আনতারা
![]() | |
ধরন | রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান |
---|---|
শিল্প | সংবাদ মাধ্যম |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৩ ডিসেম্বর ১৯৩৭ |
সদরদপ্তর | , |
পণ্যসমূহ | সংবাদ সংস্থা |
আয় |
|
| |
| |
কর্মীসংখ্যা | ২০০ ![]() |
ওয়েবসাইট | www www |
পাদটীকা / তথ্যসূত্র [১] [২] |
আনতারা একটি ইন্দোনেশিয়ান সংবাদ সংস্থা, যেটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি বেসরকারি কোম্পানী হিসেবে সংগঠিত।[ক] এটি দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা, যেটি অনেক অভ্যন্তরীণ গণমাধ্যম সংস্থার জন্য সংবাদ প্রতিবেদন সরবরাহ করে থাকে। এটিই একমাত্র স্বীকৃত সংবাদ সংস্থা যারা বিদেশী সংবাদ সংস্থাগুলির তৈরি করা সংবাদ উপকরণ ইন্দোনেশিয়ায় পরিবেশন করার জন্য অনুমোদন প্রাপ্ত।
১৯৩৭ সালে এই সংবাদ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়, যখন এই দেশটি ডাচ সাম্রাজ্যের একটি উপনিবেশ ছিল; স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ডাচ-মালিকানাধীন আনিতা সংবাদ সংস্থা কর্তৃক স্থানীয় খবর পরিবেশনে স্বল্পাহারের কারণে অসন্তুষ্ট ছিলো। ১৯৪২ সালে জাপান কর্তৃক আগ্রাসনের স্বীকার হওয়ার পর আনতারার কার্যক্রম ডোইমি সুসিন সংবাদ নেটওয়ার্ক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হতো। ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণার সম্প্রচারে এই প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং যুদ্ধের শেষে এই অঞ্চলে ডোইমির স্থাপনকৃত সুবিধাগুলির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। সংস্থাটির বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হওয়া অব্যাহত ছিলো ১৯৬০'এর দশকে রাস্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আসার পূর্ব পর্যন্ত, যখন সরকার তার লক্ষ্য হিসাবে ঔপনিবেশিকতার পরিবর্তে জাতি গঠনের প্রতি গুরুত্ব দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। আনতারা একটি সংস্থা হয়ে ওঠে যার মাধ্যমে রাষ্ট্র তার নীতিগুলি উপস্থাপন করতে পারে।
১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে রাজনৈতিক সংস্কারের প্রেক্ষাপটে, আনতারা সরকার সম্পর্কিত তার প্রতিবেদনসমূহ স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে শুরু করে এবং ২০০৭ সালে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা হিসেবে পুনর্গঠিত হয়। তথাপি, গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞগণের মতে, সরকারের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কের কারণে একটি নিরপেক্ষ সংবাদ সংস্থা হওয়া এর জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর আনতারা তার ৭৫তম বার্ষিকী উদ্যাপন করেছে।[৩]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]প্রাথমিক অবস্থায়
[সম্পাদনা]অনতারা ১৯৩৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর তারিখে ডাচ ইস্ট ইন্ডিজের ঔপনিবেশিক রাজধানী বাতাভিয়ায় (পরবর্তীতেঃ জাকার্তা) প্রতিষ্ঠিত হয়।[৪] এটি প্রতিষ্ঠার আগে, ডমিনিক উইলিম বেরিট্টি আনিতা প্রতিষ্ঠা করেন, ইন্ডিজের প্রথম সংবাদ সংস্থা হিসাবে, কয়েকটি ডাচ ও আদিবাসী সংস্থারও অস্তিত্ব ছিল সেসময়, কিন্তু একই সমান পরিচিতি অর্জন করতে পারেনি সেগুলি। একটি ডাচ সংস্থা হিসাবে আনিতা খুব কমই তার প্রচারিত সংবাদের ক্ষেত্রে স্থানীয় বিষয়াবলীকে অন্তর্ভুক্ত করতো। এই কৃচ্ছ্রতা সাধনের ফলাফল হিসাবে স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী কর্মী সোয়েমানাং সোয়েরজোয়িনোত এবং আলবার্ট মানোয়েমপাক সিপাহোইতারের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি করে, যারা অবশেষে একটি পৃথক সংবাদ সংস্থা গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়।[৫][৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]টীকা
- ↑ Article 6 of Government Regulation of the Republic of Indonesia No. 40 of 2007 stipulates that the agency's full name is Perusahaan Umum Lembaga Kantor Berita Nasional Antara, abbreviated as Perum LKBN Antara.
উদ্ধৃতি
গ্রন্থপঞ্জী
- "'Antara' news agency gets new chief"। The Jakarta Post। ২১ মার্চ ২০০০। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- "Antara news agency marks 75th anniversary"। Antara। ১৩ ডিসেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- "Antara seeks Rp 450 billion in aid to revitalize business"। The Jakarta Post। ২২ নভেম্বর ২০০৮। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- Barley, Tasa Nugraza (২৭ জানুয়ারি ২০১০)। "Picturing the Past at the Antara Gallery"। Jakarta Globe। ৩ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৩।
- Cribb, Robert; Kahin, Audrey (২০০৪)। Historical Dictionary of Indonesia। Historical Dictionaries of Asia, Oceania, and the Middle East (2nd সংস্করণ)। Lanham, M.D.: Scarecrow Press। আইএসবিএন 978-0-8108-4935-8।
- Eapen, K. E. (ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩)। "News Agencies: The Indonesian Scene"। International Communication Gazette। London: Sage Publications। 19 (1): 1–12। আইএসএসএন 1748-0485। ডিওআই:10.1177/001654927301900101।
- "Direksi baru LKBN Antara terima SK Pengangkatan" [New Directors of LKBN Antara Receive Appointment Decree] (Indonesian ভাষায়)। Ministry of State-owned Enterprises। ১ নভেম্বর ২০১২। ২৭ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- Hill, David T. (১৯৯৪)। The Press in New Order Indonesia। Nedlands, W.A.: University of Western Australia Press। আইএসবিএন 978-1-875560-53-0।
- McVey, Ruth (এপ্রিল ১৯৮৫)। "In Memoriam: Adam Malik (1917–1984)"। Indonesia। Ithaca, N.Y.: Cornell University Southeast Asia Program। 39: 145–148। আইএসএসএন 0019-7289। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- "Laporan Arus Kas Konsolidasian untuk Tahun-tahun yang Berakhir pada 31 Desember 2010 dan 2009" [Consolidated Cashflow Report for Years Ending 31 December 2010 and 2009] (PDF) (Indonesian ভাষায়)। Antara। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- "Peraturan Pemerintah Republik Indonesia Nomor 40 Tahun 2007" [Government Regulation of the Republic of Indonesia No. 40 of 2007] (PDF) (Indonesian ভাষায়)। Justika Siar Publika। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- Romano, Angela; Seinor, Blythe (২০০৫)। "Between Dictatorship and Democracy: State-affiliated News Media in Indonesia"। Romano, Angela; Bromley, Michael। Journalism and Democracy in Asia। Media, Culture and Social Change in Asia। New York, N.Y.: Routledge। পৃষ্ঠা 108–122। আইএসবিএন 978-0-415-35556-8।
- Setiawanto, Budi (১৭ আগস্ট ২০০৮a)। "Perjuangan Antara Menyiarkan Proklamasi" [The Struggle of Antara to Broadcast the Proclamation] (Indonesian ভাষায়)। Antara। ১৯ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- Setiawanto, Budi (১৭ আগস্ট ২০০৮b)। "Perjuangan di Balik Keberadaan Antara" [The Struggle Behind the Presence of Antara] (Indonesian ভাষায়)। Antara। ২২ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- "Undang-undang Republik Indonesia Nomor 40 Tahun 1999" [Law of the Republic of Indonesia No. 40 of 1999] (Indonesian ভাষায়)। Justika Siar Publika। ১৫ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- Wulandari, Fitri (১৪ ডিসেম্বর ২০০১)। "Legal status of 'Antara' assessed, Sobary says"। The Jakarta Post। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০১৩।
- Yong, Mun Cheong (২০০৩)। The Indonesian Revolution and the Singapore Connection, 1945–1949। Leiden: KITLV Press। আইএসবিএন 978-90-6718-206-5।