আবু বকর সিদ্দিকী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আবু বকর সিদ্দিকী
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
জীবিকাবিচারক

আবু বকর সিদ্দিকী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

দুর্নীতি মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান তিন বছরের কারাদণ্ড বাতিল করেছেন বিচারপতি মো. শামসুল হুদা ও সিদ্দিকী।[২] মঈ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. শামসুল হুদা দুর্নীতি মামলার বাদী আওয়ামী লীগ সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেন।[৩] ২০০৩ সালে দুর্নীতি দমন ব্যুরো কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিরুদ্ধে দায়ের করা যুদ্ধজাহাজ ক্রয় দুর্নীতির মামলাটি সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. শামসুল হুদা খারিজ করে দেন।[৪]

২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযুক্ত করে দায়ের করা নিকো দুর্নীতির মামলাটি বাতিল করে দেন বিচারপতি মো. শামসুল হুদা ও সিদ্দিকী।[৫] ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ওয়াশিংটন ডিসিতে লবিস্ট নিয়োগের জন্য দুর্নীতি দমন ব্যুরো কর্তৃক দায়ের করা বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ দুর্নীতির মামলাটি সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. শামসুল হুদা বাতিল করে দেন।[৬] ২০০১ সালে কেরানিগঞ্জ - এ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গাড়িবহরে হামলার দায়ে আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সাংসদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা র খুড়তুতো ভাই শেখ সেলিম বিরুদ্ধে করা একটি মামলা বাতিল করে দেন সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. শামসুল হুদা।[৭]

দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি সংক্রান্ত দুটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার স্ত্রী শেখ হেলাল জামিন দিয়েছেন সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. শামসুল হুদা।[৮] ২০১০ সালের জুন মাসে, সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. শামসুল হুদা বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান সাতটি ফৌজদারি মামলায় আগাম জামিন দেন।[৯][১০]

২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর বিচারপতি জিনাত আরা এবং বিচারপতি মো. নুরুজ্জমান সাথে সিদ্দিকী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিযুক্ত হন।[১১]

সিদ্দিকী ২৯ জুলাই ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[১২]

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সিদ্দিকী বাংলাদেশ আইন কমিশন সদস্য নিযুক্ত হন।[১]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

সিদ্দিকীর ছোট ভাই হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বাংলাদেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Ex-justice Siddiquee made law commission member"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০১-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  2. "HC scraps Shamim's jail sentence"archive.thedailystar.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  3. "HC asks Mockbul to surrender in tribunal"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৫-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  4. "Frigate case against Hasina quashed"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৫-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  5. "Niko graft case against Hasina quashed"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৩-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  6. "Bepza case against Hasina quashed"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৫-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  7. Staff Correspondent (২০১০-০৬-০৪)। "Case against Sheikh Selim quashed"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  8. Staff Correspondent (২০১০-০৫-১৪)। "Sheikh Helal, wife granted HC bail"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  9. "Law and Our Rights"www.thedailystar.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  10. "Shah Alam appeals against conviction"www.thedailystar.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  11. "3 judges appointed to Appellate Division"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১০-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  12. Sarkar, Ashutosh (২০২১-০৩-২১)। "Judge shortage slows down Supreme Court divisions"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬ 
  13. "Bangladesh appoints Hasan Foez Siddique as chief justice"bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৬