আফতাব হাবিব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আফতাব হাবিব
২০০৪ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে আফতাব হাবিব
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামআফতাব হাবিব
জন্ম (1972-02-07) ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ (বয়স ৫২)
রিডিং, বার্কশায়ার, ইংল্যান্ড
ডাকনামটাবি
উচ্চতা৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট
ভূমিকাব্যাটসম্যান, কোচ
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫৯৪)
১ জুলাই ১৯৯৯ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট২২ জুলাই ১৯৯৯ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৫৯ ১৬৮
রানের সংখ্যা ২৬ ৮,৮৭৩ ৩,২১২
ব্যাটিং গড় ৮.৬৬ ৪১.৮৫ ২৬.৩২
১০০/৫০ ০/০ ২১/৪৬ ১/১৪
সর্বোচ্চ রান ১৯ ২১৫ ১১১
বল করেছে ১০৬ ৫৯
উইকেট
বোলিং গড় ৮০.০০ ২৯.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/১০ ২/৫৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ৮০/– ৫৭/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

আফতাব হাবিব (জন্ম: ৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২) বার্কশায়ারের রিডিং এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কোচ ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের শেষদিকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্স, লিচেস্টারশায়ার ও মিডলসেক্স এবং নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘টাবি’ ডাকনামে পরিচিত আফতাব হাবিব।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত তিনি।[১][২] টানটন স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আফতাব হাবিবের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। লিচেস্টারশায়ার ও এসেক্স দলের পক্ষে কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নেন। পরবর্তীতে মিডলসেক্সের পক্ষে খেলেন। তন্মধ্যে, লিচেস্টারশায়ারের সদস্য থাকাকালীন ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এছাড়াও, ১৯৯৮ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি।

খেলার ধরন, সময় নিয়ন্ত্রণ ও মনোযোগের অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়েছিলেন আফতাব হাবিব। মিডলসেক্স দল থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পর লিচেস্টারশায়ারের শীর্ষসারিতে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে পূর্ণাঙ্গ সদ্ব্যবহার করে বিশাল রান সংগ্রাহকে পরিণত হয়েছেন। মূলতঃ সামনের পায়ে ভর দিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সোজা বরাবর খেলতে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও কাট করতে পারতেন ও দলের প্রয়োজনে নিজেকে উজাড় করে দিতেন। ১৯৯৮ সালে ওভালে ১১৪ রানের ইনিংস খেলে লিচেস্টারশায়ারের চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ে যথাযথ ভূমিকা রেখেছিলেন।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাটিং কৌশলে কিছুটা শূন্যতা দেখা যায়। তাসত্ত্বেও, ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে যথেষ্ট ভালোমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। ইংল্যান্ড এ দলের পক্ষে সংক্ষিপ্ত সময়ে নিজেকে পরিচিত করে তুলেন। কাউন্টি কোচ জ্যাক বার্কেনশ সুযোগের সদ্ব্যবহারের পরপরই তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেন। তাসত্ত্বেও, ২০০১ সালে শেষে আরও নিজেকে মেলে ধরতে এসেক্সে চলে আসেন। তিন মৌসুম দলটির পক্ষে খেলে ৩৮ গড়ে রান পেয়েছেন। অতঃপর, অক্টোবর, ২০০৪ সালে তাকে অবমুক্তি দেয়া হয়। তবে, আরেকটি কাউন্টি দল খুঁজে পেতে হিমশিম খেলে তিনি বিস্ময়করভাবে লিচেস্টারে ফিরে যেতে সম্মতি প্রকাশ করেন। তবে, দলে নিয়মিতভাবে ঠাঁই করে নিতে তাকে আবারও প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়। নবীন খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে তাকে ধীরে ধীরে উপেক্ষার পাত্রে পরিণত হতে হয় ও ২০০৬ সাল শেষে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন আফতাব হাবিব। সবগুলো টেস্টই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ১ জুলাই, ১৯৯৯ তারিখে বার্মিংহামে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২২ জুলাই, ১৯৯৯ তারিখে লর্ডসে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। ঐ সিরিজে তার দল ২-১ ব্যবধানে পরাজয়বরণ করেছিল। তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।

অবসর[সম্পাদনা]

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন তিনি। অক্টোবর, ২০০৭ সালে তিন বছর মেয়াদে হংকং জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। তন্মধ্যে, ২০০৮ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে হংকং দলকে পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এছাড়াও, বাকিংহামশায়ার ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে মহিলা ও বালিকাদের ক্রিকেট ডেভেলপম্যান্ট কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন।[৩] বর্তমানে তিনি বার্কশায়ার মহিলা দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে রয়েছেন। ২০১৬ সালের শুরুতে তাকে এ পদে মনোনীত করা হয়।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Khan, Wasim (১০ মে ২০১৮)। "I was the first British born Pakistani to play professional cricket in the UK – but why are there still so few of us?"Independent। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২০ 
  2. Hopps, David (১ সেপ্টেম্বর ২০০১)। "Stage set for Afridi to punch his weight"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২০He lodges in the Leicestershire countryside with Aftab Habib, a former England batsman of Pakistani extraction, who calls him "lala", meaning 'brother', and helps him survive the traumas of English life. 
  3. "Aftab Habib Appointed Women's and Girls' Cricket Development Officer."। Buckinghamshire Cricket Board Official Website। ৮ ডিসেম্বর ২০১০। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১১ 
  4. Egan, Syd। "Berkshire Look To Future With New Coaching Team"। CricketHer। 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]