আফগানিস্তানের স্বাধীনতা দিবস
আফগান বিজয় দিবস | |
---|---|
পালনকারী | আফগানিস্তান |
তাৎপর্য | ১৯১৯ সালে আফগানিস্তানের ব্রিটিশদের থেকে পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন |
তারিখ | ১৯ আগস্ট |
সংঘটন | বার্ষিক |
আফগানিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ১৯১৯ সালের ইঙ্গ-আফগান চুক্তির স্মারক হিসাবে প্রতিবছর ১৯ আগস্ট তারিখে আফগানিস্তানে পালিত হয়।[১] এই চুক্তিটি আফগানিস্তান ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখা নিশ্চিত করে। দ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার ফলশ্রুুুুতিতে আফগানিস্তান ব্রিটিশ শাসনাধীন এলাকায় পরিণত হয়েছিলো।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
প্রথম ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ (১৮৩৯-১৮৪২) ব্রিটিশ বাহিনীকে কাবুলের দখল এবং ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে। পরবর্তীতে, এলফিনস্টনের কৌশলগত ত্রুটির কারণে ব্রিটিশ নেতৃত্বাধীন পুরো ভারতীয় আক্রমণকারী বাহিনী আকবর খানের নেতৃত্বাধীন আফগান বাহিনীর নিকট জালালাবাদ শহরের সন্নিকটস্থ কাবুল-জালালাবাদ সড়কের কোন এক স্থানে পরাজিত হয়।[২] এই পরাজয়ের পর, ব্রিটিশ নেতৃত্বাধীন বাহিনী আফগান যুদ্ধে বন্দী হওয়া তাদের সদস্যদের উদ্ধারের জন্য একটি বিশেষ অভিযান নিয়ে পুনরায় আফগানিস্তানে ফিরে আসে এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ শুরুর পূর্ব পর্যন্ত আর সেখানে ফিরে আসেনি।
দ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধে (১৮৭৮-১৮৮০) প্রথমে কান্দাহারের যুদ্ধে ব্রিটিশদের পরাজয় ঘটলেও পরবর্তীতে তারা জয়লাভ করে, যার ফলশ্রতিতে আবদুর রহমান খান নতুন আমীর হন এবং ব্রিটিশ-আফগান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা হয়। রুশ এবং পারসিকদের বিরুদ্ধে সুরক্ষার বিনিময়ে ব্রিটিশরা আফগানিস্তানের বৈদেশিক বিষয়গুলির নিয়ন্ত্রণ লাভ করে।
তৃতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধটি ১৯১৯ সালে সংগঠিত হয়। তিন মাস স্থায়ী হওয়া এই যুদ্ধটি সাম্যতা বজায় রেখে সমাপ্ত হয়। এ বছরেরই ৮ আগস্ট ব্রিটেন এবং আফগানিস্তান রাওয়ালপিন্ডি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যাতে আফগানিস্তানের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়া হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হয় ১৯ আগস্ট তারিখে। তবে ১৯২১ সালে ব্রিটিশরা সম্পূর্ণভাবে আফগানিস্তানের হাতে বৈদেশিক বিষয়গুলির নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়।
দিবসটি উৎযাপন[সম্পাদনা]
আফগানরা এই অঞ্চলে প্রথম দেশ যারা ব্রিটেনকে পরাজিত করে স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীনতা দিবস আফগানিস্তানে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হয়। চলচ্চিত্র, কবিতা, নিবন্ধ, গণমাধ্যম ইত্যাদিতে বিভিন্নভাবে এই দিবসটির গুরুত্ব ফুটিয়ে তোলা হয়। এই দিনটি উপলক্ষে দেশটির রাষ্ট্রপতি বিশেষ বাণী দেন এবং আফগান সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ কুচকাওয়াজের আয়োজন করে থাকে।[৩] এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান, মতবিনিময় সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। দেশের প্রধান সড়কগুলো জাতীয় পতাকা, ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়। এই দিনটি সারাদেশে সরকারি ছুটির দিন হিসাবে পালিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত আফগান দূতাবাসগুলিতে এই দিন বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।[৪]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূূূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "The World Factbook: Afghanistan"। Central Intelligence Agency। ২০০৯-০৯-০৭। ২০১৭-০৯-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-১৮।
- ↑ "War-battered Afghanistan celebrates independence day"। Associated Press। ২০০০-০৯-১৮। ২০০৯-০৮-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-১৮।
- ↑ anydayguide.com/calendar/2364
- ↑ https://dailytimes.com.pk/120320/event-held-to-celebrate-afghan-independence-day/