আন্তর্জাতিক জাদুঘর পরিষদ
![]() | |
গঠিত | ১৯৪৬ |
---|---|
ধরন | বেসরকারি সংস্থা |
উদ্দেশ্য | বিশ্বের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, প্রচার ও সমাজের সঙ্গে এর সংযোগ রক্ষা |
অবস্থান |
|
স্থানাঙ্ক | ৪৮°৫০′৪৪″ উত্তর ২°১৮′২৩″ পূর্ব / ৪৮.৮৪৫৫° উত্তর ২.৩০৬৩° পূর্ব |
ওয়েবসাইট | icom |
আন্তর্জাতিক জাদুঘর পরিষদ (আইকম) একটি বেসরকারি সংস্থা, যা বিশ্বের বিভিন্ন জাদুঘর ও জাদুঘরকর্মীদের নিয়ে কাজ করে। এই সংস্থাটি ইউনেস্কোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত[১][২] এবং জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের পরামর্শদাতা হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আইকম, বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা[৩], ইন্টারপোল[৪], এবং বিশ্ব শুল্ক সংস্থার সঙ্গে অংশীদারত্বে কাজ করে। আইকমের কাজের মধ্যে রয়েছে—বিশ্বের সাংস্কৃতিক সম্পদের অবৈধ পাচার ঠেকানো, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের সময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় ঝুঁকি মোকাবিলা ও জরুরি প্রস্তুতি জোরদার করা। আইকমের সদস্যরা একটি সদস্যপত্র পান, যার মাধ্যমে তারা বিশ্বের অনেক জাদুঘরে বিনামূল্যে অথবা ছাড়ে প্রবেশ করতে পারেন।[৫]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]আইকমের সূচনা হয়েছিল আগের একটি বিলুপ্ত সংস্থা—আন্তর্জাতিক জাদুঘর দপ্তরের (OIM – Office international des musées) মাধ্যমে, যা ১৯২৬ সালে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেছিল। এটি ছিল জাতিপুঞ্জের আন্তর্জাতিক বৌদ্ধিক সহযোগিতা কমিশনের অধীনে পরিচালিত একটি সংস্থা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিপুঞ্জের অন্যান্য অনেক সংস্থার মতো এই দপ্তরটিও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর এর দায়িত্ব ও কাজকর্ম আইকম গ্রহণ করে।[৬]
জাদুঘরের জন্য আইকম নৈতিকতা বিধিমালা
[সম্পাদনা]১৯৮৬ সালে আইকম তাদের জাদুঘরের জন্য নৈতিকতা বিধিমালা[৭] গ্রহণ করে। এই নীতিমালাটি আইকম সদস্যদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক মানদণ্ড নির্ধারণ করে, যা সবাইকে মেনে চলতে হয়। ২০০৪ সালে সংশোধিত এবং ৩৯টি ভাষায় অনূদিত এই বিধিমালায়[৮] আইকম ও বিশ্বব্যাপী জাদুঘর সমাজের অভিন্ন মূল্যবোধ ও নীতিগুলো উঠে এসেছে। এতে জাদুঘর পরিচালনা, সংগ্রহ কেনা-বেচা এবং পেশাদার আচরণ সম্পর্কে মূল নিয়মাবলি উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৯ সালে আইকমের ২৫তম সাধারণ সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়, এই নৈতিকতা বিধিমালা প্রয়োজনে পর্যালোচনা ও হালনাগাদ করা হবে। এই কাজটি এখনো চলছে এবং এটি পরিচালনা করছে আইকমের নৈতিকতা বিষয়ক স্থায়ী কমিটি (ETHCOM), যারা জাদুঘর সম্পর্কিত নৈতিক দিকগুলো নিয়ে কাজ করে।[৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ (ইংরেজি ভাষায়) "UNESCO/ICOM Museum Studies Training Programme"। unesco.org।
- ↑ (ইংরেজি ভাষায়) "ICOM among UNESCO's Partners"। unesco.org।
- ↑ (ইংরেজি ভাষায়) "Partnership between ICOM and WIPO"। wipo.int। ২০২২-০৯-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৮-২৩।
- ↑ (ইংরেজি ভাষায়) "Partnership between ICOM and INTERPOL"। interpol.int। ২০১৫-০৫-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৮-২৩।
- ↑ "Benefits"। network.icom.museum (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১১-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৪।
- ↑ "International Museums Office (IMO) – UNESCO Archives AtoM catalogue"। atom.archives.unesco.org।
- ↑ (ইংরেজি ভাষায়) "ICOM Code of Ethics for Museums"। icom.museum।
- ↑ ক খ "Code of Ethics"। International Council of Museums (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১০।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]