আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট
ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট | |
| প্রতিষ্ঠাতা(গণ) | বাংলাদেশ সরকার |
|---|---|
| প্রতিষ্ঠিত | ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ |
| উদ্দেশ্য | মাতৃভাষা চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র |
| প্রধান ব্যক্তি | অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান (মহাপরিচালক) |
| অবস্থান | সেগুনবাগিচা , ঢাকা , |
| ঠিকানা | শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণি, ১/ক, সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০ |
| ওয়েবসাইট | imli |
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের একটি বিশ্ব ভাষার গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ঢাকার সেগুনবাগিচায় ১.০৩ একর জায়গা জুড়ে ভবনটির অবস্থান।[১][২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হলে বাংলাদেশ সরকার একটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ২০০০ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝিতে ১৯,৪৯,০০,০০০ টাকার "আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প" সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়। ২০০১ খ্রিস্টাব্দের ১৫ মার্চ তৎকালীন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।[৩] শুরুতে ১২ তলা ভবনের উল্লেখ থাকলেও প্রাথমিকভাবে ৫ তলা নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়; তাতে একটি মিলনায়তন, চারটি সম্মেলন কক্ষ, কম্পিউটার ল্যাব, ভাষা-জাদুঘর, বিশ্বের লিখনরীতি আর্কাইভ, ভাষা প্রশিক্ষণের জন্য ১০টি শ্রেণিকক্ষসহ প্রয়োজনীয় অফিসকক্ষের ব্যবস্থা রাখা হয়। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের শেষ দিকে সরকার প্রকল্প সংশোধন করে নির্মাণ কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেয়। সংশোধিত প্রকল্পের অধীনে ৩ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ শেষ হয় ২০১০ খ্রিস্টাব্দে। ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের ৯ বছর পর ভবনটি উদ্বোধন করা হয়।[২][৩]
কার্যক্রম
[সম্পাদনা]এই প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে পৃথিবীর সব ভাষা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে। পাশাপাশি হুমকির সম্মুখিন ভাষার বিস্তার ঘটানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। বিভিন্ন ভাষার উপাদান ডাটাবেজে সংরক্ষিত হবে, শ্রবণ-দর্শন যন্ত্রের মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় বা বিলুপ্ত ভাষাগুলোকে দৃশ্যমান করা হবে। থাকবে বিশ্বমানের পাঠাগার, যাতে থাকবে বিভিন্ন ভাষার উপর লিখিত বই, ব্যাকরণ থাকবে। এছাড়াও থাকবে ভাষা-জাদুঘর ও আর্কাইভ। প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ দোভাষী তৈরি করা, ভাষানীতি প্রণয়নে সরকারকে সহয়তা ও পরামর্শ দান, বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষার ওপর গবেষণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা ইত্যাদি। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করারও উদ্যোগ নেয়া হবে। সর্বোপরি মাতৃভাষার চর্চা, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও সুরক্ষা প্রদান করা হবে।[২][৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন"। দৈনিক প্রথম আলো। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০২২।
- 1 2 3 মাসুম আলী (২০ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। "জনবল ছাড়া স্থবির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট"। দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা। পৃ. ৯।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|format=এর জন্য|url=প্রয়োজন (সাহায্য);|সংগ্রহের-তারিখ=এর জন্য|ইউআরএল=প্রয়োজন (সাহায্য) - 1 2 3 "কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, ফ্যাক্ট ফাইল: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ঢাকা। ১ মার্চ ২০১০। পৃ. ১৪।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|format=এর জন্য|url=প্রয়োজন (সাহায্য);|সংগ্রহের-তারিখ=এর জন্য|ইউআরএল=প্রয়োজন (সাহায্য)
| এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |