আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড
আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য একটি প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। ১৯৮৯ সালে বুলগেরিয়ায় প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতা দুই দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটা
দেশ থেকে জাতীয় অলিম্পিয়াডে জয়ী সর্বোচ্চ ৪ জন এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে। প্রত্যেককে স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করতে হয়। প্রতিটা দলের সাথে একজন দলনেতা, একজন উপনেতা এবং অতিথি পাঠানো হয়।
IOI হল বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ কম্পিউটার বিজ্ঞান প্রতিযোগিতার একটি।
প্রতিযোগিতার গঠন
[সম্পাদনা]প্রতিযোগিতার প্রতিটি দিনেই প্রতিযোগীদেরকে চারটি করে সমস্যা দেয়া হয় এবং সমাধান করার জন্য পাঁচ ঘণ্টা সময় দেয়া হয়। প্রতিযোগীরা পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারেন না এবং কোনো বই থেকে সহায়তাও নিতে পারেন না। সমস্যার সমাধান করতে হয় সি, সি++ অথবা প্যাসকেলে।
প্রতিযোগিতায় সমস্যাগুলো সহজ থেকে কঠিন অনুসারে ভাগ করা থাকে। প্রতিটি সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট পয়েন্ট পাওয়া যায়। সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী বিজয়ী হয়। একাধিক প্রতিযোগী সমান পয়েন্ট পেলে ভুল উত্তর এবং সময় অনুযায়ী টাই ব্রেক করা হয়। প্রথম ৫০% প্রতিযোগীকে ব্রোঞ্জ, রৌপ্য এবং স্বর্ণপদক দেয়া হয়।
বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডে বর্তমানে শুধুমাত্র সি/সি++ ব্যবহার করা যায়, তাই বাংলাদেশ থেকে অংশ নিতে এই দুটি ভাষার যেকোন একটা শেখা বাধ্যতামূলক।
আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের যোগ্যতা
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণের জন্য প্রথমে বাংলাদেশ ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। প্রথমে বিভাগীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে তারপর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হয়। বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ গ্রহণের সময় প্রতিযোগীকে অবশ্যই কোনো স্কুল/কলেজের শিক্ষার্থী হতে হবে অথবা সর্বোচ্চ উচ্চ মাধ্যমিক/এ-লেভেল পরীক্ষার্থী হতে হবে।[১]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]- আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড
- আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড
- আন্তর্জাতিক পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড
- আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "International Olympiad in Informatics"। ioinformatics.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২৬।