আবুল কাশেম (রাজনীতিবিদ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আবুল কাশেম
যুবউন্নয়ন মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২৪ নভেম্বর ১৯৮১ – ২৪ মার্চ ১৯৮২
যুবউন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৯৭৯ – ২৩ নভেম্বর ১৯৮১
ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ – ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২
পূর্বসূরীশামসুল হক
উত্তরসূরীআসন বিলুপ্ত
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯৪২
পালপাড়া গ্রাম, কুমিল্লা সদর উপজেলা
মৃত্যু১৮ জুলাই ২০২০
বনানী, ঢাকা
সমাধিস্থলপালপাড়া পারিবারিক কবরস্থান
কুমিল্লা সদর উপজেলা
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
সন্তানএক ছেলে ও দুই মেয়ে
পিতামাতা
  • আবদুল গনি (পিতা)
  • আছিয়া বেগম (মাতা)

আবুল কাশেম (১৯৪২ - ১৮ জুলাই ২০২০) বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা। তিনি তৎকালীন ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি যুবউন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী এবং যুবউন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন।[১][২] তিনি জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রথমে আহ্বায়ক ও সভাপতি।[৩]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

আবুল কাশেম ১৯৪২ সালে কুমিল্লা সদর উপজেলার পালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেনা। তার পিতা আবদুল গনি ও মাতা আছিয়া বেগম। কাশেম বিবাহিত ছিলেন। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে।[৪]

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

আবুল কাশেম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন।[৪]

২৭ অক্টোবর ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠনের পর আবুল কাশেম প্রথমে আহ্বায়ক ও পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ২৩ মার্চ ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত। [৪][৩]

তিনি যুব মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।[৪]

১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন ঢাকা-১৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১][২]

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভায় তিনি যুবউন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৪]

সমালচনা[সম্পাদনা]

৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ সালে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত আব্দুস সাত্তারকে হটিয়ে তৎকালীন তৎকালীন সেনাপ্রধান এইচ এম এরশাদ ক্ষমতা দখল করেন। ইস্যু ছিল কুখ্যাত সন্ত্রাসী ইমদাদুল হক ইমদুকে মন্ত্রী কাশেমের সরকারি বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে মন্ত্রীর বাড়িতে সন্ত্রাসীকে ঢুকিয়ে এরশাদই গ্রেপ্তারের নাটক সাজিয়েছিলেন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালচনা রয়েছে। এ ঘটনার পরে রাজনীতি থেকে তিনি নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন।[৪][৫][৬][৭]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

আবুল কাশেম ১৮ জুলাই ২০২০ সালে ঢাকার বনানীর বাসায় বার্ধক্যজনিত রোগে মৃত্যুবরণ করেন। তার জন্মস্থান কুমিল্লা সদর উপজেলার পালপাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।[৬][৫][৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "২য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. The Election Archives (ইংরেজি ভাষায়)। Shiv Lal। ১৯৮১। 
  3. "প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুবদলের নেতৃত্বে ছিলেন যারা"দৈনিক যুগান্তর। ২৭ অক্টোবর ২০১৯। ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  4. ঢাকা ব্যুরো চীফ, ইকবাল কবির (১১ সেপ্টেম্বর ২০২১)। "এসি আকরামের জবানবন্দিঃ ইমদুকে মন্ত্রী'র বাড়ি থেকে গ্রেফতারে এসপিকে কেউই সহযোগিতার সাহস পাচ্ছিলো না"সিটিজি সংবাদ। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩ 
  5. "যুবদলের প্রথম সভাপতি, আলোচিত মন্ত্রী আবুল কাশেম মারা গেছেন"দেশ রূপান্তর। ১৮ জুলাই ২০২০। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩ 
  6. "যুবদলের প্রথম সভাপতি, সাবেক যুবমন্ত্রী কাশেমের মৃত্যু"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১৮ জুলাই ২০২০। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩ 
  7. ঢাকা, শওকত হোসেন (২৪ মার্চ ২০২৩)। "মন্ত্রীর বাড়িতে খুনি: যে ঘটনা ছিল এরশাদের সামরিক শাসনের উপলক্ষ"দৈনিক প্রথম আলো। ১০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২৩