আন্তর্জাতিক যৌনকর্মী দিবস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফরাসি যৌনকর্মীদের সালপেট্রিয়ের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে (এটিয়েন জেওরাত, ১৭৪৫)

আন্তর্জাতিক যৌনকর্মী দিবস বা আন্তর্জাতিক পতিতা দিবস হল একটি বার্ষিক দিবস, এটি প্রতি বছরের ২ জুন পালিত হয়। এর মাধ্যমে যৌনকর্মীদের সম্মান প্রদান করা হয় এবং তাদের কাজের অবস্থায় যে প্রায়ই তাদের শোষণ হয় তা স্বীকার করে নেওয়া হয়। এই দিবসটি পালনের মাধ্যমে স্মরণ করা হয় ১৯৭৫ সালের ২রা জুন শতাধিক যৌনকর্মী দ্বারা লিয়নের এগ্লিস সেন্ট-নিজিয়ের দখল। তাঁরা এটি করেছিলেন তাঁদের অমানবিক কাজের অবস্থার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য।[১] এটি ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতি বছর পালিত হয়ে আসছে। জার্মান ভাষায়, এটি "হারানট্যাগ" (পতিতা দিবস) নামে পরিচিত। স্প্যানিশ-ভাষী দেশগুলিতে, এটি "দিয়া ইন্টারন্যাশনাল ডি লা ট্রাবাজডোরা সেক্সুয়াল," অর্থাৎ যৌনকর্মীদের আন্তর্জাতিক দিবস।

পটভূমি[সম্পাদনা]

আমস্টারডামের ডি ওয়ালেন লাল বাতি জেলায় ওডে কার্কের সামনে ব্রোঞ্জের মূর্তি বেলি। ২০০৭ সালের মার্চ মাসে এটির উন্মোচন করা হয়েছিল, এখানে লেখা ছিল "সারা বিশ্ব জুড়ে যৌনকর্মীদের সম্মান করুন"।

১৯৭০-এর দশকে, ফরাসি পুলিশ যৌনকর্মীদের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে রেখেছিল। পুলিশের প্রতিশোধমূলক আচরণ[১] যৌনকর্মীদের গোপনে কাজ করতে বাধ্য করে। ফলস্বরূপ, যৌনকর্মীদের সুরক্ষা হ্রাস হতে থাকে এবং তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা আরও বাড়তে থাকে। দুটি হত্যাকাণ্ড হয়ে যাবার পরেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি না হওয়ায় এবং সেই বিষয়ে সরকারের কোন আগ্রহ না থাকায়, লিয়নের যৌন কর্মীরা রুয়ে দে ব্রেস্টের সেন্ট-নিজিয়ার গির্জা দখল করে ধর্মঘট শুরু করে। ধর্মঘটী যৌনকর্মীরা রাজনৈতিক সঙ্গীত গেয়েছিল এবং শালীন কাজের পরিবেশের দাবি করার সাথে সাথে কলঙ্ক অবসানের দাবি জানিয়েছিল।

এই ঘটনা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকস্তরে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছিল, শ্রম এবং নারীবাদীদের মত সংগঠনগুলির কাছ থেকে এই প্রতিবাদ সমর্থন পেয়েছিল। দখলের ৮ দিন পর, ১০ই জুন, পুলিশ জোরপূর্বক গির্জা থেকে মহিলাদের সরিয়ে দেয়,[২] [৩] কিন্তু এই ঘটনার মাধ্যমে যৌন কর্মীদের অধিকারের জন্য তাদের একটি আন্তর্জাতিক আন্দোলনের সূচনা হয়।[৪]

জার্মানি[সম্পাদনা]

২০১১ সালের ২৯শে মে তারিখে জার্মানির বোখুমে, "ঘর ছাড়া নারী" শিরোনামের একটি পাঠচক্রে দেখানো হয়েছে যে ১৯৭৫ সাল থেকে যৌনকর্মীদের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পাঠটি প্রতিবেশী শহর ডর্টমুন্ডের সেই যৌনকর্মীদের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছিল, যারা ১৯৭৫ সালে লিয়নের যৌনকর্মী হিসেবে নির্যাতিত হয়েছিল।[৫]

অনুরূপ স্মারক[সম্পাদনা]

অনুরূপ কিছু স্মারক দিবস হল -

১) ৩রা মার্চ - আন্তর্জাতিক যৌনকর্মী অধিকার দিবস।[৬]

২) ১৭ই ডিসেম্বর - যৌনকর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস.[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Internationaler Hurentag – Kirche soll Prostituierte nicht ausgrenzen (International Whores' Day: The church shouldn't exclude the prostitutes)"Die Welt (German ভাষায়)। Die Welt - Online। ২০০৯-০৬-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৬-০২ 
  2. "International Whores' Day"। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  3. "Internationaler Hurentag in Bochum" (German ভাষায়)। Bochumer Stadt- und Studierendenzeitung (bsz)। ২০১০-০৫-১৭। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-০২ 
  4. "Sag mir, wer die Huren sind (Tell me, where are the whores?)" (German ভাষায়)। Sexclusivitäten - Laura Méritt। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-০২ 
  5. "Frauen ohne Zimmer: Lesung zum Internationalen Hurentag 2011 (Women without room: Reading for International Whores' Day)" (পিডিএফ) (German ভাষায়)। Madonna e.V.। ২০১৩-০৩-১৯ তারিখে মূল (PDF; 414 kB) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-০২ 
  6. "Campaigns & Events"। Global Network of Sex Work Projects। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-০২ 
  7. "17. Dezember, Internationaler Tag gegen Gewalt an SexarbeiterInnen! (International Day Against Violence Against Sex Workers)" (German ভাষায়)। no-racism.net। ২০১০-১২-১৬। ২০১৭-১১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-০২ 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]