আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস
আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস | |
---|---|
![]() ২০০৭ সালে রোমে অনুষ্ঠিত পরিবার দিবস | |
ধরন | আন্তর্জাতিক |
তারিখ | ১৫ মে |
সংঘটন | বার্ষিক |
১৯৯৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ মে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস হিসেবে ঘোষিত হয়। জাতিসংঘ ১৯৯৪ সালকে আন্তর্জাতিক পরিবার বর্ষ ঘোষণা করেছিল। ১৯৯৬ সাল থেকেই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। পরিবারের পারস্পরিক সম্পর্কগুলি ও ঐতিহ্য যাতে অটুট থাকে, আর্থ-সামাজিক সমস্যাগুলি যাতে পরিবারগুলি কাটিয়ে উঠতে পারে, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দারিদ্র্য, পরিবারের কাজের সামঞ্জস্য বজায় রাখার লক্ষ্যেই এই আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস।
ছোট-বড় সকল সদস্যের নিরাপদ ও নিশ্চিত জায়গা হল পরিবার। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সৌহার্দ্য, সহমর্মিতা ও ভালোবাসার দৃঢ় বন্ধনের মাধ্যমে পরিবারে একজন মানুষ সমাজের সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগ করে থাকে। বিশ্বের প্রতিটি দেশ ও সংস্কৃতিতে পরিবারের গুরুত্ব অপরিসীম। পরিবারকে বলা হয় সমাজ ও রাষ্ট্রের আয়না। প্রতিটি মানব পরিবারকে সুরক্ষিত এবং সংরক্ষিত রাখার প্রয়াস চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় আন্তর্জাতিক পরিবার দিবসে।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস হল একটি বিশ্বব্যাপী উদযাপন। এটি পরিবার গঠনকারী ব্যক্তি এবং সম্পর্কের গুরুত্বের উপর আলোকপাত করে। জাতিসংঘ মানব সমাজে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরার জন্য এবং তারা যে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং জনসংখ্যাগত সমস্যাগুলির মুখোমুখি হয় সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই দিনটি প্রতিষ্ঠা করে।
এই দিবসটিকে স্বীকৃতি দেওয়ার ভাবনা চিন্তা শুরু হয় ১৯৮০-এর দশকে যখন জাতিসংঘ পরিবারের ক্রমবর্ধমান কাঠামো এবং তাদের মুখোমুখি হওয়া সমস্যাগুলোর উপর মনোনিবেশ করতে শুরু করে। ১৯৮৯ সালের মধ্যে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সেই বছরটিকে আন্তর্জাতিক পরিবারের বছর হিসাবে ঘোষণা করে, যার ফলে ১৯৯৩ সালে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস প্রতিষ্ঠা হয়। সমাজের মৌলিক একক হিসেবে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আরও ভালোভাবে বুঝতে এবং বিশ্বব্যাপী পরিবারগুলি যে সমস্যার মুখোমুখি হয় তা মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করার জন্য এই দিবসটি নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রতি বছর, একটি নির্দিষ্ট থিম বা প্রতিপাদ্য বিষয় পারিবারিক জীবনের বিশেষ দিক এবং তাদের সমস্যার উপর আলোকপাত করে। এই থিমগুলি দারিদ্র্য এবং গৃহহীনতা থেকে শুরু করে অভিবাসনের প্রভাব, লিঙ্গ সমতা এবং ঐতিহ্যবাহী এবং অপ্রচলিত উভয় ধরণের পরিবারের অন্তর্ভুক্তি পর্যন্ত বিস্তৃত।[২]
প্রতিপাদ্য বিষয়
[সম্পাদনা]আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস পরিবারগুলি যে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং জনসংখ্যাগত চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হয় তা বোঝার এবং মোকাবেলা করার বিষয়ে আলোকপাত করে। প্রতি বছর, একটি অনন্য থিম বা প্রতিপাদ্য বিষয় পারিবারিক জীবনের বিভিন্ন দিক এবং তারা যে সমস্যার সম্মুখীন হয় তার উপর আলোচনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে দারিদ্র্য ও গৃহহীনতা থেকে শুরু করে অভিবাসনের প্রভাব এবং পারিবারিক ইউনিটের মধ্যে লিঙ্গ সমতার গুরুত্ব।
- ২০২২: প্রতিপাদ্য বিষয়- পরিবার এবং নগরায়ণ।
- ২০২৩: প্রতিপাদ্য বিষয় -জনসংখ্যার প্রবণতা এবং পরিবার।
- ২০২৪: প্রতিপাদ্য বিষয়-পরিবার এবং জলবায়ুর পরিবর্তন।
- ২০২৫: প্রতিপাদ্য বিষয়-এই বছরের আন্তর্জাতিক পরিবার দিবসের প্রতিপাদ্য হল " টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবার-ভিত্তিক নীতি: সামাজিক উন্নয়নের জন্য দ্বিতীয় বিশ্ব শীর্ষ সম্মেলনের দিকে ।"
পরিবার দিবস সমাজ গঠনে এবং ব্যক্তিদের জীবনব্যাপী সহায়তা প্রদানে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বিশ্বব্যাপী পরিবারগুলিকে তাদের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি আহ্বান।[৩][৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস"। স্বদেশ বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০২৫।
- ↑ "আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস"। জাতিসংঘ। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০২৫।
- ↑ "days of the year"। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০২৫।
- ↑ "theme history"। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০২৫।