আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম
এই নিবন্ধ অথবা অনুচ্ছেদটি আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম-ঢাকা নিবন্ধের সাথে একত্রিত করার প্রস্তাব করা হচ্ছে। (আলোচনা করুন) |
গঠিত | ১৯০৫ |
---|---|
ধরন | Organisation |
সদরদপ্তর | ঢাকা, বাংলাদেশ |
যে অঞ্চলে কাজ করে | বাংলাদেশ, ভারত |
ওয়েবসাইট | Official website |
আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম একটি ইসলামী জনকল্যাণ সংস্থা। প্রধানত বেওয়রিশ মুসলমানগণের লাশ দাফনের উদ্দেশ্য গঠন করা হয়।[১] ১৯০৫ খ্রীস্টাব্দে তৎকালীন নেতৃস্থানীয় মুসলিম সমাজ দরদীগণের সহায়তায় একজন সুরাটবাসী মুসলমান সমাজকর্মী ইব্রাহিম মোহাম্মদ ডুপ্লের উদ্যোগে ভারতের কলকাতায় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে কেবল বেওয়ারিশ মুসলমানের লাশ যথাযথ ধর্মীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দাফনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও অচিরেই এই সংস্থাটি নানাবিধ সমাজকল্যাণীয় কর্মকাণ্ড গ্রহণ করতে শুরু করে। ইসলামী মানবতাবাদী ভাবধারার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি সকল ধর্মের মানুষকে সেবা দিয়ে আসছে।
বাংলাদেশে ইসলাম |
---|
প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত
[সম্পাদনা]ভারত উপমহাদেশে ঔপনেবিশক ব্রিটিশ প্রভূত্ব স্থাপনের প্রথমদিকে মুসলমানদের প্রতি ব্রিটিশদের ঘৃণা ও বৈরী মনোভাবের কারণে মুসলমান জাতি হিসেবে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং শিক্ষা-দীক্ষার ব্যাপারে ক্রমবর্ধমান ধ্বংস মুখে এসে দাঁড়ায়। এই সময় ভারতীয় মুসলমানদের মাঝে একটি উন্নয়নমুখী বিপ্লবের প্রয়োজন তীব্রভাবে অনুভূত হয়। কলকাতায় এ বিপ্লবের শিক্ষা ও সমাজ-সংস্কৃতি ভিত্তিক শুভ সূচনা হয় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। যে সকল ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম কয়েকজন হলেনঃ
- শেঠ ইব্রাহিম মোহাম্মদ ডুপ্লে
- মৌলভী মোহাম্মদ ইসা খান
- মৌলভী মোহাম্মদ হেদায়েত হোসেন
- মুনসী চৌধুরী আমানুল্লাহ
- মুনসী হাফিজ নাজির আহমদ সাহেব
- মুনসী বদরুজ্জামান বদর
- মুনসী নওয়াজীশ আলী
- মুনসী আব্দুল মোকারেম ফজলুল ওহাব
- মুনসী কোরবান আলী
- মৌলভী আব্দুল কাভী
- মৌলভী সৈয়দ মকবুল আহমেদ
তবে সে সময়কার নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যেমন খাজা নাজিমুদ্দিন, শের ই বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সুহরাওয়ার্দী প্রমুখ সক্রিয়ভাবে এ প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিলেন।
ঢাকায় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম
[সম্পাদনা]১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর ঢাকায় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের শাখা অফিস স্থাপন ও তার কার্য্যক্রম সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এজন্য কলকাতা থেকে এর প্রধান প্রশাসক এস, এম সালাহউদ্দিনকে সর্বময় কর্তৃত্ব দিয়ে ঢাকায় প্রেরণ করা হয় এবং ১৯৪৭ খ্রীস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কার্য্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে এর কার্যালয় ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "বেওয়ারিশ লাশের কেন পরিচয় মেলে না"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১১।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |