আবু মুসয়াব আল সুরি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোস্তফা বিন আব্দুল কাদের সিত্তু মারয়াম নেসার (আবু মুসয়াব আল সুরি)
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম (1958-10-26) ২৬ অক্টোবর ১৯৫৮ (বয়স ৬৫)[১]
ধর্মইসলাম
জাতীয়তাআরব
নাগরিকত্বসিরিয়া,স্পেন
আখ্যাসুন্নি
আন্দোলনসালাফি জিহাদবাদ
শিক্ষাআলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয় (মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং)
কাজলেখালেখি
মুসলিম নেতা
পূর্বসূরীআবদুল্লাহ ইউসুফ আযযাম, উসামা বিন লাদেন
সন্তান

মুস্তফা বিন আব্দুল কাদের সিত্তু মারয়াম নেসার হলেন একজন সন্দেহভাজন আল-কায়েদার সদস্য ও লেখক, যিনি ১,৬০০ পৃষ্ঠাব্যাপী বিস্তৃত তার বিখ্যাত বই দ্য গ্লোবাল ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স কল (দাওয়াত-আল মুকাওয়ামাহ আল-ইসলামিয়াহ আল-আলামিয়া) এর জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি পৃথিবী ব্যাপী আবু মুসয়াব আল সুরি নামে অধিক পরিচিত।[২] ১৯৮৫ সালে স্পেনের এল ডেসকানসো বোমা হামলা এবং ২০০৪ সালে মাদ্রিদের একটি ট্রেনে বোমা হামলার ঘটনায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়।[৩][৪] তাকে 'আধুনিক জিহাদের সবচেয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যাকারী এবং জিহাদের সবচেয়ে পরিশীলিত কৌশলবিদ' বলে মনে করা হয়।[২][৫]

২০০৫ সালে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী তাকে বন্দী করে এবং কিছুদিন পরে তাকে আমেরিকার কাছে হস্তান্তর করে। তিনি ২০০৬ সালের শেষের দিকে গুয়ান্তানামো কারাগারে স্থানান্তরিত ১৪ জন হাই- প্রোফাইল আল কায়েদা–নেতার অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। তাই অনেকে দাবি করেছিলেন যে, তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।[৫][৪] কিন্তু ২০১৪ সালে আল কায়েদার মুখপাত্র আদম ইয়াহিয়া গদান বলেন যে, তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়নি এবং তিনি এখনো কারাগারে আছেন।[৬]

জীবনী[সম্পাদনা]

তাঁর পুরো নাম মুস্তাফা বিন আব্দু্ল কাদির আল-রিফায়ী। তিনি বিখ্যাত মুসলিম ধর্মতাত্ত্বিক, সুফিসুফিবাদের রিফায়ী তরিকার প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ আল-রিফায়ীর বংশধর। তার মা ছিলেন মোহাম্মদ নাসারের মেয়ে, যিনি একজন মিশরীয় ব্যক্তি ছিলেন এবং উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ইবরাহীম পাশার সিরিয়া অভিযানের সময় তিনি সিরিয়ায় আসেন।

আবু মুসয়াব সিরিয়ার আলেপ্পোতে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই বেড়ে ওঠেন। মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে তিনি আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে চার বছর পড়াশোনা করেন। ১৯৮০ সালে তিনি সিরীয় মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি শাখা সংগঠনে যোগ দেন। এটি হাফেজ আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে সিরিয়ায় ইসলামপন্থী বিদ্রোহের অগ্রভাগে ছিল। আবু মুসয়াব ১৯৮০ সালের শেষের দিকে সিরিয়া থেকে পালাতে বাধ্য হন। এরপর তিনি নির্বাসনে থাকা সিরীয় মুসলিম ব্রাদারহুড সংগঠনে যোগ দেন এবং ইরাকজর্ডানে তাদের ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে হামার বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেন বলে জানা যায়।[২] তিনি ১৯৮০- এর দশকের মাঝামাঝি ফ্রান্সে এবং পরে স্পেনে চলে যান।

১৯৮৭ সালে আবু মুসয়াব তার সিরীয় বন্ধুদের একটি ছোট দলের সাথে পেশোয়ারের উদ্দেশ্যে স্পেন ত্যাগ করেন। সেখানে এসে তারা আফগান জিহাদের মূল নেতা আবদুল্লাহ আজামের সাথে দেখা করে। তখন তাকে আরব স্বেচ্ছাসেবক যোদ্ধাদের ক্যাম্পে একজন সামরিক প্রশিক্ষক হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয় এবং ১৯৮৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পরাজয়ের সময় তিনি আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও কাবুলে কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম সারিতে যুদ্ধ করেন।

তিনি পেশোয়ারে ওসামা বিন লাদেনের সাথে দেখা করেন এবং ১৯৯২ সালের কাছাকাছি সময়ে স্পেনে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত তিনি বিন লাদেনের হয়ে কাজ করেন [৭] ১৯৯১ সালের মে মাসে দ্য ইসলামিক জিহাদ ইন সিরিয়া নামে ৯০০ পৃষ্ঠার একটি বই লিখে পেশোয়ারে তিনি তার ছদ্মনাম উমর আব্দুল হাকিম দ্বারা সুপরিচিত হন।[৮] গ্রন্থটি ছিল গণতন্ত্রপন্থি মুসলিম ব্রাদারহুডের উপর একটি তীব্র আক্রমণ এবং বইটি ১৯৯০ এর দশকে আল-কায়েদা ও জিহাদিদের জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ গঠন করে।

১৯৮৫ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি স্পেনকে নিজের প্রাথমিক আবাসস্থল হিসেবে গ্রহণ করেন। যদিও তিনি সে সময় ব্যাপক ভ্রমণ করেন এবং আফগানিস্তানে দীর্ঘ সময় কাটান। ১৯৮৭ সালে স্পেনে তিনি এলেনা মোরেনোকে বিয়ে করেন। তিনি বিয়ের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন এবং বিয়ে তাকে স্প্যানিশ নাগরিক হতে দেয়। তাদের চার সন্তান রয়েছেন। কর্মজীবনে তার সহযোগীদের মধ্যে ছিলেন আল-কায়েদার মাদ্রিদ সেলের প্রধান ইমাদ উদ্দিন ইয়ারকাস। যিনি ২০০১ সালের নভেম্বরে আল-কায়েদার সদস্যতা এবং ৯/১১ হামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার হন। পরে সে ৯/১১ হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তার অভিযোগ থেকে মুক্তি পায়; কিন্তু একটি জিহাদি সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়।


১৯৯৪ সালে তিনি লন্ডনে চলে আসেন এবং ১৯৯৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে তার পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। এটাও হতে পারে যে, ১৯৯৫ সালে ফ্রান্সে জিহাদিদের একটি বোমা হামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে তিনি স্পেন থেকে পালিয়ে লন্ডনে চলে আসেন। কিছুদিন আবু মুসয়াব আলজেরীয় জিহাদি গোষ্ঠী আর্মড ইসলামিক গ্রুপের (জিআইএ) সাথে সম্পর্ক রেখে সেই সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিহাদি ম্যাগাজিন আল-আনসার সম্পাদনা করেন। ১৯৯৬ সালে জিআইএর নেতৃত্বের সাথে মতবিরোধের কারণে তিনি পত্রিকা ত্যাগ করেন। তবে পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আবু কাতাদা ফিলিস্তিনর সাথেও তার আংশিক মতবিরোধ ছিল।[৭]

১৯৯৭ সালে তিনি মোহাম্মদ বাহাইয়াকে নিয়ে ইসলামিক কনফ্লিক্ট স্টাডিজ ব্যুরো নামে একটি মিডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। এই অফিসের মাধ্যমে তিনি আফগানিস্তানে বিন লাদেনের জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়া ইভেন্টে সহায়তা করেন।[৯] প্রকৃতপক্ষে তিনি ৯/১১ এর আগের দিনগুলিতে বিন লাদেনের সহায়ক হিসাবে কাজ করেছিলেন। তিনি তখন আফগানিস্তানে ওসামা বিন লাদেনের সাথে দেখা করতে পশ্চিমা সাংবাদিকদের নিয়ে যেতেন। [১০]

১৯৯৭ সালের শরৎকালে তিনি আফগানিস্তানের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি তার পরিবারের সাথে সেখানে স্থায়ী হন। ১৯৯৯ সালে তিনি কাবুলে একটি মিডিয়া ও গবেষণা কেন্দ্র গঠন করেন এবং ২০০ সালে তাকে কাবুলের কাছে কারঘায় অবস্থিত তার নিজস্ব প্রশিক্ষণ শিবির আল-গুরাবা ক্যাম্প খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। তার শিবিরটি আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অংশ ছিল এবং আল-কায়েদা ও বিন লাদেনের সংগঠন থেকে আলাদা ছিল। তিনি ১৯৯৮ সালে আল কায়েদা থেকে সালে বেরিয়ে যান। সে বছরের মাঝা মাঝি সময়ে একটি সাত পৃষ্ঠার চিঠিতে তিনি এই বলে বিন লাদেনের তীব্র সমালোচনা শুরু করেন যে, আল-কায়েদা মোল্লা ওমরসহ আফগানিস্তানের তালেবান নেতৃত্বের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করেছিল। তিনি আল কায়েদার কৌশলগুলিরও অত্যন্ত সমালোচক। তিনি ১৯৯৮ সালে পূর্ব আফ্রিকায় মার্কিন দূতাবাসে আল-কায়েদার হামলা এবং ২০০১ সালে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলার নিন্দা করেছেন। তখন তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, এর ফলে জিহাদি কার্যক্রমের একটি বিপর্যয়মূলক সমাপ্তি হয়েছে৷ [২]

২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে স্প্যানিশ ম্যাজিস্ট্রেট গার্জন ৯/১১ হামলার জন্য আবু মুসয়াবসহ মাদ্রিদ সেলের ৩৫ জন সদস্যকে তাদের ভূমিকার জন্য অভিযুক্ত করেন। ২০০৪ সালের নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট আবু মুসয়াব মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে এবং তার অবস্থানের সম্পর্কে তথ্যের জন্য ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দেয়। [১১]

আটকের রিপোর্ট[সম্পাদনা]

২০০৫ সালের অক্টোবরের শেষের দিকে আবু মুসয়াবকে পাকিস্তানের কোয়েটা শহরে গ্রেফতার করা হয়। তবে ঠিক কোথায় এবং কখন করা হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। [৩] [১২] তাকে ধরার কিছুদিন পরে আমেরিকার হেফাজতে হস্তান্তর করা হয়। ২০০৬ সালের শেষের দিকে গুয়ানতানামো বে ডিটেনশন ক্যাম্পে স্থানান্তরিত ১৪ জন হাই-প্রোফাইল আল-কায়েদার সন্দেহভাজন সদস্যের মধ্যে তিনি ছিলেন না। তাকে কোথায় রাখা হয়েছে তা অজানা।[১৩]

২০০৯ সালের ১৪ এপ্রিল স্প্যানিশ ম্যাজিস্ট্রেট বালতাসার গার্জন আবু মুসয়াবের অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন দেশে প্রশ্ন পাঠান।[১৪] ড্যানিয়েল উলস একটি রিপোর্ট করেন যে, গার্জন ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, সিরিয়াআফগানিস্তানকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয় যে, মার্কিন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, আবু মুসয়াবকে ২০০৫ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের কোয়েটায় গ্রেপ্তার করা হয়। স্প্যানিশ সংবাদপত্র এল পাইস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা কর্তৃল গুয়ানতানামো বন্দী শিবির ও সিআইএর গোপন সাইটগুলি বন্ধ করার ঘোষণার জন্য গার্জনের প্রশ্নকে দায়ী করেছে।

কিছু রিপোর্টে দেখা যায় যে, কোনো এক পর্যায়ে আবু মুসয়াবকে সিরিয়ায় পাঠানো হয়।[৫][৪] ২০০১ সালের শেষের দিকে গুজব উঠেছিল যে, তিনি সিরিয়ার জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন।[১৫][১৬] ২০১৪ সালের মার্চ আল কায়েদার মুখপাত্র অ্যাডাম গাদন প্রকাশ করেন যে, তিনি এখনো কারাগারে আছেন। [১৭] ২০১৪ সালের এপ্রিলো আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরিও নিশ্চিত করেন যে, আবু মুসয়াব আল সুরি এখনো কারাগারে আছেন।[১৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "WANTED: Mustafa Setmariam Nasar"Rewards for Justice। ২০০৫-১১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. Malise Ruthven (২৯ মে ২০০৮)। http://www.nybooks.com/articles/21438। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০০৯  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "Malise" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  3. "CNN.com - Officials: Al Qaeda operative captured - Nov 4, 2005"। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৪ 
  4. "Major Al Qaeda Leader Arrested in Pakistan"Fox News। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৪  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "spain" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  5. MacLean, William (১০ জুন ২০০৯)। "Al Qaeda ideologue in Syrian detention – lawyers"। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টে ২০০৯In brief remarks to Reuters, Nasar's wife, Elena Moreno, said she had also come to believe her husband was probably in Syria, following what she called recent but unofficial confirmation.  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "Reuters" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  6. "Al Qaeda's American propagandist notes death of terror group's representative in Syria | FDD's Long War Journal"www.longwarjournal.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৩-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-১৪ 
  7. The Master Plan: For the new theorists of jihad, Al Qaeda is just the beginning.
  8. Lessons Learned from the Jihad Ordeal in Syria, wikicommons.
  9. Bergen, Peter.
  10. wsj.com: "The New Mastermind of Jihad", 6 Apr 2012
  11. John Pike। "Washington File"। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৪ 
  12. "Login"। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৪ 
  13. "Secret Prison on Diego Garcia Confirmed: Six "High-Value" Guantánamo Prisoners Held, Plus "Ghost Prisoner" Mustafa Setmariam Nasar"Mindanao Examiner। ২ আগস্ট ২০০৮। ১০ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০০৮The penultimate piece of the jigsaw puzzle came in May, when El País broke the story that "ghost prisoner" Mustafa Setmariam Nasar, whose current whereabouts are unknown, was imprisoned on the island in 2005, shortly after his capture in Pakistan – although the English-speaking press failed to notice. 
  14. Daniel Wodlls (১৪ এপ্রিল ২০০৯)। "Spain asks U.S. about location of 9/11 suspect"Miami Herald। ১৪ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  15. "Free Radical"। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২Rumors about Suri's status had been flying around online since 23 Dec., when Sooryoon.net, a Syrian opposition newspaper, published a story saying Suri and his assistant Abu Khalid had been released. 
  16. "Syria's Surprising Release of Jihadi Strategist Abu Mus'ab al-Suri"। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২After weeks of rumours, a well-known contributor to jihadi web forums has confirmed the release from a Syrian prison of Abu Mus'ab al-Suri (real name Mustafa Abdul-Qadir Mustafa al-Set Mariam), one of the most prominent jihadi ideologues and strategists (Shamikh1.info, 2 February). The contributor, who uses the name "Assad al-Jihadi 2," frequently provides insights into the strategies of al-Qaeda and affiliated groups in the Levant and Syria and is believed to be well-connected with the leaders of these organizations 
  17. "Al Qaeda's American propagandist notes death of terror group's representative in Syria"। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৪ 
  18. "Zawahiri eulogizes al Qaeda's slain Syrian representative - FDD's Long War Journal"