আন্দু মসজিদ
| আন্দু মসজিদ | |
|---|---|
উইলিয়াম হেনরি পিগু এর তোলা ১৮৬৬ সালের ছবি | |
| ধর্ম | |
| অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
| যাজকীয় বা সাংগঠনিক অবস্থা | মসজিদ |
| অবস্থা | সক্রিয়[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন] |
| অবস্থান | |
| অবস্থান | বিজাপুর, কার্নাটক |
| দেশ | ভারত |
কার্নাটক রাজ্যে মসজিদের অবস্থান | |
| প্রশাসন | ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ |
| স্থানাঙ্ক | ১৬°৪৯′২০″ উত্তর ৭৫°৪৩′০৬″ পূর্ব / ১৬.৮২২৩° উত্তর ৭৫.৭১৮৩° পূর্ব |
| স্থাপত্য | |
| ধরন | মসজিদের স্থাপত্যশৈলী |
| স্থাপত্য শৈলী | ইন্দো-ইসলামিক স্থাপত্য |
| প্রতিষ্ঠাতা | ই'তিবার খান |
| সম্পূর্ণ হয় | হিজরি 1017 (১৬০৮/১৬০৯ খ্রিস্টাব্দ) |
| বিনির্দেশ | |
| গম্বুজসমূহ | এক |
| মিনার | চার |
| উপাদানসমূহ | কাটানো পাথর |
আন্দু মসজিদ (আন্ডা মসজিদ নামেও পরিচিত) ভারতের কর্নাটক রাজ্যের বিজাপুর শহরে অবস্থিত একটি মসজিদ।[১] এটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃত এবং প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ কর্তৃক রক্ষিত।[২] এই ভবনটি দুই তলা বিশিষ্ট। মসজিদটি প্রথম তলায়, আর নিচতলার কক্ষটি একসময় সারাই হিসেবে ব্যবহৃত হতো বলে মনে করা হয়। মসজিদটি ১৬০৮ সালে ইতিবার খানের আদেশে নির্মাণ করা হয়।
স্থাপত্য
[সম্পাদনা]মসজিদের প্রবেশপথে খোদাইকৃত শিলালিপি অনুযায়ী এটি হিজরি ১০১৭ (১৬০৮/১৬০৯ খ্রিস্টাব্দ) হিজরিতে ই'তিবার খানের আদেশে নির্মিত হয়। তিনি ইব্রাহিম আদিল শাহ দ্বিতীয়র শাসনামলে একজন অভিজাত ব্যক্তি ছিলেন।[৩]
হেনরি কুজেন্স মনে করেন এটি নারীদের জন্য নির্মিত মসজিদ ছিল।[৩] প্রার্থনাকক্ষে খুতবা দেয়ার জন্য কোনও মিম্বার নেই, যা ইঙ্গিত দেয় যে, পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল — এটি পর্দা ব্যবস্থার অংশ। ছাদের চারপাশে একটি ছোট বেষ্টনী আছে, যেটি ভিতরে থাকা নারীদের বাইরের দৃশ্য দেখার সুযোগ দেয়, কিন্তু বাইরে থেকে তাদের দেখা যায় না।[৩] যদিও ২০১৬-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], এই মসজিদে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।[৪] নিচতলায় একটি মাদ্রাসা রয়েছে এবং উপরতলায় পুরুষদের নামাজের জন্য প্রার্থনাকক্ষ।[৪]
এই ভবনটি দুই তলা বিশিষ্ট। মসজিদটি প্রথম তলায়, আর নিচতলার কক্ষটি একসময় সারাই হিসেবে ব্যবহৃত হতো বলে মনে করা হয়। ভবনটি কাটানো পাথরের গাঁথুনিতে নির্মিত। উপরতলায় কারুকাজ রয়েছে, তবে নিচতলা সাধারণ ধাঁচে নির্মিত।[৩]
মসজিদটি প্রথম তলার পশ্চিম পাশে অবস্থিত। এর ফেসেডে সমান আকারের তিনটি খিলানযুক্ত প্রবেশপথ আছে, যা একটি ছাদে খোলে। ছাদের কোণায় ওঠার জন্য দুটি সিঁড়ি রয়েছে, এবং চারপাশে একটি নিচু বেষ্টনী রয়েছে। প্রার্থনাকক্ষের পরিমাপ প্রায় ৬ মিটার (২০ ফুট) বর্গাকার। পশ্চিম দেওয়ালে একটি বড় মিহরাব আছে, যার পাশে দুটি ছোট নিস আছে। মসজিদে মিম্বার নেই।[১][৩][৫]
মসজিদের ছাদে একটি গম্বুজ রয়েছে, যা ষোলো পাশবিশিষ্ট খিলানযুক্ত থলোবেট এর উপর স্থাপিত। গম্বুজের পিছনের অংশে একটি উঁচু বাট্রেস এর উপর চারটি মিনার উঠে গেছে, যেগুলো নিচের মিহরাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ভবনের প্রতিটি কোণায় আরও চারটি মিনার রয়েছে। প্রধান গম্বুজটি খরবুজা আকৃতির, এবং মিনারগুলোর শীর্ষেও ছোট খরবুজা আকৃতির গম্বুজ রয়েছে।[১][৩][৬]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 3 Desai, Ziyaud-din। Mosques of India (ইংরেজি ভাষায়)। New Delhi: The Director General, Publications Division, Ministry of Information and Broadcasting, Government of India। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-২৩০-২৬১৮-৩।
- ↑ "The Andu Masjid"। Archaeological Survey of India, Dharwad Circle।
- 1 2 3 4 5 6 Cousens, Henry (১৯৭৬)। Bijapur and its architectural remains with an historical outline of the 'Adil Shahi dynasty। Varanasi: Bharatiya Publishing House। পৃ. ৭৭–৭৯।
- 1 2 Sharma, Ruchika (৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "What history proves: Indian mosques barring women is only a recent trend"। Scroll.in (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৫।
- ↑ Cousens, Henry (১৯০৫)। Bijapur, the Capital of the Adil Shahi Kings: A Guide to Its Ruins (ইংরেজি ভাষায়)। Scottish Mission Industries Company।
- ↑ Desai, Ziyaud-din। Indo-Islamic architecture (ইংরেজি ভাষায়)। Publications Division Ministry of Information & Broadcasting। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-২৩০-২৪০৬-৬।