আয়ারীয় জাতি
এই নিবন্ধটি ইংরেজি উইকিপিডিয়ার সংশ্লিষ্ট নিবন্ধ অনুবাদ করে সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। (ডিসেম্বর ২০২৪) অনুবাদ করার আগে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলি পড়ার জন্য [দেখান] ক্লিক করুন।
|
Muintir na hÉireann | |
|---|---|
আয়ারদেশীয় পতাকা | |
| মোট জনসংখ্যা | |
| আনু. ৭০–৮০ মিলিয়ন বিশ্বব্যাপী[১]
| |
| উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
| |
| যুক্তরাষ্ট্র | ৩৬,০০০,০০০[৫] |
| যুক্তরাজ্য (উত্তর আয়ারল্যান্ড ব্যতীত) | ১৪,০০০,০০০ (৬৫০,০০০ প্রথম প্রজন্ম)[৬][৭] |
| অস্ট্রেলিয়া | ৭,০০০,০০০[৮] |
| কানাডা | ৪,৬২৭,০০০[৯][১০] |
| নিউজিল্যান্ড | ৬০০,০০০[১১] |
| আর্জেন্টিনা | ৫০০,০০০[১২] |
| চিলি | ১২০,০০০[১৩] |
| জার্মানি | ৩৫,০০০[১৪] |
| ফ্রান্স | ২০,০০০–২৪,০০০[১৫] |
| নেদারল্যান্ডস | ১১,৩০৮ (২০২১)[১৬] |
| কলম্বিয়া | ১০,০০০[১৭] |
| ভাষা | |
| ধর্ম | |
| |
| সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী | |
| আয়ারীয় পর্যটকগণ, গ্যালীয়, ইঙ্গ-আয়ারীয়, ব্র্যতঁ, কর্নীয়, ওয়েলসীয়, ইংরেজ, আইসল্যান্ডীয়,[১৮] ম্যাংক্স, স্কটীয়, উলস্টার স্কটীয় | |
আয়ারীয় বা আয়ারদেশীয় (আইরিশ: Na hÉireannaigh বা Muintir na hÉireann) হল আয়ারল্যান্ড দ্বীপে বসবাসকারী একটি নৃগোষ্ঠী ও জাতি, যারা একটি সাধারণ বংশোদ্ভব, ইতিহাস ও সংস্কৃতির ভাগিদার। আয়ারল্যান্ডে প্রায় ৩৩,০০০ বছর ধরে মনুষ্যবসতি রয়েছে এবং দ্বীপটিতে ১০,০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষ নিরবচ্ছিন্নভাবে বসবাস করছে। আয়ারল্যান্ডের অধিকাংশ নথিভুক্ত ইতিহাস মোতাবেক আয়ারীয়রা প্রাথমিকভাবে একটি গ্যালীয় জাতি। ৯ম শতাব্দী থেকে অল্পসংখ্যক ভাইকিং আয়ারল্যান্ডে বসতি স্থাপন করে, যারা এক পর্যায়ে নর্স-গ্যাল হয়ে ওঠে। ১২শ শতকে ইঙ্গ-নর্মানরা আয়ারল্যান্ডের কিছু অংশ জয় করেছিল, যখন ইংল্যান্ডের ১৬-১৭শ শতকীয় আয়ারল্যান্ড বিজয় ও উপনিবেশায়ন দ্বীপটির কিছু অংশে, বিশেষত উত্তরাঞ্চলে, বহুসংখ্যক ইংরেজ ও স্কটীয় নিম্নভূমি স্কটদের নিয়ে আসে। বর্তমানে আয়ারল্যান্ড দ্বীপটি গণরাষ্ট্র আয়ারল্যান্ড (দাপ্তরিক নাম আয়ারল্যান্ড) এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড (যুক্তরাজ্যের একটি অংশ) নিয়ে গঠিত। উত্তর আয়ারল্যান্ডের লোকজন আয়ারীয়, ব্রিটিশ বা এর কিছু সংমিশ্রণ-সহ বিভিন্ন জাতীয় পরিচয় ধারণ করে।
আয়ারীদের নিজস্ব স্বতন্ত্র রীতিনীতি, ভাষা, সঙ্গীত, নাচ, খেলাধুলো, রন্ধনপ্রণালী এবং পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে। যদিও অতীতে আয়ারীয় (গ্যালীয়) তাদের প্রধান ভাষা ছিল, আজ অধিকাংশ আয়ারীয় মানুষ তাদের প্রথম ভাষা হিসেবে ইংরেজিতে কথা বলে। ঐতিহাসিকভাবে, আয়ারীয় জাতিসত্তা বিভিন্ন কুটুম্ব বা গোত্রের সমন্বয়ে গঠিত ছিল এবং আয়ারীয়দের তাদের নিজস্ব ধর্ম, আইন-কানুন, বর্ণমালা এবং পোশাকশৈলীও ছিল।
ইতিহাস জুড়ে বহু উল্লেখযোগ্য আয়ারীয় ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন। আয়ারল্যান্ডের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর আয়ারীয় ধর্মপ্রচারক ও পণ্ডিতেরা পশ্চিম ইউরোপ ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেন এবং আয়ারীয়দের “সন্ত ও পণ্ডিতদের জাতি” হিসাবে দেখা হতে থাকে। ৬ষ্ঠ শতাব্দীর আয়ারীয় সন্ন্যাসী ও ধর্মপ্রচারক কলম্বানাসকে “ইউরোপের পিতা” হিসেবে গণ্য করা হয়,[১৯] তার পরে সাধু কিলিয়ান এবং ফার্গাল। বিজ্ঞানী রবার্ট বয়েলকে “রসায়নের জনক” এবং রবার্ট ম্যালেটকে “ভূমিকম্পবিদ্যার জনক” হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আয়ারীয় সাহিত্য গ্যালীয় ও ইংরেজি উভয় ঐতিহ্যে বিখ্যাত লেখক তৈরি করেছে, যেমন: ইওগান রুয়া ও সুইলেভাইন, ডাইবি ও ব্রুডাইর, জোনাথন সুইফ্ট, অস্কার ওয়াইল্ড, ডব্লিউ. বি. ইয়েটস, স্যামুয়েল বেকেট, জেমস জয়েস, মাইরটিন ও কাধাইন, ইভান বোল্যান্ড, সিমাস হেনি, প্রমুখ। উল্লেখযোগ্য আয়ারীয় অভিযাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন ব্রেন্ডন দ্য নেভিগেটর, স্যার রবার্ট ম্যাকক্লুর, স্যার আলেকজান্ডার আর্মস্ট্রং, স্যার আর্নেস্ট শ্যাকলটন এবং টম ক্রিয়ান। কিছু বিবরণ অনুসারে, উত্তর আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথম ইউরোপীয় শিশুটির উভয় দিকেই আয়ারীয় বংশোদ্ভূত ছিল।[২০] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাষ্ট্রপতির আংশিক আয়ারীয় বংশগতি ছিল।
আয়ারল্যান্ডের জনসংখ্যা প্রায় ৬.৯ মিলিয়ন, কিন্তু অনুমান করা হয় যে, সারা বিশ্বে ৫০ থেকে ৮০ মিলিয়ন লোকের আয়ারীয় পূর্বপুরুষ রয়েছে, যার ফলে আয়ারীয় প্রবাসীরা যেকোনো দিয়াস্পোরা জাতির মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম। ঐতিহাসিকভাবে, আয়ারল্যান্ড থেকে দেশত্যাগের কারণ ছিল সংঘাত, দুর্ভিক্ষ ও অর্থনৈতিক সংকট। আয়ারীয় বংশোদ্ভূত লোকেদের প্রধানত ইংরেজিভাষী দেশগুলিতে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় দেখা মেলে। এছাড়াও আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, ব্রাজিল, জার্মানি এবং সংযুক্ত আরব ইমারাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যা রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আয়ারীয় বংশোদ্ভূত মানুষ রয়েছে, অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ায় আয়ারীয় বংশোদ্ভূতরা আয়ারল্যান্ডের বাইরের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় জনসংখ্যার উচ্চ শতাংশ।[২১] আইসল্যান্ডে বসতি স্থাপনের সময় ভাইকিংদের দাস হিসেবে সেখানে পরিবহনের ফলে অনেক আইসল্যান্ডবাসীর আয়ারীয় ও স্কটীয় গ্যালীয় পূর্বপুরুষ রয়েছে।[২২]
পাদটীকা
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "The Scottish Diaspora and Diaspora Strategy: Insights and Lessons from Ireland"। scotland.gov.uk। ২৯ মে ২০০৯। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৪।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:|প্রথমাংশ=এর জন্য|প্রথমাংশ=অনুপস্থিত (সাহায্য)উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: লেখকগণের তালিকা (লিঙ্ক) উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: সাংখ্যিক নাম: লেখকগণের তালিকা (লিঙ্ক) - ↑ "Census of Population 2022 – Summary Results"। cso.ie। ৩ এপ্রিল ২০২২। ৭ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০২৩।
- ↑ Ethnic Irish at Ethnologue (22nd ed., 2020)
- ↑ "Census 2021 main statistics identity tables"। Northern Ireland Statistics and Research Agency (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২। ৯ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০২৩।
- ↑ American FactFinder, United States Census Bureau। "U.S. Census Bureau, 2007"। Factfinder.census.gov। ১০ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১০।
- ↑ "One in four Britons claim Irish roots"। BBC News। BBC। ১৬ মার্চ ২০০১। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ Maybin, Simon (২ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "How many Britons are entitled to an Irish passport?"। BBC News। ২৮ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০২০।
- ↑ "Department of Foreign Affairs – Emigrant Grants"। ২৮ জুলাই ২০১৩। ২৮ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: মূল ইউআরএলের অবস্থা অজানা (লিঙ্ক) - ↑ "Ethnic Origin, both sexes, age (total), Canada, 2016 Census – 25% Sample data"। Canada 2016 Census (ইংরেজি ভাষায়)। Statistics Canada। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ১২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Ethnic Origin (264), Single and Multiple Ethnic Origin Responses (3), Generation Status (4), Age Groups (10) and Sex (3) for the Population in Private Households of Canada, Provinces, Territories, Census Metropolitan Areas and Census Agglomerations, 2011 National Household Survey"। Statistics Canada। ২০১১। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ "The Irish in New Zealand: Historical Contexts and Perspectives – Brian Easton"। www.eastonbh.ac.nz। ১৪ জুন ২০০৩। ৫ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "Flying the Irish flag in Argentina"। Western People। ১৪ মার্চ ২০০৮। ১৪ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০০৮।
- ↑ O'Higgins Tours। "Los irlandeses en Chile"। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১০।
- ↑ "estimated 35,000-more than 1 million enjoy Irish culture"। ৭ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "Who are the Irish in France, and what are they doing there?"। Irish Times। ১৮ জানুয়ারি ২০১৯। ২২ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Bevolking; geslacht, leeftijd, generatie en migratieachtergrond, 1 januari" (ওলন্দাজ ভাষায়)। Central Bureau of Statistics (CBS)। ২২ জুলাই ২০২১। ৩ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ "Irlandeses en Colombia y Antioquia"। www.dfa.ie। ২৬ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২২।
- ↑ Helgason, Agnar; এবং অন্যান্য (২০০০)। "Estimating Scandinavian and Gaelic ancestry in the male settlers of Iceland"। The American Journal of Human Genetics। ৬৭ (3): ৬৯৭–৭১৭। ডিওআই:10.1086/303046। আইএসএসএন 0002-9297। পিএমসি 1287529। পিএমআইডি 10931763।
- ↑ "Pope Calls Irish Monk a Father of Europe"। Zenit। ১১ জুলাই ২০০৭। ১৫ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০০৭।
- ↑ Smiley, p. 630
- ↑ "Dáil Éireann – 29/Apr/1987 Ceisteanna—Questions. Oral Answers. – Australian Bicentenary"। Oireachtasdebates.oireachtas.ie। ২৯ এপ্রিল ১৯৮৭। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৪।
- ↑ "DNA study reveals fate of Irish women taken by Vikings as slaves to Iceland"। irishtimes.com। ৬ জুন ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০২৪।
<ref> ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="N"/> ট্যাগ পাওয়া যায়নি