্দসমূহ রাখা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য শব্দগুলোর প্রচলিত বিভিন্ন বানানের দ্ব্যর্থতা নিরসন করা। আর এতে ইসলামী বিষয়গুলোকে একত্রে পাওয়া সহজ হবে। আরবি শব্দের ক্ষেত্রে প্রচলিত বানানরীতি অনুসরণ করা হয়েছে। তবে ব্যবহৃত অন্য বানানগুলো ভুক্তির পাশে লেখা হয়েছে। উর্দুফারসী শব্দগুলোর জন্য সর্বশেষ অংশে দুটি অনুচ্ছেদ তৈরী করা হয়েছে। দয়া করে দেখেশুনে সঠিক অনুচ্ছেদে শব্দ যুক্ত করুন।

[সম্পাদনা]

আম্মাবাদ

আউযুবিল্লাহ (أعوذ بالله)
"আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি"। কুর'আন পাঠ করার পূর্বে এই দুয়া পড়তে হয়। পুরো আউজুবিল্লাহকে এক কথায় ‘তাউজ’, ‘তায়াউজ/তাআ’উজ’ এবং ‘ইস্তেআজাহ’ও বলা হয়।
আওলিয়া, আউলিয়া (أولياء) একবচনে ওলী
বন্ধু, সাহায্যকারী, অভিভাবক।
আঃ, আ. (আলায়হিস সাল্লাম)
হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এঁর পূর্বে আগত নবীদের নামের শেষে সম্মানজনক অর্থে যুক্ত করা হয়। নবীদের মায়ের নামেও এটি যুক্ত করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তবে তখন এর স্ত্রীরূপ "আলাইহাস সাল্লাম" ব্যবহার করতে হয়। সম্মানিত ফেরেশতাদের নামের সাথেও এটি ব্যবহৃত হয়। 'আলাইহিস সালাম/আলাইহাস সালাম' ( আরবি : علیہ السلام / علیہا السلام ) - বাক্যটির বাংলা অর্থ হলো : তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক ।
আকল (عقل)
বুদ্ধি, মনন, বোধ।
আকিকা, আকীকা (عقيقة)
নবজাত শিশুর সাতদিন বয়সে মাথা মুড়িয়ে দেয়া, তার ওজনের সমপরিমাণ রৌপ্য দান করা এবং ছাগল কুরবানি করা।
আকিদা, আকীদা (عقيدة)
বিশ্বাস
আখলাক (أخلاق)
সৎ গুণাবলি, নৈতিকতার চর্চা। শব্দটির মূল অর্থ 'চরিত্র'।
আখেরাত, আখিরাত (الآخرة)
পরকাল, মৃত্যুর পরবর্তী জীবন।
আজান, আযান (أذان)
সালাতের জন্যে আহ্বান।
আদব (أدب)
শিষ্টাচার। প্রচলিত অর্থে ভদ্রতা, বিনয় ইত্যাদি বোঝায়। তবে শব্দটির মূল অর্থ "কোনো কিছু করার সঠিক উপায়"। যেমন, "আদব আল কিতাল" মানে "যুদ্ধে লড়াই করার সঠিক পদ্ধতি" (আরবি 'কিতাল' অর্থ মরণপণ যুদ্ধ)। আদব শব্দের অপ্রধান অর্থ "সাহিত্য"।
আদল (عدل)
ন্যায়, বিশষত বণ্টনসংক্রান্ত ন্যায়: সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশগত।
আনসার (أنفال)
"সাহায্যকারী"। মদীনার যে মুসলিমরা হিজরতের পর মক্কার মুসলিমদের সাহায্য ও আশ্রয় দিয়েছিলেন।
আবদ (عبد)
বান্দা, দাস, উপাসক। মুসলিমরা নিজেদেরকে আল্লাহর বান্দা ও উপাসক মনে করে।
আমর বিল মারুফ (الأمر بالمعروف)
সৎকাজের আদেশ বা উৎসাহ দেয়া।
আমিরুল মুমিনীন (أمير المؤمنين)
"বিশ্বাসীদের নেতা"।
আরকান (أركان) একবচনে রুকন (ركن)
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ: কালেমা, নামাজ, যাকাত, রোজা, হজ্জ্ব
আলহামদুলিল্লাহ (الحمد لله)
"যাবতীয় প্রশংসা এবং ধন্যবাদ আল্লাহর জন্য" । المدح এবং الثناء মিলে الحمد গঠিত । দোয়া বা স্রষ্টার স্তবগান। যেকোনো ভালো কাজের শেষে এই দোয়া পড়তে হয় ।
আলেম, আলিম (عالِم)
যে জানে, জ্ঞানী। একজন পণ্ডিত (জ্ঞানের যেকোনো ক্ষেত্রে), একজন বিজ্ঞানী, একজন ধর্মতত্ববিদ (যিনি ধর্ম সম্পর্কে জানেন)।
আল্লাহ (الله)
ইসলামী বিশ্বাসে জগতের স্রষ্টা, প্রতিপালক ও সর্বনিয়ন্ত্রক। ঈশ্বর শব্দের আরবি রূপ।
আল্লাহু আকবর (الله أكبر)
"আল্লাহ সর্বশক্তিমান", ইসলামী দোয়া।
আশারায়ে মুবাশশারা (عشرة المبشّر)
মুহাম্মদ এর দশজন সাহাবী যাদেরকে দুনিয়াতে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল।
আশুরা (عاشوراء)
মুহাররম মাসের দশ তারিখ। ইসলামে এই দিন একটি বিশেষ দিন। এদিন হযরত আদম (আঃ) কে দুনিয়াতে পাঠানো হয়। এদিন মুসা ও বনী ইসরাইল ফেরাউনের হাত থেকে মুক্তি পায়। এরকম বহু ঐতিহাসিক ঘটনা এই দিনে ঘটেছে। অন্যদিকে হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর পৌত্র হযরত ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু ও তাঁর ৭২জন সহযোগী এদিন কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। ইমাম হোসাইনের (রাঃ) এর হৃদয় বিদারক শাহাদতের ঘটনা অন্য সব ঘটনাকে চাপিয়ে মুসলমানদের মাঝে প্রসিদ্ধি লাভ করে। এই দিনটি মুসলমান সমাজে মিলাদ মাহফিল, বিশেষ প্রার্থনা, ইমাম হোসাইন রাঃ ও কারবালার স্মরণ, রোজা রাখা ইত্যাদি পূন্যময় কাজের মাধ্যমে পালিত হয়ে থাকে।
আস্তাগফিরুল্লাহ (أستغفر الله)
"আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি", ইসলামী প্রার্থনাবাক্য।
আসমাউল হুসনা (أسماء الله الحسنى)
"আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ"। হাদিসের বর্ণনামতে, যে ব্যক্তি এই নামসমূহ মুখস্থ রাখবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
আসর, আছর (العصر)
সালাতের তৃতীয় ওয়াক্ত। দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যার পূর্ব পর্যন্ত। অন্য অর্থ 'সময়'।
আসসালামু আলাইকুম (السلام عليكم)
"আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক", ইসলামী অভিবাদন। এর সাথে আরও যুক্ত করা হয় ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ "এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত"।
আহকাম (أحكام)
পালনীয় বিধান। কোরান ও হাদিসে বর্ণিত আদেশ ও নিষেধসমূহ। এর পাঁচটি ধরন আছে: ফরজ বা ওয়াজিব (অবশ্য পালনীয়), নফল বা মুস্তাহাব (পছন্দনীয়), হালাল বা মুবাহ (নিরপেক্ষ), মাকরুহ (অনুচিত) এবং হারাম (নিষিদ্ধ)।
আহলে কিতাব (أهل الكتاب )
ইসলামপূর্ব সময়ের একেশ্বরবাদী লোকেরা যাদের কাছে আসমানী কিতাব এসেছিল, যেমন - ইহুদি, খ্রিস্টান
আহলে বাইত, আহলে বায়েত (أهل البيت )
মুহাম্মদ (দঃ) এর পরিবারের সদস্যগণ। শিয়ারা তাদের বলে 'মাসুমুন' (পবিত্র আত্মা, নিষ্পাপ)। বাংলায় 'আহলে বায়েত'ও লেখা হয়।
আহাদ (أحد)
একক/এক। ইসলামী পরিভাষায়, আহাদ মানে এক ও অদ্বিতীয়, যার সমতুল্য কেউ নেই। আল-আহাদ আল্লাহর একটি নাম।
আয়াত (آيات) একবচনে আয়াহ (آية)
কুরআনের পঙ্‌ক্তি। অন্য অর্থ "চিহ্ন"।
আয়াতুল্লাহ (آية الله)
"আল্লাহর চিহ্ন", উঁচুস্তরের শিয়া পণ্ডিতদের উপাধি।

[সম্পাদনা]

ইকরাম, একরাম (إكرام)
সম্মান, আতিথেয়তা, মহত্ব। যুল/জাল যালালি ওয়াল ইকরাম আল্লাহর একটি নাম।
ইকামত, ইক্বামাহ্‌ (إقامة)
নামাজের পূর্বে দ্বিতীয় আজান।
ইখতিলাফ (اختلاف)
কোনো ধর্মীয় কোনো নীতিতে মাযহাব বা উলামাদের মতভেদ। এটি ইজমার বিপরীত।
ইজতিহাদ (اجتهاد)
ইসলামের পরিভাষায় নিত্যনতুন সমস্যাকে কোরআন শরীফ ও হাদীস শরীফের আলোকে ব্যাখ্যা করা। যারা ইজতেহাদ করেন তাদেরকে মুজতাহিদ বলা হয়। চারজন ইমামের ইজতিহাদ মুসলিম সমাজে ব্যাপকভাবে গ্রহনীয়। হযরত ইমাম আবু হানীফা (রঃ), হযরত ইমাম শাফী রঃ, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রঃ, ইমাম মালেক রঃ। ইসলামের বিধি-নিষেধ নিয়ে তাঁদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ চূড়ান্ত বলে মুসলিম সমাজে সাধারণভাবে স্বীকৃত। ইজতেহাদের মূল ভিত্তি তাঁদের হাতে নির্মিত। তাঁদের পররবর্তী সময়ে মুজতাহিদগণ তাঁদের কোন একজনে অনুসৃত পথে ইজতেহাদ করেন। প্রত্যেক ইমামের অনুসারীদের মধ্যে বর্তমান পর্যন্ত অসংখ্যা মুজতাহিদ রয়েছেন।
ইজমা (إجماع)
কোনো বিষয়ে মুসলিম আলেমদের (বা উম্মতের) ঐকমত্য - শরীয়তের চারটি উৎসের একটি। এর বিপরীত হলো ইখতিলাফ (মতবিভেদ)।
ইজাজত (إجازة)
ইসলামী জ্ঞান বা কথা প্রচারের অনুমতি।
ইতিকাফ, এতেকাফ (إعتكاف)
মসজিদে থেকে ইবাদত করা। সাধারণত রমজান মাসের শেষ দশ দিন প্রত্যকে মসজিদে ইতিকাফে বসতে হয়।
ইনযিল, ইঞ্জিল
হযরত ঈসা (আঃ) এর উপর নাযিল হওয়া আসমানী কিতাব। মুসলমানদের মতে নিউ টেস্টামেন্ট খোদার বাণী নয়, বরং তা ঈসা সম্পর্কিত কিছু বর্ণনা। বর্তমানে ইনযিল এর কোন কপি নাই। বিলুপ্ত।
ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন (إِنَّا لِلّهِ وَإِنَّـا إِلَيْهِ رَاجِعونَ)
"আমরা আল্লাহর কাছ হতে এসেছি এবং তার কাছেই ফিরে যাব"- কারো মৃত্যুতে ও বিপদে-আপদে, বালা-মুসিবতে মুসলমানগণ এটি পড়ে থাকেন। এটি কোরআন শরীফের আয়াতের অংশ।
ইফতার (إفطار)
রমজান মাসে সূর্যাস্থের পর রোজা ভেঙে পানাহার করা।
ইবলিস (إبليس)
এক জিন যে তার ঔদ্ধত্য ও অবাধ্যতার জন্যে অভিশপ্ত হয়, অপর নাম শয়তান। খ্রিস্ট ধর্মে তাকে লুসিফার বলা হয়েছে।
ইবাদাহ, ইবাদত (عبادة)
উপাসনা, স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পণ।
ইমাম (إمام)
আক্ষরিক অর্থে নেতা, যিনি সমাজের নেতৃত্ব দেন বা নামাজ পরিচালনা করেন। শিয়ারা নবীর উত্তরাধিকারীদেরকে ইমাম বলে।
ইলম, এলেম (علم)
সব ধরনের জ্ঞান ও বিজ্ঞান।
ইলাহ (إله)
উপাস্য। বিধর্মীদের দেবতাকেও ইলাহ বলা হয়।
ইস্তিগফার (استغفار)
ক্ষমাপ্রার্থনা।
ইসতিসলাহ (استصلاح)
জনস্বার্থ, শরীয়তের একটি উৎস।
ইসনাদ (إسناد)
হাদিসের ধারাবাহিক বর্ণনাকারীগণ।
ইসরা (الإسراء)
যে রাত্রিভ্রমণে মুহাম্মদ মিরাজে গমন করেন।
ইসলাম (الإسلام)
"আল্লাহর প্রতি আত্মনিবেদন", যে শব্দ থেকে এর উৎপত্তি তার অর্থ আনুগত্য, আত্মনিবেদন, শান্তি ও পবিত্রতা।
ইসলাহ (إصلاح)
"সংস্কার"। মুহাম্মদ আবদুহ, মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন আলবানী বা সালাফি মতবাদে এর দ্বারা ইসলামের আধুনিকায়নকে বোঝানো হয়। আর সূফীবাদে ইসলাহের অর্থ "আত্মশুদ্ধি"।
ইহরাম (إحرام)
হজ্জের জন্যে পবিত্র হবার অবস্থা। ইহরামের নির্দিষ্ট পোশাক ও নিয়মকানুন রয়েছে।
ইহসান (إحسان)
ইবাদতে পরিপূর্ণতা। মুসলিমরা এমনভাবে ইবাদত করে যেন তারা স্রষ্টাকে দেখছে, তবে তারা স্রষ্টাকে দেখতে না পেলেও স্রষ্টা তো তাদের দেখছেন।

[সম্পাদনা]

ঈদ (عيد)
উৎসব।
ঈদুল আজহা, ঈদুল আযহা (عيد الأضحى)
"ত্যাগের উৎসব", জ্বিলহজ্জ মাসের দশ তারিখ থেকে তিন দিনব্যাপী উৎসব। এসময় সচ্ছল মুসলমানগণ পশু কোরবানি করে থাকেন।
ঈদুল ফিতর (عيد الفطر)
"রোজা ভাঙার উৎসব", রমজানের রোজার শেষে উৎসব।
ঈদে মিলাদুন্নবী
১২ই রবিউল আউয়াল, সোমবার মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। মুহাম্মাদের জন্মদিবস উপলক্ষে আনন্দ উদযাপন।
ঈমান, ইমান (إيمان)
ইসলামের মূল বিষয়গুলোতে বিশ্বাস।
ঈসা (عيسى)
একজন সম্মানিত নবী ও রাসূল। তার ওপর ইনজিল কিতাব অবতীর্ণ হয়। খ্রিস্টানরা তাকে বলে যিশু

[সম্পাদনা]

উবুদিইয়াহ (عبودية)
উপাসনা।
উম্মাহ, উম্মত (الاُمّة)
বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়। আক্ষরিক অর্থে 'জাতি'।
উমরা, ওমরাহ (عمرة)
হজ্জের মতোই তবে একটু সংক্ষিপ্ত তীর্থযাত্রা যা সারাবছর করা যায়।
উলামা, ওলামা (علماء)
মুসলিম সমাজের প্রধানগণ: শিক্ষক, পণ্ডিত, ইমাম বা কাজী। আক্ষরিক অর্থ 'জ্ঞানী'।
উসুল, উছুল (أُصول) একবচনে আসল (أصل)
মূলনীতি।
উসুল আল ফিকহ (أصول الفقه)
ইসলামী আইনশাস্ত্রের গবেষণা ও চর্চা।

[সম্পাদনা]

এশা, ইশা (عشاء)
রাত, নামাজের পঞ্চম ওয়াক্ত।

[সম্পাদনা]

ওফাত (وفاة)
মৃত্যু।
ওয়াজিব (واجب)
অবশ্য পালনীয় কিন্তু ফরজের সমান নয়।[১]
ওয়ালাইকুমুস সালাম (وعليكم السلام)
"আপনার ওপরও শান্তি বর্ষিত হোক", সালামের জবাব।

[সম্পাদনা]

কাফির, কাফের (كافر)
"ইচ্ছাকৃতভাবে সত্য গোপনকারী", যারা ইসলামের মূল বিষয়গুলো অস্বীকার করে। অবিশ্বাসী বা অমুসলিমদেরকে কাফির বলা হয়।
কাবা (الكعبة)
ঘনক আকৃতির ঘর, মক্কায় অবস্থিত এই ঘরের দিকে মুখ করে মুসলমানরা নামাজ পড়ে। ইসলামি বিশ্বাস অনুয়ায়ী আদম এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং পরবর্তীতে ইব্রাহিম ও তার সন্তানেরা এটির পুনর্নির্মাণ করেন৷ এ স্থানটিতে প্রতি বছর বিশ্বের অনেক স্থান থেকে মুসলমানগণ একত্রিত হন হজ্জ পালন করার উদ্দেশ্যে৷
কালাম, ইলমুল কালাম (علم الكلام)
কথা বা বক্তব্য। দর্শন ও ধর্মতত্বের যে শাখায় ঈমান-আকিদা সংক্রান্ত আলোচনা করা হয়।
কিতাব (كتاب)
বই। কুরআনকে অনেকসময় আল-কিতাব বলা হয়।
কিবর (كِبْر)
অহংকার, গর্ব।
কুন (كن)
"হও", আল্লাহর এই আদেশে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়।
কুফর (كفر)
অবিশ্বাস, অস্বীকার, খোদাদ্রোহীতা।

[সম্পাদনা]

খতম (ختم)
শেষ বা সমাপ্ত। পুরো কোরআন তিলাওয়াত করা।
খতিব (خطيب)
জুমার নামাজের আগে যিনি বক্তৃতা (খুতবা) দেন।
খমর (خمر)
মদ, শরাব।
খাইর, খায়ের (خير)
উত্তম,উন্নতি,ভালো
খালিক
সৃষ্টিকর্তা, যিনি সৃষ্টি করেছেন,আল্লাহর একটি নাম।
খালক (خلق)
সৃষ্টি। পরিমাপ বা গণনা করা।
খলিফা
প্রতিনিধি, উত্তরাধিকারী। মুহাম্মদ (দঃ) -এর প্রতিনিধি, ইসলামী রাজ্যের শাসক।
খারাজ (خراج)
ভূমি রাজস্ব, খাজনা।
খিতান, খৎনা (ختان)
অস্ত্রপচারের মাধ্যমে মানব শিশ্নের অগ্রচর্ম অপসারণ।
খুতবা (خطبة)
জুমার নামাজের পূর্বে দেয়া বক্তৃতা।
খুলাফায়ে রাশেদীন, খোলাফায়ে রাশেদীন (الخلفاء الراشدون‎‎)
প্রথম চারজন খলিফা: আবু বকর, উমর ,উসমানআলী
খুলুক (خُلُق) বহুবচনে আখলাক (أخلاق)
সৎ চরিত্র, নীতিবোধ।
খুশু (خشوع)
(নামাজে) একাগ্রতা, আত্মনিবেদন।

[সম্পাদনা]

গনীমত, গনিমত (غنيمة)
যুদ্ধলব্ধ সম্পদ, যুদ্ধে লুণ্ঠিত মাল।
গাজী, গাজি (غازى)
আক্রমণকারী (অপ্রচলিত); "বিজয়ী যোদ্ধা", মুজাহিদ।
গাফেলত, গাফিলত (غفلة)
উদাসীনতা, গাফিলতি, আল্লাহকে ভুলে থাকা।
গারার (غرر)
অত্যন্ত অনিশ্চয়তা; "যা নেই তার বিক্রয়" যেমন যে মাছ এখনো ধরা হয়নি বা যে ফসল এখনো কাটা হয়নি।
গায়েব (غيب)
অজানা,অদৃশ্য।
গোসল, গোছল (غسل)
পুরো দেহ ধৌত করা (দেখুন অযু)। গোসলে জুনুবি বা ফরজ গোসল হলো যৌনসঙ্গম ও বীর্যপাতের পর বাধ্যতামূলক গোসল।

[সম্পাদনা]

জানাজা, জানাযা (جنازة)
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। সালাতুল জানাজা হলো মৃত ব্যক্তির জন্য প্রার্থনা।
জানাবাত (جنابة)
যৌনসঙ্গম বা বীর্যপাতের কারণে দেহের অপবিত্র অবস্থা।
জান্নাত (جنة)
বেহেশত,স্বর্গ,পবিত্র উদ্যান।
জামিয়া (جامعة)
"জমায়েত", বিশ্ববিদ্যালয়, মসজিদ বা সাধারণ অর্থে কোনো সংগঠন।
জাযাকাল্লাহু খাইরান (جزاك اللهُ خيرًا)
"আল্লাহ আপনাকে উপযুক্ত প্রতিদান দিন", কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দোয়া।
জাহান্নাম (جهنم)
"আগুনের গর্ত", দোজখ, নরক। ইসলামি বিশ্বাসমতে, পরকালে অসৎ ও অবিশ্বাসীদের জন্য শাস্তির স্থান।
জাহেলিয়্যাহ (الجاهليّة)
"মূর্খতা", ইসলাম আসার আগেকার অজ্ঞতার যুগ।
জায়েজ (جائز)
অনুমোদিত, যা নিষিদ্ধ নয়।
জিন (جنّ)
আগুনের তৈরি অদৃশ্য সত্তা।
জিনা
ব্যভিচার।
জিজিয়া, জিযিয়া (جزية)
মুসলিমদের নিরাপত্তায় থাকা অমুসলিমদের প্রদেয় কর।
জিহাদ (جهاد)
সংগ্রাম। আল্লাহর পথে থেকে অসৎ কাজের বিরুদ্ধে শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক বা জ্ঞানগত সংগ্রাম। জিহাদের সর্বোচ্চ পর্যায় হলো সশস্ত্র সংগ্রাম (জিহাদ বিস-সাইফ) বা ধর্মযুদ্ধ।
জুজ, জুজ (جزء)
"খণ্ড", কোরআনের ত্রিশভাগের এক ভাগ।
জুনুব (جنب)
উযুবিহীন বা শরীরের অপবিত্র অবস্থা।
জুমা, জুমুয়াহ (جمعة)
শুক্রবারের দুপুরের নামাজ।

[সম্পাদনা]

তাকফির
কাউকে কাফির বলা
তাকবির
"আল্লাহু আকবার" এই ঘোষণা দেয়া
তাজবিদ
তাবিয়ীন
তালাক
তরিকাহ

[সম্পাদনা]

দঃ
দরুদ। মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের উপর পঠিত দরুদ এর সংক্ষিপ্ত রূপ। 

আরবী ভাষায় صلى الله عليه وسلم

দাজ্জাল
এ হলো এক মহা ফিৎনা৷ এটি মানবজাতির জন্যে সবচেয়ে ভয়ানক পরীক্ষাস্বরূপ৷ প্রায় সব ধর্মমতেই এর ইঙ্গিত পাওয়া যায়৷ তবে ইসলাম এর বিষয়ে অতিরঞ্জন বাদ দিয়ে স্পষ্ট করে বর্ণনা করেছে৷
দারুল কুফর
'দার' অর্থ আঙ্গিনা বা অঞ্চল এবং 'কুফর' অর্থ অবিশ্বাস। অর্থাৎ অবিশ্বাসীদের অঞ্চল বা দেশকে দারুল কুফর বলা হয়ে থাকে। তবে দারুল কুফর বলতে সেসকল অবিশ্বাসীদের দেশকে বুঝায় যাদের সাথে মুসলিমদের আপাতত কোনো যুদ্ধ নেই, বরং শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রয়েছে।
দারুল হরব
'দার' অর্থ আঙ্গিনা বা অঞ্চল এবং 'হরব' অর্থ যুদ্ধ। ইসলামী পরিভাষায় দারুল হরব অর্থ মুসলিমদের সাথে যুদ্ধমান কাফের বা অবিশ্বাসীদের অঞ্চল বা দেশ।
দাওয়াত

== নাজ্

নাজাসাহ
নাজিল
নাস
নবি
নবী যারা আল্লাহর তরফ থেকে এসেছেন মানবজাতির কাছে আল্লাহর তৌহিদ এর বানী নিয়ে।

[সম্পাদনা]

পুলসিরাত, সিরাত
পরকালে যে সেতু পেরিয়ে পেরিয়ে জান্নাতে যেতে হবে। অবিশ্বাসী বা পাপীরা এই সেতু পেরোতে পারবে না।

[সম্পাদনা]

ফানা
ফাসাদ
ফজর
দিনের শুরুতে নামাযের সময় । সুবহে সাদিক এর পর থেকে সূর্য উদয়ের পূর্ব পর্যন্ত সময় ।
ফরজ
অবশ্য পালনীয় কাজ বা অবশ্য কর্তব্য যেসব কাজ না করলে ব্যক্তি গুনাহগার এবং পরকালে শাস্তি ভোগ করবে ।
ফরজে আইন
ব্যক্তিগত ফরয যেগুলি না পালন করলে ব্যক্তি একাই শাস্তি ভোগ করবে ।
ফরযে কেফায়াহ
এ ধরনের ফরযের ক্ষেত্রে সমাজের কিছু ব্যক্তি পালন করলে সকলেরই পালন করা হয়ে যায় কিন্তু কেউ পালন না করলে সমাজের সকলেই গুনাগার হবে অর্থাৎ পরকালে শাস্তি ভোগ করবে ।

[সম্পাদনা]

বরকত, বারাকাহ (بركة)
স্রষ্টার কৃপা, অনুগ্রহ।
বাইয়াত
খলিফা বা ইমামের নিকট আনুগত্যের শপথ। আধ্যাত্মিক সাধক বা পীরের কাছে দীক্ষা নেয়াকেও বাইয়াত বলে।
বাছিরাহ (بصيرة)
অন্তর্দৃষ্টি, বোধ, অনুভবক্ষমতা, গভীর জ্ঞান। বাতেনি এলেম অর্জনের ক্ষমতা বোঝাতে সুফিরা এই শব্দটি ব্যবহার করেন।
বাতিল (باطل)
অকার্যকর, বাতিল।
বাতেন, বাতিন (باطن)
অন্তরস্থ বা গুপ্ত অর্থ, তাৎপর্য। যে ব্যক্তি এরকম গুপ্ত অর্থ সন্ধানে আত্মনিয়োগ করে তাকে বলে বাতিনী।
বরযখ, বারযাখ (برزخ)
বাধা, অন্তরায়। কোরানে মিষ্টি ও লবণাক্ত পানির মধ্যকার বাধা অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। ধর্মতত্বে বরযখকে বলা হয় পার্থিব জগৎ ও আত্মার জগতের মধ্যে বাধাস্বরূপ, মৃতব্যক্তির আত্মা এখানে অবস্থান করবে কিয়ামত পর্যন্ত। কবরের জীবনকে বরযখ বলা হয়।
বাইতুল্লাহ, বায়তুল্লাহ (بيت الله)
মসজিদ, আক্ষরিক অর্থে "আল্লাহর ঘর", বিশেষত মক্কায় অবস্থিত কাবাঘর।
বিদআত, বেদাত (بدعة)
বিদ'আত এর আভিধানিক অর্থ হলো নতুন (উদ্ভাবন)। ইসলামিক পরিভাষায় (শুধুমাত্র) নতুন উদ্ভাবিত ইবাদতকে বিদ'আত বলা হয় যা সম্পূর্ণরূপে নিষেধ। ইবাদাতের উপকরণ এবং জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় কাজে নতুন উদ্ভাবন বিদ'আত নয়। অনেক নতুন উদ্ভাবন ধর্মের জন্য প্রয়োজনীয় যেমন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, এর সিলেবাস, পরীক্ষা পদ্ধতি, পাকা মসজিদ নির্মান, মিনার তৈরি এগুলো বিদ'আত নয় কারণ এগুলো কোনটিই ইবাদাত নয়; এগুলো ইবাদাতের এবং জীবনধারণের উপকরণ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (بسم الله الرحمن الرحيم)
"পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে শুরু করছি", বহুল ব্যবহৃত ইসলামী বাক্যবন্ধ। যে কোন ভালো কাজ এই বাক্য পাঠে শুরু করা হয়।
বুরদাহ (بردة)
সাধারণ অর্থে "চাদর" বা "আলখাল্লা", বিশেষভাবে মুহাম্মদ -এর ব্যবহৃত চাদর (দেখুন কাসিদা-ই-বুরদা)।

[সম্পাদনা]

মক্কা (مكّة)
ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র শহর।
মদীনা, মদিনা (مدينة)
"শহর", মদিনাতুন্নবী মানে "নবীর শহর"। ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র শহর।
মনজিল, মঞ্জিল (منزل)
কুরআনের সাতটি সমান অংশের একটি।
মাওলানা (مولانا)
আক্ষরিক অর্থ "আমাদের নেতা"। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সম্মানজনক উপাধি হিসেবে ধর্মীয় নেতা বা ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে উত্তীর্ণদের নামের শুরুতে ব্যবহৃত হয়।
মসজিদ (مسجد) বহুবচনে মাসাজিদ (مساجد)
সালাত আদায় করার স্থান।
মাকছাদ, মাকসাদ (مقاصد) একবচনে মাকছিদ (مقصد)
লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য।
মাকরুহ (مكروه)
"ঘৃণিত" বা অপছন্দনীয়, যদিও হারাম (নিষিদ্ধ) নয়। মাকরুহ কাজ শাস্তিযোগ্য নয়, তবে মাকরুহ কাজ থেকে বিরত থাকলে সওয়াব (পুণ্য) পাওয়া যায়।
মাগরিব (مغرب)
সালাতের চতুর্থ ওয়াক্ত, সন্ধ্যার সময় , সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যের লাল আভা যতক্ষণ স্থায়ী হয় ততক্ষণ পর্যন্ত সময়।
মাদরাসা, মাদ্রাসা (مدرسة)
বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়।
মানসুখ (منسوخ)
যা রহিত করা হয়েছে।
মালাইকা (ملائكة) একবচনে মালাক
স্বর্গীয় দূত। মালাইকাদের একজন, জিবরাইল মুহাম্মদ -এর কাছে ওহী নিয়ে আসতেন।
মাসবূক (مَسْبُوق)
যে ব্যক্তি সালাতের জামাতে দেরি করে এসেছে এবং ইমামের সাথে প্রথম রাকাত ধরতে পারেনি।
মাহদী, মাহাদি (مهدي)
"একজন পথপ্রদর্শক"। বিশেষভাবে ইমাম মাহদি, যিনি কিয়ামতে পূর্বে আসবেন ঈসা -এর সাথে এবং পৃথিবীতে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবেন।
মাহরাম (محرم)
রক্তের সম্পর্ক হওয়ায় বিপরীত লিঙ্গের যে ব্যক্তিকে বিবাহ করা নিষেধ এবং যার সামনে দেখা দেয়া জায়েজ।
মুসলিম (مسلم)
ইসলাম ধর্মের অনুসারী। যে তার নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করে।
মুখাওয়াত( )
মুখাওয়াত শব্দের অর্থ ভাতৃ প্রতিষ্ঠা । রাসুল মক্কা থেকে মদিনা হিজরত করার পর সকল মক্কার সাহাবাদের মদিনার সাহায্যকারী সাহাবাদের ভাতৃ সম্পর্ক তৈরি করে দেন । ইসলামে এটাকে মুখাওয়াত বলা হয় ।

[সম্পাদনা]

যাকাত, জাকাত (زكاة)
সম্পদশালী মুসলিমদের ধর্মীয়ভাবে খাজনাস্বরূপ যে অর্থ দরিদ্রদের দান করতে হয়। এটি ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ।
যাবুর (زبور)
দাউদ এর উপর অবতীর্ণ আসমানী কিতাব।
যিন্দীক (زنديق)
অবিশ্বাসী, নাস্তিক।

[সম্পাদনা]

রজম (رجم)
পাথর নিক্ষেপ।
রব (ربّ)
প্রভু, প্রতিপালক, মালিক।
রমজান, রমযান (رمضان)
রোজা রাখার মাস। এমাসেই কুরআন অবতীর্ণ হয়েছিল।
রহমান (رحمن)
করুণাময়। আর-রহমান মানে "পরম করুণাময়"।
রহীম, রাহিম (رحيم)
দয়ালু। আর-রহীম মানে "পরম দয়ালু"।
রাঃ, রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (رضي الله عنه)
"আল্লাহ তার ওপর সন্তুষ্ট হোন", মুহাম্মদ -এর সাহাবীদের নামের শেষে প্রযোজ্য।
রাকাত (ركعة)
সালাতের একটি অংশ। দিনের প্রতি ওয়াক্তের সালাতে রাকাত সংখ্যা আলাদা।
রাসূল, রাসুল (رسول)
দূত, বার্তাবাহক। যে নবীদের কাছে আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয় তারা রাসূল। ইসলামে চারজন রাসূল হলেন দাউদ , মুসা , ঈসামুহাম্মদ । সব রাসূলই নবী, তবে সব নবী রাসূল নন। চার জন রাসূল ছাড়াও আরো অনেক রাসূল এর কথা কুরআন এ বর্ণিত আছে ।
রিদাহ (ردة)
ধর্মত্যাগ, যখন কেউ ইসলাম ত্যাগ করে অন্য কোনো ধর্ম গ্রহণ করে বা নাস্তিক হয়ে যায়।
রিবা (ربا)
সুদ, কোরানের বিধান অনুসারে সুদ দেনদেন নিষিদ্ধ। ইসলামি নিয়ম অনুসারে সুদ নেওয়া মানে সৃষ্টি কর্তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করার মতো ।
রিসালাত, রিসালা (رِسَالَة) ; আক্ষরিক অর্থে বার্তা বা চিঠি। ইসলামী পরিভাষায় ঐশ্বরিক বাণী।
রুকু (ركوع)
সালাতের একটি অংশ যাতে দেহহের উপরাংশ ঝুঁকে নত হতে হয়।
রুহ, রূহ (روح)
আত্মা, ঐশ্বরিক শ্বাস যা আল্লাহ ফুঁকে দিয়েছিলেন আদমের মাটির দেহে।

[সম্পাদনা]

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (لَا إِلٰهَ إِلَّا الله)
"কোনো প্রভু নেই, কেবল আল্লাহ", ইসলামে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাক্য। এটি ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। ইসলামী বিশ্বাস মতে ইব্রাহিম , ঈসা , মুসা ও মুহাম্মদ সহ সব নবীর মূল বার্তা ছিল এই কালেমা।
লাইলাতুল কদর (ليلة القدر)
"মহিমান্বিত রাত", রমজানের শেষ দশকের কোনো এক রাত। এরাতে প্রথম কুরআন নাযিল হয়েছিল।
লাব্বাইক আল্লাহুম্মা (لبّيكَ اللّهُم)
"হে প্রভু, আমি উপস্থিত" (হজের সময় পঠিত)।
লানত (لعنة)
অভিশাপ, অভিসম্পাত, অমঙ্গল প্রার্থনা।
লাইলাতুল বরাত
মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়

[সম্পাদনা]

সোয়াব, সওয়াব, ছওয়াব
পুণ্য
সাওম
আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য একটি ফরজ হুকুম। রোজা অর্থ বিরত থাকা।
সাকিনাহ
সালাত
সালাম

[সম্পাদনা]

হজ্জ আরবি শব্দ। এর অর্থ নিয়ত করা, দর্শন করা, সঙ্কল্প করা, গমন করা, ইচ্ছা করা, প্রতিজ্ঞা করা। পরিভাষায় নির্দিষ্ট দিনে নিয়তসহ ইহরামরত অবস্থায় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা এবং বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করা
হাদিস
হাদীসে আকবার
হাফিজ
হারাম
হালাল
যা আল্লাহর আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য বৈধ করা হয়েছে।
হাসান
হিকমাহ
হিজরত
হুদা

ফার্সি শব্দ[সম্পাদনা]

খোদা
ঈশ্বর
গুনাহ, গোনাহ
পাপ
দোজখ, দোযখ
জাহান্নাম
নামাজ, নামায
সালাত
নেকি, নেকী
পুণ্য
পয়গম্বর
নবী
ফেরেশতা, ফিরিশতা
স্বর্গীয় দূত
বদি, বদী
পাপ
বেহেশত
জান্নাত
রোজা, রোযা
সাওম

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "The Islamic glossary: An explanation of names, terms and Symbols"। সংগ্রহের তারিখ ২০/০৯/২০১৬  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

  • সুজান হানীফ, What Everyone Should Know about Islam and Muslims, (Kazi Publications, Chicago), popular introduction
  • মুজাফফর হালীম, The Sun is Rising In the West, (Amana Publications, Beltsville, MD 1999).
  • জিয়াউদ্দিন সরদার, Muhammad for Beginners, Icon Books, 1994, some sloppiness, from modern Islamic philosophy|very modern Sufi point of view.
  • হানস উইয়ার, Dictionary of Modern Written Arabic (Spoken Language Services, Ithaca, NY, 1976). ed. J. Milton Cowan. আইএসবিএন ০-৮৭৯৫০-০০১-৮.
  • Islam in the World by Malise Ruthven (Gantra Publications, 2006) আইএসবিএন ১-৮৬২০৭-৯০৬-৪
  • তাজকেরাতুল আউলিয়া

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]