আমিন আহমদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আমিন আহমদ
Amin Ahmed
প্রধান বিচারপতি [[বাংলাদেশ হাইকোর্ট]]
কাজের মেয়াদ
১৯৫৬ – ১৯৫৯
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৮৯৯-১০-০১)১ অক্টোবর ১৮৯৯
সোনাগজী, ফেনী, বাংলাদেশ
মৃত্যু৫ ডিসেম্বর ১৯৯১(1991-12-05) (বয়স ৯২)
ঢাকা, বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
সন্তান৬ কন্যা ১ পুত্র
প্রাক্তন শিক্ষার্থীপ্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়
জীবিকাবিচারপতি
পুরস্কারঅর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার
নিশান-ই-পাকিস্তান
ক্রিসেন্ট অব পাকিস্তান)

আমিন আহমেদ এমবিই (জন্ম: ১ অক্টোবর ১৮৯৯ - ৫ ডিসেম্বর ১৯৯১) বাংলাদেশে ঢাকায় হাই কোর্টের একজন বিচারপতি ও প্রধান বিচারপতি ছিলেন। [১][২] তিনি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার নিশান-ই-পাকিস্তান ও ইংরেজদের অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার পদকপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

আমিন আহমেদ ১৮ অক্টোবর ১৮৯৯ তারিখে বাংলাদেশের ফেনী সোনাগাজী উপজেলার, আহমেদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতা আবদুল আজিজ ছিলেন একজন সরকারি কর্মচারী। তিনি ১৯৫৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ১৯৫৭ সালে জাপানে ভ্রমণ করেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

তার ৬ কন্যা শামীম, নাসিমা হাকিম, উজরা হোসেন, নাজনীন, নাজমা, জরিনা মহসিন ও এক পুত্র আজিজ আহমেদ। তার দ্বিতীয় মেয়ে নসিমাকে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি মাকসুম উল হাকিমের সাথে বিয়ে দেন। [৩] এছাড়া আমিন আহমেদ বাংলাদেশের কূটনীতিক তাবারক হোসেনের শ্বশুর ছিলেন, তাবারক হোসেন আমিন আহমেদের কন্যা উজরা হোসেনকে বিয়ে করেন।

তার পিতামহ তারিক উল হাকিম, ঢাকার হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। [৪]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

আমিন ১৯৯১ সালের ৫ ডিসেম্বর তিনি ঢাকায় মারা যান।

লেখক[সম্পাদনা]

আমিন আহমেদ পাকিস্তান বিষয়ক প্রশাসনিক কর্মী জুডিশিয়াল রিভিউ বিষয়ক কামিনী কুমার মেমোরিয়াল আইন বক্তৃতা প্রদান করেন যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯-১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত হয়। [৫][৬] পরে বক্তৃতাটি একটি বই হিসাবে প্রকাশিত হয়। তিনি অতীতে একটি পিপ শিরোনাম নামক একটি আত্মজীবনী লিখেছেন; । [৭][৮]

তিনি ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান ফিলোসফিকাল কংগ্রেসে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। [৯] আমিন ১৯৬৪ সালে চট্টগ্রাম জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক ডাইনার, ১৯৬৯ সালের ২৪ শে মার্চ নিউ ডাকা উচ্চ আদালত ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং ১৯ জানুয়ারি ১৯৭৪ এ ঢাকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকাতে বার ডিনারের মতো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন । এছাড়া ১৯৭০ সালে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হয়ে পাকিস্তান জাতিসংঘ সমিতির (পূর্ব অঞ্চল, ঢাকা) রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

তিনি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (এমবিই) এবং পাকিস্তান সরকারের দ্বারা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক হিলাল-ই-পাকিস্তান পদকে ভূষিত ভূষিত হন। [১]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1.   |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  2. "Judiciary"। The Lakshimipur Barta। ৭ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৪ 
  3. Rashid, Harun ur (২১ অক্টোবর ২০০৫)। "An impressive record of public service"The Daily Star। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৬ 
  4. "Judges' List : High Court Division"Supreme Court of Bangladesh। ১৫ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৮ 
  5. "Kamini Kumar Dutta (1879–1959) – a profile"। Bangladesh Supreme Court Bar Association। ২০০৯। ৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৪ 
  6. Shibli, Abdullah (৫ এপ্রিল ২০১৪)। "Birth Centennial of Mr. Justice M. A. Jabir"The Daily Star। Dhaka। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৪ 
  7. Ahmed, Amin (১৯৮২)। A Peep into the Past, Or, The Autobiography of Former Chief Justice Amin Ahmed। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৪ 
  8. Benson, Eugene (২০০৪)। Ency Post-Colonial Lit Eng 2v। Routledge। পৃষ্ঠা 857। আইএসবিএন 9781134468485। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৪ 
  9. Richard V. DeSemet। "Philosophical Activities in Pakistan:1947–1961"। Work published by Pakistan Philosophical Congress। ৯ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]